যেভাবে কমাবেন আলঝেইমার ঝুঁকি।

একটি রোগের মাধ্যমে মানুষ তার স্মৃতি, যুক্তিবোধ হারাতে পারে। রোগটির নাম হলো আলঝেইমার। রোগটি হতে পারে ৪০-৫০ বছর বয়সের পর বা আরো পরেও হতে পারে। যার কারণে রোগটিকে এত গুরুত্ব ও দেয়া হয় না। অনেকটা স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেয়া হয় এই রোগটিকে। আমাদের দেশে অনেকেই এই রোগে ভুগলেও অনেকে জানেন ই না যে তারা আলঝেইমার রোগে ভুগছেন।

আলঝেইমার রোগের লক্ষণ সমূহ :

• আলঝেইমারে আক্রান্ত রোগীরা অতি দ্রুত স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন। সাধারণ মানুষও সবকিছু মনে রাখেন না,তবে একদম সবই ভুলে যান না,ক্রম অনুযায়ী মনে রাখেন। কিন্তু আলঝাইমারে আক্রান্ত রোগীরা সাম্প্রতিক জিনিস বেশি ভুলে যান কিন্তু পেছনের সব মনে থাকে। যা কারো জন্য ই কাম্য নয়।
• আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত রোগীরা জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলেন খুব। একজায়গায় কোন জিনিস রাখলে অন্য জায়গায় তা খোঁজেন। এবং বিব্রত হোন তারা।
• আলঝেইমার রোগীরা প্রায়ই কথার ধারাবাহিকতা হারিয়ে ফেলেন। মাঝে মধ্যেই হারিয়ে ফেলেন অনেক শব্দে অর্থ। বুঝে উঠতে পারেনা। কখন কি বলবেন।
• আলঝেইমার রোগীদের সময় বা স্থানের কথা মনে থাকে না। অনেকসময় ভুলে যান নিজের বাড়ির ঠিকানা। ঠিকমত বলতে পারেন না সময় ও।
• আলঝেইমার রোগীদের যেকোন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে তার সমস্যা হয়। কারণ তাদের বুদ্ধি এবং যুক্তিবোধ লোপ পায়।
বুঝতেই পারছেন এই রোগ কতটা ভয়াবহ। তবুও আমরা এই রোগটিক কোন গুরুত্ব দেই না। তবে এখন থেকেই আমাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে, তাহলেই কেবল আমরা আলঝাইমার ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পারবো এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ এর স্বপ্ন দেখতে পারব।

 

আলঝেইমার ঝুঁকি কমাতে যেসব খাদ্য গ্রহণ করব :

• খাবারের তালিকায় শস্যযুক্ত খাবার রাখতে হবে।লাল চাল,লাল আটা,ভুট্টা, গম, ওটস। এসব খাবার খেতে হবে।
• বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে। আমাদের দেশে যেসব সবুজ সবজি পাওয়া যায় তা খেতে হবে।
• এই রোগের ঝুঁকি কমাতে শিম এবং শিমের বিচি বেশ উপকারী।
• সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে। সামুদ্রিক মাছ খেলে এই রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
• এছাড়াও অলিভ অয়েল, বাদাম, সালাদ জাতীয় খাবার খেতে হবে। এগুলো খুবই কার্যকরী।

<

আলঝেইমার ঝুঁকি কমাতে যেসব খাবার পরিহার করব :

• রেস্টুরেন্ট এর খাবার, মিষ্টি জাতীয় খাবার, গরুর মাংস এবং চর্বি জাতীয় খাবার যত সম্ভব কম খেতে হবে। তাহলে আলঝেইমার ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
কোন রোগই নির্মুল করা অসম্ভব নয়, প্রয়োজন শুধু কিছু নিয়ম মেনে চলা। তাহলেই সব কিছু নির্মুল করা সম্ভব। এবং সুন্দর জীবন পরিচালনা করা সম্ভব।

Related Posts