ব্রেকিং নিউজ: চাঁদে নাসার ২য় বারের মত মানুষের যাত্রার সব কার্যক্রম সফল, পুরোবিশ্ব অবাক!

আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা যেটি নাসা নামে পরিচিত তারা চাঁদে আবার মানুষ নিয়ে যাবার জন্য তাদের পরিকল্পনার বিশদ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে। চাঁদে যাওয়ার এই কঠিন মিশনের অংশ হিসাবে এই প্রথমবারের মত একজন নারী চাঁদের বুকে পা রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছো। তারা নাসার এই প্রকল্পের নাম দিয়েছে আর্টেমিস।

নভোচারীরা অ্যাপোলোর মতই একটি ক্যাপসুল যানে করে ভ্রমণ করবেন, যেটির নাম ওরিয়ন। এসএলএস নামে একটি রকেট তাদের চাঁদের দিকে উৎক্ষেপণ করবে।

চাঁদে যাওয়া প্রথম নারী কে হবেন?
আমেরিকার হাউস অফ রেপ্রেজেনটিটিভ চাঁদে যাওয়ার যান তৈরির জন্য ৬০ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি তৈরি করতে নাসার আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন বলে তারা জানিয়েছে।

২০২৪ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পদচারণা করবেন যে নারী বলে ধারনা করা হচ্ছে । তিনি হবেন ”এমন একজন যার মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে এর আগে থেকেই – যিনি ইতোমধ্যেই কোন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গেছেন এমন।

এখন অব্দি মোট ১২জন নারী নভোচারীর নাম সামনে এসেছিল। এরপর আরও পাঁচজন নারী নভোচারী নাসার তালিকাভুক্ত রয়েছেন।

নাসা বলছে, আর্টেমিসে নভোচারী হিসাবে কারা যাবেন সেটা নির্বাচনের প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। আরও একটা কারণে যে এটা একটা অনুপ্রেরণা হিসাবেও কাজ করবে।

হোয়াইট হাউসও চাঁদে আবার তাদের নভোচারী পাঠাতে চায় কারন তারা চায় মহাকাশ চারণায় তাদের নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে।

নাসা পরিকল্পনা করছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যে বরফ-পানি জমে রয়েছে, সেই মূল্যবান নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আনা। এটা থেকে চাঁদেই স্বল্প খরচে রকেটের জন্য জ্বালানি তৈরি করা সম্ভব হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে যা করা গেলে পৃথিবী থেকে রকেটের জন্য জ্বালানি বহন করে নিয়ে যেতে হবে না বলেও তারা জানাচ্ছে।

তবে এদিকে চীন এখন পৃথিবীর গবেষণাগারে চাঁদের মাটির নমুনা পৌঁছে দেবার জন্য তাদের প্রথম মিশন পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। চীন চীনা নভোচারীদের জন্য নতুন প্রজন্মের মহাকাশযান তৈরি করছে, যা চাঁদে পাঠানোর উপযোগী বলে বলা হচ্ছে।

তবে তার আগে তারা পরীক্ষা আর্টেমিস-টুর জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো চিহ্ণিত করে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবে বলে তারা জানাচ্ছে। তাদের আর্টেমিস-টু নভোচারীদের নিয়ে একইধরনের মিশন চালাবে চাঁদকে পরিক্রমন করবে।

উৎক্ষেপক রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হবার পর তাদের বহনকৃত মহাকাশযানটি পরিচালনা করবেন নভোচারীরা নিজে নিজেই। তাই সেই যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আরো বেশি বেশি বাড়তি পরীক্ষা মিশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

নাসা বেশ কিছু সংস্থাকে চাঁদ ভ্রমনের জন্য প্রয়োজনীয় যানের নকশা তৈরির কাজ দিয়েছে।

নাসা তার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসাবেই এই দশকের শেষ দিকেই নভোচারীদের জন্য আর্টেমিস বেস ক্যাম্প নামে একটি ক্যাম্প তৈরি করবে বলে জানিয়েছে তারা যেখানে চাঁদে দীর্ঘমেয়াদী অভিযান চালানোর জন্য অবকাঠামো থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।

আশা করা যাচ্ছে যে খুব শীঘ্রয় চাঁদে আরেকটি সফল অভিযান বিশ্ববাসী খুব শীঘ্রয় দেখবে। তবে সময়টি ধারনা করা হচ্ছে ২০২৪ সাল। তো, দেখা যাক কি হয়!

Related Posts

18 Comments

মন্তব্য করুন