রসে ভরা ” আনারস “।

  1. আনারসঃ আনারস একটি রসালো মৌসুমী ফল,যা আমাদের দেশে বর্তমান সময় মানে বর্ষাকালে পাওয়া যায়।আনারসের আদি নিবাস দক্ষিন আমেরিকার উষ্ণ অঞ্চল আর্জেজেন্টিনা,ব্রাজিলে।কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বে এর চাষ হচ্ছে।বাংলাদেশেও এর বানিজ্যিক চাষ হয়।বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে আনারস ভালো জন্মে।ঘোড়াশাল, সিলেট, চট্টগ্রাম  ও কুমিল্লায় এর চাষ সবচেয়ে বেশী হয়।আনারসের গাছ তুলনামূলক ছোট এবং এর পাতা কন্টকযুক্ত হয় এবং এর পাতার কোন বোটা হয় না সরাসরি কান্ডের সাথে যুক্ত থাকে।এক একটা আনারস ৫০০গ্রাম থেকে ১কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।সারা বিশ্বে আনারসের প্রায় ৯৫টি জাতের চাষ হয়ে থাকে।গ্রীস্মের সময় আনারস গাছে ফুল আসে এবং বর্ষা কালে পাকা ফল পাওয়া যায়।আনারস কাচা ও পাকা উভয় অবস্থায় খাওয়া যায়,আনারস কাচা থাকতে টক ও পাকলে মিস্টি হয়।আমাদের দেশে সাধারণত পাকা ফলটাই খাওয়া হয়।
  2. পুষ্টিগুণ ঃ আনারস পুস্টিগুনে ভরপুর।এতে ভিটামিন এ,বি,সি,ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য উপাদান বিদ্যমান।১০০গ্রাম আনারসে ০.৯ভাগ প্রটিন,৬.২শ্বেতসার, ০.২ভাগ ফ্যাট, ০.২ খনিজ,০.১১ ভিটামিন বি১,০.১১ভিটামিন বি২,ভিটামিন সি ২১মিঃগ্রাঃ,ক্যারোটিন ১৮৩০মিঃগ্রাঃ এবং প্রতি ১০০ গ্রাম আনারসে ৩০গ্রাম ক্যালোরি থাকে।
  3. উপকারীতাঃ আনারসে থাকা উৎসেচক ব্রোমেলেন শরীরের যেকোনো অংগের বা টিস্যুর ব্যাথার সাথে সাথে ফোলা কমাতে সাহায্য করে।এছাড়া ব্রোমেলেন লিভার পেটে সমস্যা ও ক্রিমিজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে।আনারসের থিয়ামিন কর্বোহাইড্রেট এনার্জিতে  রুপান্তর করে।সকালে আনারস খেলে মিস্টি খাওয়ার প্রবনতা কমে।থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে আনারস সাহায্য করে।ফলটির উৎসেচক ব্রোমেলেন দেহে হজমের নানা সমস্যা দূর করে এবং প্রোটিন হজমে সাহায্য করে। আনারসের উৎসেচক ব্রোমেলেন দাঁতের দাগ তুলতে ও ক্ষয় রুখতে সাহায্য করে।আনারসের রস গলাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, সোর থ্রোট এবং ব্রংকাইটিসের ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। ক্ষুদ্রান্ত্রের জীবাণু ধ্বংস করতে আনারস খুবই উপকারী।ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে জরুরি উপাদান এবং ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে মজবুত করে তোলে। আর আনারসে ক্যালসিয়াম-ম্যাঙ্গানিজ, দুটোই প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। পরিমিত পরিমাণ আনারস প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন