ভালো অভ্যাস তৈরি করার সহজ উপায়।

আমরা প্রায় শুনে থাকি মানুষ অভ্যাসের দাস। মানুষ অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারে না। আর আমাদের মাঝে অধিকাংশ মানুষই  বিশ্বাস করে থাকে যে কথাট সত্য। কিন্তু আসলেই এটি মিথ্যা কথা। সত্য কথাটা এর সম্পূর্ন বিপরীত। আর সত্য হলো এটা “অভ্যাস মানুষের দাস মানুষ অভ্যসের নয় আর অভ্যসকে খুব সহজেই পরিবর্তন করা যায়”।

আপনি চাইলে খুব সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন আপনার অভ্যাসগুলো। খারাপ অভ্যাসগুলোকে বর্জন আর ভালো অভ্যাসকে গ্রহণের মাধ্যমে গড়ে তুলতে পারেন একটি ইতিবাচক জীবন। আর আপনি অভ্যাস পরিবর্তন করা যতটা কঠিন মনে করেছেন আসলেই অভ্যাস পরিবর্তন করা তার চেয়ে অনেক বেশি সহজ। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন হবে কিছু পদ্ধিতি অনুশরন করা।

পদ্ধতিগুলো অনুশরন করার আগে আপনাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে একটি কথা। আর তা হলো “অভ্যাস মানুষের দাস মানুষ অভ্যাসের নয় আর অভ্যাসকে খুব সহজেই পরিবর্তন করা যায়।” এরপর অনুশরন করুন নিন্মলিখিত ৫টি পদ্ধতি।

লক্ষ্য নির্ধারণ করা :

প্রথমেই আপনাকেরস্পষ্টভাবে নির্ধারন করতে হবে আপনি কি খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে চান আর কি ভালো অভ্যাস আয়ত্ত করতে চান । যেমন ধরুন আপনি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে চান । তাহলে আপনাকে স্পষ্টভাবে নির্ধারন করতে হবে আপনি ভোর ০৫ ঘটিকায় ঘুম থেকে উঠতে চান।

বিলম্ব না করে আজই শুরু করা :

আমরা প্রত্যেকেই জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন করার চিন্তা করে থাকি। আর অধিকাংশ মানুষই মনে মনে এটা বলি যে, “ আগামীকাল থেকে শুরু করবো।” কিন্তু আগামীকাল আসলে আমাদের আর শুরু করা হয় না। তাই বিলম্ব না করে আজই শুরু করতে হবে।

অল্প করে শুরু করতে হবে :

একদিনে কোন অভ্যাসকে আয়ত্ত বা কোন অভ্যাসকে ত্যাগ করা সম্ভব না । তাই অল্প অল্প করে আমাদের অভ্যাস করতে হবে। যেমন ধরুন অপনি ব্যায়াম এর অভ্যাস বানাতে চান। তাহলে আপনাকে প্রথম দিনে ০৫ মিনিট, পরদিন ০৬ মিনিট, তারপর ০৭ মিনিট । এভাবে আপনাকে ব্যায়াম করার অভ্যাস বানাতে হবে।

উপভোগ করা :

আপনি যে অভ্যাস বানাতে চান সেই অভ্যাসের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে চিন্তা করুন আর উপভোগ করুন। আর এটি এমন, আপনি খুর ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস বানাতে চান । তাহলে আপনাকে প্রতিদিন ভোরের হাওয়া ও মনোরম পরিবেশ উপভেগ করতে হবে। আপনাকে খুব ভোরে উঠার ইতিবাচক দিকগুলো বেশি বেশি চিন্তা করতে হবে।

জবাবদিহিতা করা :

কোন অভ্যাস তৈরি করার জন্য নিজেই নিজের জবাবদিহিতা তৈরি করুন। আর তার জন্য আপনাকে তৈরি করতে হবে এক বা একধিক পার্টনার । সেই মানুষগুলো হতে পারে আপনার বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের কোন সদস্য বা আপনার মতো ভালো অভ্যাস তৈরি করতে চায় এমন যে কেউ।

Related Posts