মাধ্যমিক শিক্ষাথীদের এসাইনমেন্ট সিলেবাস লিংক। এবারের বার্ষিক পরীক্ষা এবং সরকারে নতুন ঘোষণা।

পহেলা নভেম্বরব থেকে শিক্ষার্থীরা যে এসাইনমেন্ট সাবমিট করবে তার ডাউনলোড লিংক NCTB কর্তৃক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এবারের বার্ষিক পরীক্ষা সম্বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্ত এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কিভাবে এসাইনেমন্ট দিবে এবং সিলেবাস এই লেখায় দেওয়া হবে। 

 সরকার কোন বার্ষিক পরীক্ষা মাধ্যমিক পর্যায়ে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আমাদের সরকার এবার মাধ্যমিক পর্যায়ে কোন বার্ষিক পরীক্ষা নিবে না।

তিনি আরো বলেছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে অ্যাসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে। এবং সেখানে তাদের দুর্বলতা খুঁজে শিক্ষকেরা পরবর্তী একাডেমিক বছরে তাদেরকে এ বিষয়ে পাঠদান ও মূল্যায়ন করবেন।

পাশাপাশি এবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।

তিনি এ সিদ্ধান্তটি নেন একটি ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে। 

তিনি আরো বলেন, ন্যাশনাল কারিকুলাম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ড 30 দিনের একটি দীর্ঘ সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। যেটি প্রত্যেকের মাধ্যমিক স্কুলে অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে নিতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রী আরো বলেছেন, সামাজিক কর্তৃপক্ষ বা কর্মীরা অ্যাসাইনমেন্ট সমূহ ডেলিভার করবে এবং শিক্ষার্থীদের থেকে সেটি সংগ্রহ করবে।

এ বছর কোনো বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। এবং শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের থেকে কোন রকম বার্ষিক পরীক্ষা সরাসরি স্কুলে নিতে পারবে না। বরং অ্যাসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে এবার মূল্যায়ন হবে।

ষষ্ঠ-নবম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট এর সিলেবাস লিংক এখানে ক্লিক করুন।

 আবার, এ অ্যাসাইনমেন্ট এর রেজাল্ট কোনরকম পরবর্তী একাডেমিক বছরে প্রভাব ফেলবে না সেটাও মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন।

কথাবার্তার পাশাপাশি তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে,  পূর্ববর্তী বছরের রোল অনুযায়ী বা রেজাল্ট অনুযায়ী পরবর্তী বছরে মেধাক্রম অনুসারে রেজাল্ট দেয়া হবে অথবা এ বিষয়ে শিক্ষকদের ভালো ধারণা আছে।

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, মানবিক এবং কমার্স সেকশনে পরবর্তী ক্লাস নাইনে দেয়ার ব্যাপারে শিক্ষকেরা দেরিতে আলোচনা করবে।

যারা অনলাইন ক্লাস এ অংশগ্রহণ করেছে এবং ফলো করেছে তারা বাসায় বসে আবার পড়া সমূহর রিভাইস দিবে। আর যারা অনলাইন ক্লাস করতে পারেনি তারা 30 দিনের অ্যাসাইনমেন্টে তাদের পড়া কমপ্লিট করবে।

টেকনিক্যাল বোর্ডের স্টুডেন্ট রা তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের পরবর্তীতে ইনস্ট্রাকশন দিবে।

উপশিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, টেকনিক্যাল এবং মাদরাসা বোর্ডের সেকরেটারি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম,প্রফেসর ড. সায়েদ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক সহ আরো অনেকে এ ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অংশ নেন। 

আমরা জানি, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মার্চের 16 তারিখের পর থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় সরকারি নির্দেশে করোমা মহামারীর কারণে। অক্টোবর 31 তারিখ পর্যন্ত বন্ধ ছিল, পরবর্তীতে 14 নভেম্বর বন্ধ রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়া এবার পিইসি অনুষ্ঠিত হবে না তার মানে হলো, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। তারা এমনিই পরবর্তী বছরে প্রমোশন পাবে।

শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, তারা আরো নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নিবে। কেননা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, শীতকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসবে যার ফলে আরো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে এই মহামারী করোনা।

[মৌলিক পোস্ট/রিসার্চ]

 

keyword: assignment class 9 syllabus, assignment class 8 syllabus, assignment class 7 syllabus, assignment class 6 syllabus, assignment corona bd, dr. dipu moni briefing, এবারের বার্ষিক পরীক্ষা, psc exam 2020, jsc exam 2020, hsc 2020, annual exam 2020, pec 2020

Related Posts

17 Comments

  1. সটিক সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ। এ টা সঠিক হয়েছে বলেআমি মনে করি।
    তিনি বলে- পহেলা নভেম্বরব থেকে শিক্ষার্থীরা যে এসাইনমেন্ট সাবমিট করবে তার ডাউনলোড লিংক NCTB কর্তৃক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এবারের বার্ষিক পরীক্ষা সম্বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্ত এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কিভাবে এসাইনেমন্ট দিবে এবং সিলেবাস এই লেখায় দেওয়া হবে।
     এছাড়া এবার পিইসি অনুষ্ঠিত হবে না তার মানে হলো, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। তারা এমনিই পরবর্তী বছরে প্রমোশন পাবে।
    শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, তারা আরো নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নিবে। কেননা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, শীতকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসবে যার ফলে আরো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে এই মহামারী করোনা। তিনি আরও বলে কথা বার্তার পাশাপাশি তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, পূর্ববর্তী বছরের রোল অনুযায়ী বা রেজাল্ট অনুযায়ী পরবর্তী বছরে মেধাক্রম অনুসারে রেজাল্ট দেয়া হবে অথবা এ বিষয়ে শিক্ষকদের ভালো ধারণা আছে।মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে অ্যাসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে এবং সেখানে তাদের দুর্বলতা খুঁজে শিক্ষকেরা পরবর্তী একাডেমিক বছরে তাদেরকে এ বিষয়ে পাঠদান ও মূল্যায়ন করবেন।
    সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে। কারণ বর্তমান পরিস্থির জন্য নতুন করে অনেক ভাবনাই ভাবতে হবে সরকারকে। সরকার চায় দেশের সর্ব দিক ঠিক থাক আর দেশের উন্নতি হোক। আমি বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জাইন যে, চরম প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের অবস্থা ভাল রাখতে যথেষ্ট বুদ্ধি কাজে লাগিয়েছেন।এরকম অবস্থায় অনেক দেশ পিছিয়েইতি মধ্যেই সরকার অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে। যেমন-কখনো ফেসবুক লাইভ কিংবা জুম ব্যবহার করে শিক্ষকরা তাদের ক্লাস নিচ্ছেন। ক্লাসে অংশ নিতে মায়ের মোবাইল ব্যবহার করে ফাইজা।
    তার মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফেরদৌসি রেজা চৌধুরী জানান, বেলা বারোটা থেকে দুইটা পর্যন্ত অনলাইনে প্রতিদিন এভাবেই ক্লাস করতে হচ্ছে তার মেয়েকে।
     
    ঢাকায় সরকারি বেসরকারি বিশেষ করে সুপরিচিত স্কুলগুলোতে গত এক মাস ধরেই এমন চর্চা চলছে।
    করোনাভাইরাসের কারণে সরকার গত মার্চে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর এপ্রিল পর্যন্ত ঈদসহ নানা ছুটির কারণে মে মাস থেকেই অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর কাজ শুরু করে অনেক স্কুল।
    ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, যশোর, রাজশাহী ও সাতক্ষীরাসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে এ ধরণের অনলাইন শিক্ষাদান কর্মসূচি চালু করেছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
    তবে শহরাঞ্চলে ঠিক কত স্কুল অনলাইনে পাঠদান শুরু করেছে আর কতগুলোতে চালু করা যায়নি তার কোনো হিসেব নেই।
    আবার সরকারি স্কুলগুলোতে অনলাইনের চেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে সংসদ টিভির মাধ্যমে স্কুলের সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান প্রক্রিয়াকে।

মন্তব্য করুন