ভালো এসি চেনার উপায়, এসি কেনার কথা ভাবছেন?

আপনি কি AC কেনার কথা ভাবছেন?

তাহলে জেনে নিন কোন ধরনের AC আপনার জন্য প্রযোজ্য। প্রথমত জানতে হবে বাজারে কয় ধরনের AC পাওয়া যায়, লো ভোলটেজ আর ইনভারটার। ইনভারটার এর মধ্যে এখন নতুন টেকনলজি এ্যাড করা হয়েছে গ্রিন ইনভারটার আর ব্লু পিন টেকনলোজি।

এবার আসুন আপনি এসি টা কোথায় বসাবেন অফিসে নাকি বাসায়?

বাসায় হলে অবশ্যই লো ভোলটেজ লাগানো উচিত , কেননা বাসায় অনেক সময় ভোলটেজ এর সমস্যা দেখা দেয় আর লো ভোলটেজ এর কাজ ই হচ্ছে লো ভোলটেজ এ স্টার্ট নেওয়া তার মানে ১৫০ -১৬০ ভোলটেজ থাকলেও আপনার এসি স্টার্ট নিতে সমস্যা হবে না।

আর ইনভারটার এর কাজ হচ্ছে আপনার রুম এর তাপ মাত্রা অনুযায়ী এসি চালু হবে এবং বন্ধ হবে, মনে করেন আপনার রুম এ ৫জন মানুষ আছে এখন আবার ২জন মানুষ আপনার রুমে প্রবেশ করলো সে ক্ষেত্রে আপনার রুমের তাপমাত্রা অবশ্যই বেড়ে যাবে আর ঔ সময় আপনার রুমকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঠান্ডা করার জন্য ইনভারটার এসি অটো স্টার্ট নিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঠান্ডা হওয়ার পর আবার অটো বন্ধ হওয়ে যাবে!

কম্প্রেসর অটো বন্ধ হওয়ায় আপনার সুবিধা হচ্ছে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে , তার মানে আপনার এসি যতখন চলবে ততখন কিন্তু বিদ্যুৎ বিল আসবে না অনলি যতখন কম্প্রেসর চলবে ততখন বিদ্যুৎ বিল আসবে!

এবার আসুন আপনার রুমে কত টন এসি প্রয়োজন? আপনার রুম কি ১০/১২, ১০/১৫, নাকি ১০/২০?

মোট কথা আপনার রুম যদি ১০০-১২০ ফিট হয় তাহলে ১টন লাগাতে হবে ,আর যদি ১২০-১৫০ এর মধ্যে হয় তাহলে ১.৫ টন লাগাতেএসিহবে আর যদি রুম এর সাইজ আরো বেশি হয় তাহলে অবশ্যই ২টন লাগাতে হবে!
আর এসি ফিটিং এর বিষয়টা মুটামুটি সব কোম্পানি নিজ দায়িত্বে করে দেয়!( শুধু জেনারেল এসি ছাড়া)

তবে, আউটডর বসানোর জন্য যদি এংগেল প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই নিজেদের খরচে লাগাতে হবে। আর ইনডর আউটডোর কানেকশন এর জন্য কোম্পানি ১০ফিট কানেকশন পাইপ দিবে আপনার এসির ইনডর আর আউড এর দূরত্ব যদি ১০ ফিট এর বেশি হয় তবে অতিরিক্ত পাইপ এর খরচ টা আপনাকে বহন করতে হবে।

<

আর এসির সর্ভিস সাধারনত লো ভোলটেজ গুলো কম্প্রেসর গ্যারান্টি দিয়ে থাকে ৩বছর আর আদার্স কোনো সমস্যা হলে সার্ভিসিং দিয়ে থাকেন ১বছর। ইনভারটার এর ক্ষেত্রে ৫বছর কম্প্রেসার গ্যারিন্টি আর আদার্স সমস্যা হলে ২বছর সার্ভিসিং দিয়ে থাকেন।

আপনি কি এসি নেওয়ার কথা ভাবছেন, কিন্তু একসাথে ৪০/৫০হাজার টাকা এই মূহুর্তে হাতে না থাকায় কিনতে পারছেন না?
তাহলে আর চিন্তা কিসের এখন সকল কোম্পানিতেই রয়েছে নো ইন্টারেস্ট এ কিস্তি সুবিধা,মাত্র ১০/১২ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে আজই নিয়ে আসুন আপনার পছন্দের এসি!
আগে কিনুন পরে পরিশোধ করুন।

যেমন,মনে করেন একটা ১.৫টন এসির দাম ৪৫ হাজার টাকা আপনি এখন ১৫ হাজার টাকা দিলেন বাকি ৩০ হাজার ৫০০০×৬ =৩০০০০

আর প্রথমে যদি আরো বেশি পরিশোধ করেন তাহলে মাসিক কিস্তির পরিমান আরো কমে যাবে।
সো আর দেরি না করে গরমে স্বস্তিতে থাকতে আজই নিয়ে আসুন আপনার পচন্দের এসি।

Related Posts

2 Comments

মন্তব্য করুন