” মাদকাসক্তি ও তার প্রতিকার সম্পর্কে “

মাদক সকল দেশের জন্যে সর্বনাশ বয়ে আনে। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মের উল্লেখযোগ্য অংশ আজ এক সর্বনাশা মরণনেশায় শিকার। সে নেশা মাদকের। যে তরুনের ঐতিহ্য রয়েছে সংগ্রামের, প্রতিবাদের, যুদ্ধজয়ে আজ তারা নিঃস্ব হচ্ছে মরণনেশায় করার ছোবলেে। মাদকনেশায় যন্ত্রণায় র্ধুকছে শত সহস্র প্রাণ। ঘরে ঘরে হচ্ছে উদ্বেগ। ভাবিত হচ্ছে সমাজ, এ পরিস্থিতি মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমাদের সবসময় সর্তকতার সাথে থাকতে হবে ।কোনোভাবে একবার কেউ মাদকাসক্ত হলে অচিরেই নেশা তাকে পেয়ে বসে। সে হয়ে পড়ে নেশার কারাগারে বন্দি। মাদকাসক্তির ফলে তার আচার আচারনে দেখা যায় অস্বাভাবিকতা। তার চেহারার লাবণ্য হারিয়ে যায় ।মাদকাসক্ত ব্যক্তি ছাএ হলে তার বইপএ হারিয়ে ফেলে, পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায়। মাদকের খরচ জোগাতে চুরি করা ইত্যাদি নতুন নতুন উপসর্গ দেখা দেয়। নেশার জন্য প্রয়োজনীয় ড্রাগ না পেলে মাদকাসক্তরা প্রায়ই ক্ষিপ্ত হয়ে পরে। লোকের সঙ্গে এরা দুর্ব্যবহার করে ।মাদকের প্রভাবে রোগীর শারীরিক প্রতিক্রিয়াও হয় নেতিবাচক। তার মননশক্তি দুর্বল হতে থাকে। তার শরীর ভেঙে পড়ে। ক্রমে স্নায়ু শিথিল ও অসাড় হয়ে আসে। এভাবে সে মারাত্মক পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়। বিশ্বজুড় যে মাদক ছড়িয়ে পড়েছে তার থাবা থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা ভাবছেন। এবং দেশেে দেশেে নানা সংস্থা ও সংগঠন মাদকবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে ।আমাদের দেশেও মাদকবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। বেতার,  টিভি, সংবাদপএ ইত্যাদি গণমাধ্যমে মাদকাবিরোধী জনমত গঠন সক্রিয় হয়েছে। মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে।

মাদকাসক্তি প্রতিরোধ করার পাঁচটি উপায়

১.মাদকাসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ভেষক  ও মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ।

২.সুস্থ বিনোদনমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে তরুণদের সম্পৃত্ত করে নেশার হাতসানি থেকে তাদের দূরে রাখা।

৩.ব্যাপক প্রচারণায় মাধ্যমে মাদকাসক্তি মর্মান্তিক পরিনতি সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা।

৪.মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে কার্যক্রর ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

<

৫.বেকার যুবকদের জন্যে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

এছাড়াও আমাদের সকলকে মাদক সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। এবং অন্যকে এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে।

 

Related Posts