মৃত বন্ধুকে নিয়ে স্মরণীয় স্ট্যাটাস

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ।কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সব সময়। মৃত বন্ধুকে নিয়ে স্মরণীয় স্ট্যাটাস –

বন্ধুত্ত সারাজীবনের এক মধুর সম্পর্কের নাম।পাশে হাত রেখে সাথে চলার নাম বন্ধুত্ত।জীবনের সকল পরিস্থিতিকে পাশে থেকে চিন্তা করিস না কথাটি বলার নাম বন্ধুত্ত।মানুষ এর জীবন খুব সল্প। এই সল্প জীবনে তাকে নানান ধরণের কাজ করতে হয়।নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে হয় এবং সেই সাথে নিজের স্বপ্নগুলোকেও প্রতিষ্ঠিত করতে হয়।এই স্বপ্ন পূরনের এবং প্রতিষ্ঠিত হবার পথচলায় কিছু কিছু মানুষের সাথে পরিচিতি হয় যা তাকে সারাজীবন এর ভরসার জায়গা তৈরি করে। আর তা হলো বন্ধুত্ত।

বন্ধুত্ত একটি মধুর সম্পর্কের নাম।আত্নার এর অনুভূতির নাম বন্ধুত্ত।যিনি আপনার প্রকৃত বন্ধু তিনি কখনো আপনাকে তুলনা করবেনা।বরং আপনি যেমন আছেন ঠিক তেমন করে আপনাকে মেনে নিবেন।আপনার বিপদে আপদে আপনার পাশে হাতে হাত রেখে চলবে।এমন বন্ধু পাওয়া যেমন দুষ্কর ঠিক তেমনি ভাগ্যের ব্যাপার বটে।এইদিকে আমি অনেকটা ভাগ্যবান ছিলাম।কিন্তু আমার ভাগ্য আমার সেই বন্ধুত্ত এ বেশি দিন টিকতে দেইনি।আমার জীবনের সবথেকে কাছের বন্ধুর সেই হৃদয়বিদারক মর্মান্তিক ঘটনা তাই আপনাদের সাথে তুলে ধরব।

যখন চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ি কোন এক বিশেষ কারণে নতুন স্কুলে আমাকে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়েছিল।নতুন স্কুল এবং সেই সাথে কোন বন্ধুবান্ধব না থাকায় স্কুলে যাবার তেমন একটা আগ্রহ পেতাম না।একদিন স্কুলে গিয়ে আমার পাশে সেই মানুষটি বলসো যাকে সৃষ্টি কর্তা খুব অল্পদিনের মাথায় নিজের কাছে নিয়ে গেল।

সেই চতুর্থ শ্রেণি থেকে কলেজ অবধি আমাদের সেই কথা মজার মজার স্নৃতি যেমন রয়েছে ঠিক রয়েছে তেমনি কষ্টের মূহুর্তও।কিন্তু যেই মানুষটি আমাকে কখনো একা কোন পরিস্থিতিতে রাখিনি সেই মানুষটিই এক সময় আমাকে একা রেখে চলে গেলো।তিথি আমার সেই বাল্যকাল থেকে আমার কলজ অবধি একমাত্র বান্ধবী। ছোট বড় খুনসুটি আমাদের মাঝে লেগে থাকতো। কিন্তু আমি কখনোই তিথিকে ছাড়া কিভাবে থাকব তা কল্পনাই করতে পারিনি।ভালোই চলছিল আমাদের সময়গেল।
তিথি প্রায় প্রায় অসুস্থ থাকতো। বহু ডাক্তার দেখানোর পর কোন ধরণের রোগ ধরতে পারেনি।আমরা সবাই তার খুব যত্ন নিতাম।কিন্তু হঠাৎ করে তিথি আমাদের ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলো এক নতুন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।সেই ১৪ বছর বয়সে সৃষ্টি কর্তা তাকে আমাদের মাঝ থেকে ছিনিয়ে নেই।সেই থেকে এখন অবধি আমি কখনো কাউকে বন্ধু বানাতে পারিনি।পারিনি তিথির সাথে হাশিমাখা স্নৃতিগুলো ভুলতে।তিথি এমনি একজন ছিলো যার সামনে দাঁড়ালে কখনো কিছু বলত্র হতো না বরং নিজেই বুঝে নিত সব।আজ তিথিহীন চারপাশটা অনেক খালি খালি লাগে।মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে যদি ঘড়ির কাটা উল্টানো যেত।আবার আগের সময়ে ফিরিয়ে যেতে পারতাম।

সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts