ভালবাসার বাগানে একটি গোলাপ ফুল, প্রেমের স্ট্যাটাস

স্বর্গে থেকে আসে প্রেম স্বর্গে চলে যায়। সেই ভালবাসা আমি তোমাকে দিলাম। তুমি আমাকে কি দিলে? একটি লাল গোলাপ ফুল। সেই গোলাপ’ আমি বুকে বেঁধে নিলাম।তখন আমাদের ভালবাসা হল। সেই ভালবাসা অনেক গভীর । আজ যদি আবার সে ভালবাসা ফিরে আসত!

সেই ভালবাসা আবার ফিরে আসলে কি হত? সেই ভালবাসা আবার ফিরে আসলে আমাদের নতুন নাম হত।

সেই ভালবাসা আবার ফিরে আসলে আমি শুধু তোমাকে দেখতাম, তুমি শুধু আমাকে দেখতে ; গোলাপে গোলাপে ছেয়ে যেতো সারা পৃথিবী।

একদিন তুমি আমার ছিলে। আমাকে দেখলেই বাম কানের লতি এগিয়ে দিতে। সে কথা মনে পড়ত।

তুমি আমার নতুন নাম নিতে আমি তোমার নতুন নাম নিতাম। আমরা হতাম পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।

আমাদের নিয়ে এমন গল্প হত যে গল্পের কোন শেষ নেই।

<

আজ তুমি আমার নয় সে কথাও খুব মনে পড়ত। সে কথা মনে পড়লে আমরা অন্য কোথাও হারিয়ে যেতাম।

কার কথা মনে পড়লে এ পৃথিবী সুন্দর? বনশ্রী রায়।সে কথা মনে পড়ত। সে কথা মনে পড়লে আমরা হাওয়াই জাহাজে দূরে কোথাও ঘুরে আসতাম।

কবি জীবনানন্দ রায় বলেছিলেন ভালবাস। আমরা শুধু ভালবাসতাম, আমরা হতাম ভালবাসার নীল পাহাড়’ নদী।

ভালবেসে কেউ দেউলিয়া হয়েছিল? না কেউ দেউলিয়া হয়নি। দেউলিয়া হয়েছিল শুধু একজন, কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী। তিনি ভালবেসে মরে গিয়েছিলেন। আমরাও মরে যেতাম।

আমাদের এই যে এত নাম সে কোথাও হারিয়ে যেত।আমরা যেখান থেকে হোক তাকে খুঁজে আনতাম।

চড়ুই পাখি একদিন বাবুই পাখিকে না দেখে থাকতে পারেনা। আমি তোমাকে দেখে একদিন থাকতাম, আমাদের নতুন নাম হত।

যে কথাটি বলা যায়না সে কথাটি সবচেয়ে সুন্দর। সে কথাটি হল আমি তোমাকে ভালবাসি। আমি তোমাকে দিনরাত শুধু সে কথাটি বলতাম।

একদিন গোলাপের কানে হাস্নাহেনা বলেছিল, আজ আকাশে একটি নতুন সূর্য উঠবে। সে নতুন সূর্য উঠেছিল। গোলাপ হাস্নাহেনাকে জড়িয়ে ধরেছিল।আমিও তোমাকে জড়িয়ে ধরতাম।

তার কথা শুনলে জানে প্রাণ থাকেনা। সে দিনরাত শুধু আকাশের পঞ্চ তারকার কথা বলে। পঞ্চ তারকা নাকি হিসু করতে গেলে হাসতে হাসতে মরে যায়। আমিও সে কথা বলতাম।

লোকটি হাঁটতে হাঁটতে দশ মাইল হাঁটল। দশ মাইলের মাথায় সে একটি গোলাপ ফুল পেল।সে এটা পকেটে পুরে নিল। আমিও সেটা পকেটে পুরে নিতাম।

ধর দুই দিনের পৃথিবী, তুমি আর আমি ছাড়া সে পৃথিবীতে কেউ নেই, আমরা একে অপরকে শুধু ভালবাসি। তেমন একটি পৃথিবীর সৃষ্টি হত।

যাইহোক অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হল সেই দিন ফিরে আসেনা। তাইতো আমাদের কেবল দুঃখ। আমরা হাঁটতে গেলেও বলি দুঃখ, কাটতে গেলেও বলি দুঃখ। আমাদের দুঃখের কোন শেষ নেই।

দুঃখ করতে করতে আমরা একবার বাঁচি,দুঃখ করতে করতে আমরা একবার মরি।আমাদের নিয়ে নতুন গল্প হয়। সে গল্পে পৃথিবী ছেয়ে যায়। আমাদের মনে আমরা হই দুঃখের রাজা। আমরা বলি, এমন একটি দিন কেন আসল?

দুঃখ নিয়ে যদি কাউকে মরতে হয় তাহলে তার মনে এক গভীর দুঃখ রয়ে যায়। আমাদের মনে সে দুঃখ। আমরা কোথায় যাব?

কালরাতে শুনেছি একজন মারা গেছে। মারা যাওয়ার আগে বলেছিল, সে তার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রিয়তমাকে কাছে পেয়েছিল। সে এটা পেয়েছিল নাকি তাল গাছের আগায় সাধনা করে। আমরাও তাল গাছের আগায় সাধনা করব সে একদিন নিশ্চয়ই আসবে।

হরিরাম দাস অনেক ভাল লোক ছিলেন। মরার আগে বলেছিলেন আমাকে কেউ ভালবাসলনা। তার ভালবাসায় নাকি খাদ ছিল। আমাদের ভালবাসায় কোন খাদ নেই, আমাদের ভালবাসা নিশ্চয়ই একদিন পূর্ণ হবে।

গোলাপের হাসি দেখলে বার বার মরতে ইচ্ছে হয়। গোলাপের হাসিতে কি যাদু আছে। আমাদের ভালবাসায়ও যাদু আছে, আমাদের ভালবাসা নিশ্চয়ই একদিন পূর্ণ হবে।

একদিনে তিনটি ফুল ফোটে। আজ ফুটেছে চারটি ফুল? কেন? আজ কে যেন বলছে সে আসবে। তার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক।

তারাটি কত লাল? তারাটি একশ একভাগ লাল। সে বলছে সে আসবে। সে একশ পাঁচভাগ লাল হয়ে যাক।

গোলাপের বাগানে চারশ চারটি গোলাপ। আর একটি হলে চারশ পাঁচটি হত।সেটি কবে ফুটবে সেটাই এখন অপেক্ষার বিষয়।

Related Posts

1 Comment

মন্তব্য করুন