যে সকল দোকান থেকে ভূলেও মোবাইল কিনবেন না।

যে সকল দোকান থেকে ভূল করেও মোবাইল কিনবেন না।
মোবাইল আমাদের জীবনে ওতপ্রতভাবে জড়িত। আর সেই মোবাইল কিনতে আমরা অনেক ধরনের দোকানেই যাই।কিন্তু কিছু কিছু দোকান থেকে মোবাইল কিনা থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিৎ। তাহলে চলুন জেনে নেই কোন ধরনের দোকান থেকে মোবাইল কিনা ঠিক হবে না।

১। যে দোকানের স্টাফদের ব্যবহার খুব খারাপ।দেখবেন কিছু কিছু দোকান আছে যারা কাস্টমারদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।বিশেষ করে যে সব দোকানের বিক্রি বেশি হয়।সে সব দোকানে গিয়ে আপনি মোবাইল সম্পর্কে বেশি কিছু জিজ্ঞেস করতে পারবেন না।জিজ্ঞেস করলেই দেখবেন তারা আপনাকে অবহেলা করছে বা উত্তর সঠিকভাবে সোজা ভাবে দিচ্ছে না। সে সকল দোকান থেকে ভূলেও মোবাইল কিনবেন না।কারণ তারা মোবাইল কিনার আগেই আপনাকে অবহেলা করছে তাহলে মোবাইলে কোনো সমস্যা হলে আপনি যদি দোকানে বলতে আসেন তারা তো আপনাকে কথাই বলতে দিবে না।

২। যে সকল দোকানে মোবাইল কিনতে গিয়ে আপনার মনে হয় যে নাহ এ দোকানে আপনি অর্জিনাল ফোন পাবেন না।বা মোবাইলের ধরন দেখে আপনার মনে হবে নাহ এরা আপনাকে ঠকাচ্ছে তাহলে সে সব দোকাম থেকে দূরে থাকবেন।

৩। যদি কোনো দোকানে গিয়ে দেখেন কোনো মোবাইলের বক্স খোলা তাহলে সেই মোবাইলটা নেয়া থেকে দূরে থাকুন।কারণ সেটা আসল ফোন নাও হতে পারে।আপনাকে পুরাতন ফোন বা ব্যবহার করা ফোনও রিপেয়ার করে দিতে পারে।

৪। আমাদের বাংলাদেশে আনুফিসিয়াল ফোন খুব বেশি বিক্রি হয়।কারণ এতে লাভ ও বেশি হয়।তাই মোবাইল কিনার আগে চেক করে নিন ফোনটা কি আদৌ অফিসিয়াল কি না।যদি দেখেন তারা আপনাকে ফোনটি নেয়ার জন্য জোর করছে বা উদাহরন দিচ্ছে যে ” অনেকেই এই ফোন নিয়েছে কোনো সমস্যা হয় নাই” তাহলে সবার আগে সেই ফোনটা নেয়া থেকে দূরে থাকুন।

৫। বাজারে যে ফোনের টানাপোড়ান চলছে।আপনি যে মোবাইল চাচ্ছেন সেটা পাওয়া যাচ্ছে না।কোনো একটা দোকানে গিয়ে সেটা খুজবেন নাহ।কারণ এটা আসল ফোন বা নতুন ফোন নাও হতে পারে।দেখা গেলো ব্যবহার করা ফোন দোকানদাররা বেশি চাহিদার জন্য আবার প্যাকেট করে রেখে দিলো।তাই যে মোবাইল বাজারে সংকটে আছে সে মোবাইল কিনবেন নাহ।কারণ এতে আপনি আসল ফোন বা নতুন ফোন পাওয়ার চান্স খুব কম।

৬। সবসময় লেটেস্ট ফোন গুলো কেনার চেষ্টা করবেন।এমন ফোন কিনবেন না যা মার্কেটে আজ খুজলেও বেশি পাওয়া যায় না।আর যদি সেগুলো পেয়েও থাকেন তাহলেও সেগুলো আসল ফোন হওয়ার চান্স কম থাকে।তাই যদি নতুন ফোন কিনতে চান তাহলে লেটেস্ট স্মার্টফোন কিনবেন।আর যে দোকানে আপনাকে আগের মডেল বা অনেক আগের ফোন যেগুলো ম্যানুফেকচর করা বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো আছে বলে দাবি করে য়াহলে তো সবার আগে সেই দোকান থেকে সেই মোবাইল কিনবেন না।কারণ সেটা রাফারবিশড ফোনও হতে পারে।

এই ছিলো আজকের টিপস।আশা করি এটা পড়ে আপনাদের কিছুটা হলেও উপকার হবে।আর এই টিপস গুলো মেনে চললে আপনি কখনও মোবাইল কেনায় ঠোকবেন না।এরপরে আরো মোবাইল্ফোনের খুটিনাটি নিয়ে আলোচনা করবো।

আর আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আর কমেন্ট ও শেয়ার করে আমার পাশে থাকবেন।

Related Posts

7 Comments

মন্তব্য করুন