ভৌতিক কাহিনী (পাহাড়ি ডাকিনী)

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন??? আজকে যে গল্পটি বলব সেটি একটি কাল্পনিক গল্প । বাস্তবতার সাথে যার কোন মিল নেই। এটি আমার তৃতীয় গল্প সুতরাং যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে সবাই সেটিকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।।

কিছু একটার বিকট আওয়াজে জ্ঞান ফিরলো অভিকের।।। চোখ খুলেই দেখল একটা গুহার ভিতরে পড়ে আছে সে। আশেপাশে অসংখ্য হাড়গোড় পাশেই পড়ে আছে ঝুমা আর তিশা ওদের গায়ে হাত দিয়ে শিউড়ে উঠলো অভিক। কি হিম শীতল পড়ে বুঝতে পারল ওরা আর বেঁচে নেই। রতনের দেহটা ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখল পাশেই। আচ্ছা মফিস মামা কই উনিত গাড়ি চালাচ্ছিলাম। জানিনা আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না হঠাৎ করে কি হয়ে গেল।

শামিম আর মুকাদ্দেস ইবা কৈ গেল । আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না। আমরা ছয় বন্ধু আর রতনের মফিজ মামা একসাথে পাহাড়ের রাস্তা দিয়ে ঝরনা দেখতে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ কোথা থেকে একটা গাড়ী এসে আমাদের গাড়িটা কে ধাক্কা মারে। আমাদের গাড়িটা খাদে পড়ে যায়। তখন আমার জ্ঞান ছিল আমি সাফ সাফ দেখতে পেয়েছিলাম সবাই জীবিত আছে। কিন্তু সেই খাদ থেকে আমরা কিভাবে এই গুহায় পৌছালাম। শামীম মোকাদ্দেস আর মফিজ মামায় বা কই গেল। রতনের দেহটাকে কিভাবে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করল। ভাবতেও কেমন লাগছে।
কিছুক্ষণের জন্য আমার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু একটার আওয়াজ পেলাম। হয়তোবা কেউ আসছে আমাদের দিকে। কে সে??????? ভয় লাগছিল….. যাই হোক সাহস করে উঠে দাঁড়ালাম দেখতে পেলাম একজন বৃদ্ধ মহিলা কিন্তু তার হাতের নখ গুলো এত বড় কেন????? চোখগুলো এত ভয়ানক কেন???? পোশাকে এত রক্তমাখানো কেন????
আমি ভেবেছিলাম হয়তো আমাদের সাহায্য করতে আসছে বৃদ্ধ মহিলাটি কিন্তু না আমাদের এই অবস্থার জন্য উনি দায়ী ।।।।।। আমাকেও জাগ্রত অবস্থায় দেখেই উনি হাসি দিলেন,,,, বললেন মৃত শিকারের চাইতে জীবিত শিকারের মজাই আলাদা।।।।।। একটা হাসি দিলেন বীভৎস প্রকৃতির।। আমার বুঝতে বাকি রইল না তিনি কোনো মানুষ নয়।।
মনে মনে আল্লাহকে অনেক ডাকলাম এরপর চিৎকার করে বললাম আমার বাকি সঙ্গীরা কই কি করেছেন তাদের সাথে জবাব দিন?????? ডাকিনী টি আমাকে বলল এত চিৎকার করিস না এটা আমার এলাকা….. এখানে আসার আগে মনে ছিলনা যে কোথায় আসছিস???
তোর বাকি সংগীদের কথা কি বলব ওদের সবার রক্ত খাওয়া শেষ।।।।। তোর বাকি তিনসঙ্গী ছিলনা ওদের মধ্যে মোটাটার শরীরে রক্ত নেই মাংস আর মাংস কি খেয়ে যে এত মাংস গায়ে ধরিয়েছে ।।।।। কিন্তু চিকনা দুইটার গায়ে অনেক রক্ত ছিল ওদের অনেক কষ্ট দিয়ে মেরেছে।।।। তুই চিন্তা করিস না কিছুক্ষণের মধ্যে তুই ও ওদের কাছে চলে যাবি কি বলিস পাঠাবো,,,,,,,,,,, আমি চুপ করে শুধু শুনছিলাম আর ভাবছিলাম এখান থেকে কেমন করে পালিয়ে যাব। ডাকিনী টি তখনই বলল যত ইচ্ছা খাঁচায় বন্দি পাখির মত পাখা ঝাপটা একটু পরে তোর প্রাণনাশ করবো আমি,,,, এই বলে ডাকিনী টি অভিকের দিকে ছুটে আসতে লাগলো তার বড় বড় দাঁতগুলো চকচক করছিল। যখনই ডাকিনীটি অভিকের কাছে এসে ওর গলায় দাঁত বসিয়ে দিল অভিক চিৎকার করে উঠলো। অভিকের চিৎকার শুনে ঝুমা তিশা রতন শামীম মোকাদ্দেস অভিকের দিকে চেয়ে রইল আর মফিজ মামা বলছে কি মামু কি মনে হল তাই চিৎকার করছেন।।।। অভিক এবার বুঝতে পারল আসলে সে কোন দুঃস্বপ্ন দেখেছে।
এবার এবার অভিক সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,না তেমন কিছু না হঠাৎ করে একটা দুঃস্বপ্ন দেখেছি তো তাই।।।।। কিন্তু অভিক একটা জিনিস দেখে অবাক হল তার গলায় দাঁতের ছাপ চুঁইয়ে চুঁইয়ে রক্ত পরছে,,,,,,,,,,,, কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

<

Related Posts