মেমোরি হষ্ট হয়ে গেলে ও হারিয়ে যাবে না আপনার ফটো

কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন।আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিবো। আপনারা কমবেশি প্রায় সবাই এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন।আবার আশ্চর্যজনক বিষয় হলেও সত্য যে আপনারা বেশিরভাগ ব্যবহারকারী একটা সমস্যায় প্রায় প্রতিনিয়তই ভোগেন সেটা হলো ফোনে জায়গা ফুল হয়ে যায় অর্থাৎ মোবাইলে স্টোরেজে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্পেস থাকে না। ফলে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় এ্যাপ্স গুলো ঠিক মতো চালাতে পারি না,বিশেষ করে ওয়াটসএ্যাপের ফটো,ভিডিও আমরা ডাউনলোড করতে পারি না। তার জন্য অনেকেই এ্যাপ্স ডিলেট দেয় কেউবা তার প্রিয় ফটো,ভিডিও ডিলেট দিয়ে জায়গা খালি করে। কিন্ত আজকে আমি এমন পদ্ধতি শিখিয়ে দিবো যার মাধ্যমে আপনাদের কোনো কিছু ডিলেট করতে হবে না বরং ইচ্ছেমতো সবকিছু পেন্ড্রাইভের মতো করে সেভ করতে পারবেন এবং ইচ্চেমতো সবাই আবার ফোনে নিয়ে আসতে পারবেন। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে সরাসরি সমাধানে চলে যাই।

#সমাধানঃ

সবার ফোনেই গুগল ড্রাইভ নামে একটা এ্যাপ থাকে। অথচ কি অদ্ভুত ব্যাপার আমরা বেশিরভাগ এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরাই এই এ্যাপ সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। অথচ প্রায় প্রত্যেক ফোনের শুরু থেকেই এই এ্যাপটি ইন্সটল করা থাকে। তাই সমাধান হলো এই এ্যাপ সম্পর্কে জানা এবং ব্যবহার করা।

#কীভাবে ব্যবহার করবেন?

আপনাকে প্রথমে এই এ্যাপটি অপেন করতে হবে।তারপর আপনার যেকোনো একটা ইমেইল এর সাথে কানেক্ট থাকতে হবে। তবে বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় আগে থেকেই ইমেইল এড থাকে।তারপর আপনি আপনার ইচ্চামতো ফোল্ডার তৈরী করে নিতে পারেন।এজন্য আপনাকে প্লাস(+) চিহ্ন-তে ক্লিক করতে হবে।আমি ব্যাক্তিগত ভাবে আপনাদেরকে সাজেস্ট করবো আপনারা ফোল্ডার করে নিবেন।এতে আপনার ফটো বা ভিডিও খুজে পাওয়া সহজ হবে। যেমনঃ ওয়াটসএ্যাপ ইমেজগুলোর জন্য আপনি ওয়াটসএ্যাপ ইমেজ নামে একটি ফোল্ডার করলেন এতে এই ফাইলে আপনার সব ইমেজ গুলো রাখলেন। আবার ক্যামেরা নাম দিয়ে একটা ফোল্ডার করলেন এতে ক্যামেরার সকল ছবি,ভিডিও সেখানে রাখলেন।
যাইহোক ফোল্ডার করার পর আপনি সেই ফোল্ডারে প্রবেশ করবেন তারপর আবার একটি প্লাস(+) চিহ্ন পাবেন।সেই প্লাস(+) চিহ্ন-তে ক্লিক করে আপনি চলে যাবেন সরাসরি গ্যালারিতে তারপর আপনি যে ফাইলটি আপলোড করতে চান সেটি আপলোড করে নিবেন।এভাবে খুব সহজেই আপনার ফোনের যেকোন জিনিস ড্রাইভে আপলোড করে রাখতে পারবেন।

#ড্রাইভের স্ট্রোরেজ কতটুকু?

ড্রাইভের স্টুরেজ মূলত নির্ভর করে ইমেইল এর উপর অর্থাৎ আপনি যদি একটি ইমেইল এড করেন তাহলে আপনি পাবেন ১৫ জিবি আমি আবারও বলছি আপনি পাবেন ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ। এভাবে আপনার যদি দুইটা বা তিনটা ইমেইল থাকে আর সেগুলো এ্যাড করেন তাহলে আপনি পাবেন ৩০জিবি বা ৪৫ জিবি একদম ফ্রি। তাহলে আপনি একবার ভেবে দেখুন একটি পেনড্রাইভের সমান একটি ইমেইল দিয়ে আপনি ফ্রিতে নিচ্ছেন ১৫/৩০/৪৫ জিবি।

#ড্রাইবের সুবিধা কি?

১/ উপরে যেগুলো বললাম তার প্রত্যেকটি হল ড্রাইভের সুবিধাসমূহ। তারপরে ও কিছু নির্দিষ্ট করে বলা যায় যেমন আপনার যতটি ইমেইল থাকবে আপনি 15 জিবি করে এভাবে জায়গা পেতে থাকবেন এজন্য আনলিমিটেড।

২/আপনার ফোন বা মেমোরি কার্ড হারিয়ে গেলে বা কোন কারণে নষ্ট হয়ে গেলে আপনার ফটো/ভিডিও গুলো যদি চলে যায় বা যেকোন ভাবে যদি হারিয়ে যায় তারপরেও এটি হারবে না কারণ আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড যতদিন পর্যন্ত আপনি মনে রেখেছেন আপনার আছে ততদিন পর্যন্ত এই ফটোগুলো আপনার থাকবে যেগুলো আপনি আপলোড করে রেখেছেন এটি হলো এর একটি অন্যতম সুবিধা।

আশা করি আমার এই পোস্ট থেকে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।

Related Posts

21 Comments

মন্তব্য করুন