মৌসুমি ফল(পেয়ারা)।

পেয়ারা এমন একটি ফল,যার সাথে আমাদের দেশের সবাই পরিচিত।আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়া পেয়ারা চাষের জন্য খুব উপযোগী।বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভাবে পেয়ারার চাষ হচ্ছে।বরিশালের স্বরুপকাঠী পেয়ারার জন্য বিখ্যাত।পেয়ারা এক ধরনের বেরী জাতীয় ফল।আমাদের দেশে অনেক ধরনের পেয়ারা পাওয়া যায় এগুলো স্বাদ ও রঙ এ আলাদা আলাদা।লাল রং এর পেয়ারাকে রেড আপেলও বলা হয়। পেয়ারার প্রায় ১০০টিরও বেশী জাত আছে।এটি একটি পুষ্টিকর ফল।পেয়ারা ভিটামিন “সি”এর খুব ভালো উৎস। একটি পেয়ারায় ২১১ মি.গ্রা. ভিটামিন সি পাওয়া যায়।ভিটামিন সি মুখগহব্বর,দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখে।পেয়ারায় ক্যারোটিনয়েড, ফোলেট,পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

পেয়ারায় কমলার চেয়ে ৪ গুন বেশি ভিটামিন সি আছে এবং পেয়ারার খোসায় কমলার চেয়ে ৫ গুন বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায়।পুস্টিমানের বিবেচনায় কমলার মান যেখানে ১৮৬ সেখানে পেয়ারার মান ৪২১।ক্যারোটিন শরিরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে,চোখের রেটিনা ও কোষের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।যথেষ্ট পরিমানে ভিটামিন বি থাকায় বেরিবেরি ও মুখের ঘা জনিত অনেক রোগ প্রতিরোধ করে।প্রতি ১০০গ্রাম পেয়ারায় ৭৬ কিলোক্যালোরি খাদ্যশক্তি পাওয়াযায়।পেয়ারায় পেকটিন ও সেলুলোজ পাওয়া যায় যা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।পেয়ারা বিভিন্ন রকম খনিজ উপাদানে ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ০.৬ গ্রাম মিনারেল, ০.০৩  মি.গ্রাম থায়ামিন, ০.০৩ রিবোফ্লেভিন ১.৪ মি.গ্রাম আয়রন, ২৮ মি.গ্রাম ফসফরাস ও ২০ মি.গ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।পেয়ারা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে,ত্বক ভালো রাখে,দৃস্টিশক্তি ভালো রাখতেও পেয়ারা খুব ভালো কাজ করে,দেহের রক্তচাপ কমায় এবং দেহের ওজন কমাতে সহায়তা করে।পেয়ারা খান সুস্থ থাকুন।

<

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন