যে পোষাকে তরুণীদের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে

পৃথিবীতে অনেক দেশ, অনেক মানুষ আছে। তবে কমন ব্যাপারটা হল মানুষগুলোর মাঝে শুধু দুটি অপশন আছে ক্ষেত্রবিশেষে তিনটে। হয়তো ছেলে নয়তো মেয়ে নয়তো বা উভয় লিঙ্গ। তবে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলে এবং মেয়ে দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করতে পছন্দ করি। আজকের লেখাটি অবশ্য মেয়েদের পক্ষে বেশি যাবে, কারণ দেশে এখন মুক্ত চিন্তা ভাবনা করার লোকের অভাব নেই। রয়েছে নারীদের জন্য বিশেষ অগ্রাধিকার।

তাদের আর অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। অবহেলার পৃষ্ঠা থেকে তাদের নাম উঠে গেছে বহুকাল আগে। এখন শুধু সময়ের দাবি মানুষকে শুধু মানুষ হিসেবে দেখা হোক সে ছেলে হতে পারে সে মেয়ে। ছেলেমানুষ এবং মেয়ে মানুষ এই কথাটি কিছুদিন পরে উঠে যাবে। রয়ে যাবে শুধু একটি মাত্র শব্দ সেটি সেটি হল মানুষ। মানসী আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। লিঙ্গের প্রকারভেদ এটা আমাদেরকে আমাদের থেকে বিভেদ করে দেয়। যাইহোক টপিকটা শুরু করেছিলাম পোশাক নিয়ে।

আমাদের দেশের মেয়েরা এখন তাদের পোশাক নিয়ে অনেক সচেতন।হয়তোবা ঈদের পোশাক দেখে অনেক বড় বড় মনীষীরা মন্তব্য করে বসে ছিলেন। অনেকে আবার তেতুল হুজুর নামে খেতাব লাভ করেছেন। সেটা যাই হোক মূল কথায় আসা যাক। প্রকৃতপক্ষে একটি মেয়েকে যেকোনো পোশাকেই ভালো লাগে। তবে তাদের তার মধ্যে কিছু স্পেশালিটি ব্যাপার থাকে। যেমন কিছু কিছু পোশাকে তাদেরকে স্মার্ট লাগে আবার কিছু কিছু পোশাকে ওভার স্মার্ট লাগে, তারপর বাকি যেটা থাকে সে গুলোকে দেখাও অসাম। আর শাড়িতে বলতে গেলে পুরোপুরি ঘর নেই অপরূপ এক বাংলার নারী।

একেকজনের কাছে একেক একেকটি পোশাকে তাদের ভালো লাগে।বিশেষ করে বর্তমান যুগের তরুণদের কাছে জিন্স টপ টাই বেশি প্রিয়।সত্যি বলতে কি জিন্স টপ এর মেয়েদের অসাম লাগার একটা কারণ আছে বটে।কারন ওরা যখন পুরুষের স্থানটা নিতে চায়, তখন অনেক পুরুষেরই হিংসে হয়। গাজালা পালা করে। কারো কারো তো মাথাই নষ্ট হয়ে যায়।সবচেয়ে বড় কথা হল যে মেয়েদের ছেলেদের থেকে অনেক বড়ো। আর এই কিছুমাত্র কারণে তাদেরকে জিন্স পরলে অসাম এবং বিউটিফুল মনে হয়। কিছু কিছু মেয়েদের তো চকলেট চকলেট ইউ মনে হয়। খুব অদ্ভুত এক সন্দর্য। প্রশংসার দাবিদার। এখানেও তারা পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে।

২***দ্বিতীয় সৌন্দর্যটা তাদের আসে অফিশিয়াল পোশাকে।
স্যুট টাই পরা মেয়েদের মনে হয় আমার দেশের ইয়েস হাউ ডু ইউ ডু। খুব সুন্দর লাগে মনে হয় যেন সদ্য ফোটা গোলাপের পাপড়ি। বড় বেশি সুন্দর বড় বড় বেশি ঐশ্বর্যশালী। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এগিয়ে যাও দেশের মেয়ে এগিয়ে যাও । লোকচক্ষুর ঘৃণিত দৃষ্টি এড়িয়ে সৃষ্টিতে নিয়ে এসো অগ্নিরূপ। তুমি পারবে তোমরা পারবে সেই স্বাক্ষর তোমরা দেখেছো মুক্তিযুদ্ধে।

৩*** ওয়েস্টার্ন পোশাক যদিও এ পোশাক এখনো আমাদের দেশে স্থানীয় পর্যায়ে আসেনি শুধুমাত্র সিটি শহরভিত্তিক হয়ে পড়েছে। এখনো ওয়েস্টার্ন পোশাক পরতে অনেক মেয়ে ভয় পায়। কারণ কি জানেন ওয়েস্টার্ন পোশাকে তাদের আসলেই ওয়েস্টান দেখায়। যত সৌন্দর্য মিশিয়ে সৃষ্টিতে তারা ,তার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে ওই ছোট ছোট ওয়েস্টার্ন পোশাকে। বড় বেশি লোভনীয় মনে হয়।তখন মনে হয় বিধাতা তোমাদের আসলেই নিজের হাতে সৃষ্টি করেছে। যদিও সে কথা তো সন্দেহ নেই তথাপি অবচেতন মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে। তবে এখনো আমাদের মেয়েদের ওয়েস্টার্ন পোশাক পড়লে বাঁকা দৃষ্টিতে দেখা হয়। তবে তুমি ভেবনা বাংলার মেয়েরা একদিন দেখবে এটা কেউ সামাজিক স্বীকৃতি দিয়ে দেওয়া হবে।পিছনে কে কি দেখছে সেটা নিয়ে না ভেবে তুমি সামনে এগিয়ে চলো কারণ তুমি বাংলার ওয়েস্টার্ন মেয়ে।

৪***চতুর্থ ধাপে বলবো স্যারের কথা, আমাদের বাংলা লেখক লেখক লেখিকা লেখিকা ভাইদের ও বোনদের যিনি আদর্শ লেখক তার উক্তিতে শাড়ি নিয়ে বর্ণনা করে গেছেন।সুতরাং শাড়ি নিয়ে বর্ণনা করার মত যোগ্যতা এখন আমাদের মত লেখকরা হারিয়ে ফেলেছে।শাড়ি নিয়ে বেশী কথা না বলাই আমার মনে হয় স্যারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হবে।তবে একথা সত্যি শাড়িতে মেয়েদের আসলেই বাঙ্গালী বাঙ্গালী মনে হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় বীর কন্যাদের উত্তরসূরী। তোমরাই আগামীর বাংলাদেশ তোমরাই আগামী তরুণী।

৫*** পঞ্চম ধাপে যে পোশাকটা আছে সেটি হচ্ছে সালোয়ার কামিজ। সেলোয়ার কামিজ পড়লে মেয়েদের অদ্ভুত লাগে না একদম সাদামাটা লাগে। সিম্পল ভদ্র রুচিশীল ও প্রগতিশীল হিসেবে মনে হয়। মনে হয় এরাই আগামীর পলিটিক্স জন্ম দিবে। এদের মাঝে লুকিয়ে আছে অসংখ্য অগণিত মেধাবী রুচিশীল এবং শিক্ষিত অগ্রযাত্রার নায়িকা। মনে হয় যেন প্রথম প্রেমের প্রস্তাব এর কোন উত্তর নেই। প্রেমের প্রস্তাব দিতে ভয় ভয় লাগে। হাতের ইশারা তে মনে হয় আলাদিনের চারাক পেয়ে গেলাম। তরুণী তরুণী মনে হয়। মনে হয় এই বুঝি ক্লাশ সেভেন থেকে এইটে ওঠার আগে, তারে দেখেছি রাস্তায় পিছন ফিরে তাকাল সে রূপবতী। শুধু মুচকি হাসিটা বাকি। খুব সিম্পল সিম্পল লাগে তখন।

আরো অনেক পোশাক আছে তবে আজ এই পর্যন্তই।তবে একটি অনুরোধ করবো মেয়েদেরকে কি অশ্লীল চোখে দেখেন না ,কারণ আমাদের প্রত্যেকের ঘরে বাইরে সংসারে আত্তিয়ে মেয়ে মানুষ আছে। আর মেয়ে মানুষ না থাকলে আজকে আপনি আমি আমরা হতাম না । সৃষ্টির সৃষ্টিশীলতা হারিয়ে যেত ধ্বংস হয়ে যেত পৃথিবী।ভালো থেকো তোমরা সুন্দর থেকো তোমরা সুন্দরের মাঝে থেকে সুন্দরতম উপসংহারে ভূষিত করে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অবদান রাখুন আত্মকেন্দ্রিক দায়িত্ব থেকে।

Related Posts

15 Comments

  1. বাংলাদেশে কোনো অপসংস্কৃতির স্থান নেই। এদেশ শুধু নিজস্ব সংস্কৃতিতে এগিয়ে যাবে। ওয়েস্টার্ন কোনো সংস্কৃতি বাংলার পবিত্র ভূখণ্ড নষ্ট করতে পারবে না। মুসলিম সমাজের শালীন ড্রেস পরিহিতা কোনো মেয়ে কখনো ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতি ধারণ করবে না। শালীন সমাজে শালীন পোশাকে থাকবে এটাই বাঙ্গালী মেয়েদের রীতি। যতদিন তারা শালীন পোশাকে থাকবে ততদিন তারা নিরাপদ থাকবে, তবে অসুস্থ মানসিকতার লোকদের জন্য অন্য কথা। মেয়েদেরকে একমাত্র পর্দাশীল বেশভূষাতেই চমৎকার লাগে।

মন্তব্য করুন