মাদারীপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক এক

মাদারীপুর শহরের বাদামতলা এলাকায় বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ৭ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শিশুটি ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গৌতম সাহা (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিশুকে মাদারীপুর সদর হসাপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মাদারীপুর শহরের বাদামতলায় এলাকায় নির্যাতিতা শিশুটির পরিবার ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ওই এলাকায় সেখানে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন গৌতম সাহাও। দুপুরে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে এসময়ে শিশুটি একটি খালি ঘরে ডেকে নিয়ে যায় গৌতম সাহা। কিছু¶ন পরে পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া সুমি আক্তার বিষয়টি টের পেয়ে যায় পরে ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় গৌতম সাহা। পরে সুমি আক্তার ঘরে ঢুকে দেখতে পায় শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায়।

ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। গৌতম সাহা ঘর থেকে পালিয়ে গেলেও স্থানীয়রা তাকে খুঁজে পায় শহরের বিসিক এলাকায় সেখানে থেকে আটক করে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনার পরে এলাকাবাসী এখন গৌতম সাহার বিচারের দাবি করেন।

স্থানীয় একাধিকসূত্রে জানা যায়, শহরের বাদামতলায় এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন গৌতম সাহা সেখানে নির্যাতিতা শিশুটির পরিবার থাকতেন। দুপুরে বাড়ি ফাঁকা থাকায় এসময়ে শিশুটি একটি খালি ঘরে ডেকে নিয়ে যায় গৌতম। কিছু¶ন পরে পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া সুমি আক্তার বিষয়টি টের পাওয়ার সাথেসাথে দৌড়ে পালিয়ে যায় গৌতম সাহা। পরে সুমি আক্তার ঘরে ঢুকে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে। ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থান থেকে অভিযুক্ত গৌতম সাহা পালিয়ে গেলেও পরে শহরের বিসিক এলাকা থেকে তাকে খুঁজে বের করে পুলিশে ধরিয়ে দেয় স্থানীয় জনতা।

ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বলেন, আমি ব্যবসার কাজে বাইরে ছিলাম, আমার স্ত্রী রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিল। এই সুযোগে আমার মেয়েকে একা পেয়ে গৌতম সাহা ধর্ষণ করেছে। আমি এর বিচার চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিবেশী সুমি আক্তার বলেন, প্রথমে ঘটনা আমি দেখি, আমি দেখে ফেলায় আমাকে দেখে গৌতম ঘর থেকে তাড়াহুড়া করে বেরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমি ঐ ঘরে গিয়ে দেখি শিশুটি অসুস্থ অবস্থায় কাতরাচ্ছে, তার পরনের প্যান্ট রক্তে ভেজা। আমরা এর বিচার চাই।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান পাভেল বলেন, শিশুটির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, এই ঘটনায় আমরা একজনকে আটক করেছি। আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

মাসুদ রেজা ফিরোজী, সাংবাদিক

Related Posts

17 Comments

মন্তব্য করুন