যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিই পৃথিবীতে শ্রেষ্ট ব্যক্তি।

পৃথিবীতে যদি সুন্দর কিছু থাকে,তার নাম যোগ্যতা।আপনি সারা পৃথিবীতে অযোগ্য, যদি না আপনার দক্ষতা প্রকাশ করতে না পারেন।আপনার কখনই ভালো লাগবে না বা ভালো থাকবেন না,যদি না এই পৃথিবীর যোগ্য ব্যক্তিদের সাথে তুলনা করেন।হয়তো ভাববেন,বেঁচে থাকার চেয়ে হয়তো মরে যাওয়া অনেক ভালো ছিল।
ব্যক্তিটা দেখতে কেমন?লম্বা না খাটো,স্মার্ট কি না,শরীর দেখতে রোগাক্রান্ত।আরও সকল অগুণই যদি তার মধ্যে থাকে কিন্তু সেই ব্যক্তি যদি যোগ্যতা সম্পন্ন হয়।তাহলে, সেই ব্যক্তি পৃথিবীর সার্থক ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম।
যোগ্যতা কি জিনিস তখনই অনুভব হয়,যখন কেউ আপনার চেয়ে বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন হয়।আর কথায় কথায় তার কাছে আপনাকে অপদস্ত মনে হবে।মানুষ যখন মূর্খ হয়।তখন সে বুজে শিক্ষিত মানুষের এই পৃথিবীতে কি কদর আছে।আপনি চেহেরার দিক দিয়ে সব ঠিক থাকলেও যদি না লেখাপড়া করে থাকেন তখন আপনার মনে আফসোস থেকেই যাবে।
ব্যক্তির বাহ্যিক সৌন্দর্য যদিও হাজার মানুষের মধ্যেও তার দিকে সবার নজর যাবে।কিন্তু কিছুদিন পর তার সুন্দর্য শেষ হবার পর আর কেউ তার কাছে যাবে না।কারণ,তার সুন্ধর্য শেষ হয়ে গেছে।অন্যদিকে যার ভিতর যোগ্যতা আছে, সেই ব্যক্তি দেখতে যত খারাপই লাগুক না কেন?তার কাছে সবাই যেতে বাধ্য। কারণ,তার মনের সুন্দর্য আছে।সে যত বৃদ্ধই হক না কেনও,তার কাছে মানুষের প্রয়োজন নিয়ে যাবেই যাবে।
মানুষ তার যোগ্যতার জন্যই পৃথিবীতে স্মরনীয় হয়ে থাকে।সে মরে গেলেও তার জন্য মন থেকে খারাপ লাগে।কারণ,আজ থেকে একজন যোগ্য ব্যক্তি পৃথিবী থেকে চলে গেলো।
আজকাল বিয়ে করতে গেলেও মানুষ যোগ্যতা খুঁজে। মেয়ে কি পাশ করছে বা ছেলে কি পাশ করছে।মেয়ের বাপের একটাই দাবি ছেলে কি সরকারি চাকরি করে।যদি সরকারি চাকরি করে। তাহলে বিয়ে পাকা হয়ে যায়।কারণ,মেয়ের বাপ জানে,ছেলে যদি সরকারি চাকরি করে তাহলে তার মেয়েকে সুখে রাখার যোগ্যতা সেই ছেলের আছে।তাই মেয়ের বাবাও কোনো চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই সরকারি চাকরীজীবির কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি হয়।তাই সব জায়গায়ই যোগ্যতা খুঁজে।যোগ্যতা ছাড়া তুমি পৃথিবীতে অমূল্যবান।
পৃথিবীতে যতো মানুষ আছে,কারো না কারো কোনো না কোনো যোগ্যতা আছে।নয়তো, সেই মানুষটা সারাজীবন যোগ্যতাহীনতায় ভোগে মারা যাবে।সে অন্যের ওপর ভরসা ছাড়া কোনো উপায়ই তার থাকবে না।যত খন অন্য জন ব্যবস্থা না করে দিবে তত ক্ষণ যোগ্যতাহীন ব্যক্তিটার কিছুই করার থাকবে না।
তাই যোগ্য হন।আপনি যা করার যোগ্য সেটাতে পা বাড়ান।দেখবেন আপনার সফলতা আপনার পিছু ছাড়ছে না।আর নয়তো সারাজীবন আপনার কষ্টের ঘানি টানতে টানতে জীবন শেষ। অথচ আপনি সফলতার দ্বার প্রান্তে যেতে পারছেন না।”অযোগ্য হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে,মরে যাওয়া অনেক ভালো”।

Related Posts

22 Comments

মন্তব্য করুন