মহামারি কোভিড-১৯ চলাকালীন সময়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের আইকিউ সাধারণ শিশুদের তুলনায় কম

মহামারি কোভিড-১৯ চলাকালীন সময়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের আইকিউ সাধারণ শিশুদের তুলনায় কম -এমনটাই মার্কিন এক গবেষণায় দেখা গেছে! এই সংবাদটি ভবিষ্যতে কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে? এতে করে পরবর্তী প্রজন্ম কী হুমকির সম্মুখীন হতে পারে?

কোভিড মহামারি চলাকালীন সময়ে জন্মগ্রহণকৃত শিশুরা সাধারণ শিশুদের তুলনায় মৌখিক,ভাব-ভঙ্গি এবং সার্বিক জ্ঞানের দিক থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে। মহামারির আগের দশ বছরে যেখানে সাধারণ পরীক্ষায় শিশুদের আইকিউ ১০০ এর আশেপাশে থাকে, সেখানে কোভিড মহামারির সময়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের আইকিউ গড়ে ৭৮। যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম বলা যায়!

একটি শিশুর জীবনের প্রথম কয়েক বছর তার জ্ঞানের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কোভিডের কারণে নার্সারি,স্কুল ও খেলার মাঠ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা শিশুদের জীবনে যথেষ্ট পরিবর্তন এনেছে। এছাড়াও বাবা-মা কাজের সাথে শিশুর দেখভাল করার ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এর সম্ভাব্য কারণ বাড়িতে সীমিত উদ্দীপনা, বাইরের বিশ্বের সাথে কম মিথস্ক্রিয়া সহ তাঁদের পরিপূর্ণ বিকাশ ব্যহত হওয়া। যার ফলে তাদের আইকিউ তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে!

গবেষণায় রোড আইল্যান্ড রাজ্যের 672 জন শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো। এর মধ্যে 188 জনের জন্ম 2020 সালের জুলাইয়ের পরে এবং 308 জনের জন্ম 2019 সালের জানুয়ারির আগে, যেখানে 176 জন জানুয়ারি 2019 থেকে মার্চ 2020-এর মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিল। গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত শিশুরা পূর্ণ-মেয়াদী জন্মগ্রহণ করেছিল, তাদের কোনো বিকাশগত অক্ষমতা ছিল না এবং বেশিরভাগই সাদা ছিলো।

ব্রাউন ইউনিভার্সিটির পেডিয়াট্রিক্স (গবেষণা) এর সহযোগী অধ্যাপক শন ডিওনি বলেন,”স্কোর পতনের পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ সম্ভবত বাড়িতে উদ্দীপনা এবং মিথস্ক্রিয়া অভাব, বাবা-মায়েরা টেনশনে থাকেন এবং হতাশ হয়ে পড়েন… শিশুর সাধারণত যে মিথস্ক্রিয়া হয় তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।” এই নিম্ন আইকিউ দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। “জীবনের প্রথম কয়েক বছরে, জ্ঞানের ভিত্তি স্থাপিত হয়, অনেকটা একটি বাড়ি তৈরির মতো “

যেহুতু মহামারি চলছে,আমাদের সকলের সাবধান ও সতর্ক থাকা উচিত। সাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত! মাস্ক পড়ে বাইরে যাওয়া উচিৎ। এই মুহুর্তে মাস্ক ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। মহামারির এই সময়ে যা যা করবেন! –
১. বারবার হাত ধোয়া(কমপক্ষে ১ মিনিট সাবান দিয়ে)
২. দূরে থাকুন(অন্তত ৩ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন)
৩.হাত দিয়ে নাক–মুখ স্পর্শ নয়
৪. কাশির আদব কায়দা মেনে চলুন
৫. প্রয়োজনে ঘরে থাকুন
৬. খাবারের ক্ষেত্রে সাবধানতা
৭. ভ্রমণে সতর্ক থাকুন
৮. অভ্যর্থনায় সতর্কতা
৯. স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য নিন
১০.ডাক্তারের পরামর্শ নিন
১১. সঠিক তথ্য জানুন
১২.গুজবে কান দিবেন না

Source:Various Journals(Including-The Guardian) –নিয়ামুল মোর্শেদ

Related Posts

24 Comments

মন্তব্য করুন