রহস্যময় পিরামিড নিয়ে আলোচনা

জ্ঞান বিজ্ঞানের বদৌলতে এখন আমরা আধুনিক। কিন্তু প্রাচীন যুগের কিছু নিদর্শন আধুনিক বিজ্ঞানকেও ভাবিয়ে তোলে। যেমন সপ্তাশ্চর্য। বিশেষত: মিশরের পিরামিড।হা হাজার হাজার বছর আগেকার রহস্য ঘেরা জ্ঞান থেকে সৃষ্ট। আধুনিক যুগের আবিষ্কারগুলো প্রাচীন সভ্যতা সমূহের কাছে অকল্পনীয় হলেও প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার সময়কালে নির্মিত বিশাল আয়তনের পিরামিডগুলো তখন কিভাবে নির্মাণ সম্ভব হয়েছিল আজকের মানুষকেও হতবাক করে তোলে। শুধু সমতল মরু প্রান্তর এ কোথা থেকে কিভাবে আনা হয়েছিল পিরামিডের ভারী পাথরের খণ্ডগুলো। আর কিভাবেই বা বিদ্যুৎ ও আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার ছাড়া পেটে পেটে অত উঁচুতে তুলে, স্তরে স্তরে সাজিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল তা আধুনিক সভ্যতার কাছেও বিস্ময়ের সৃষ্টি করে। সবচেয়ে বড় ‘সিজার পিরামিড’এর উচ্চতা ৪৮১ ফুট। কারো ধারণা মতে, এটা তৈরি করতে এক লাখ লোকের বিশ বছর সময় দরকার। পিরামিড তৈরিতে যে বিশাল বিশাল পাথর খন্ড ব্যবহৃত হয়েছে সাধারণত যার প্রতিস্থাপন আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়া সম্ভব নয়। এসব তৈরি হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব ২৬১৩-২৪৯৪সময়কালে।

মিশরের রাজধানী কায়রোর পশ্চিমে অবস্থিত শি অফসের পিরামিড সব দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। এই পিরামিড টা শত শত অদ্ভুত সিদ্ধান্তের জন্ম দিয়েছে।শি অফসের পিরামিড এর উচ্চতা ৪৯০ফুট।এই উচ্চতা কে১০০ কোটি দিয়ে গুণ করলে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব পাওয়া যাবে-৯,৩০,০০,০০০ মাইল। পিরামিডটার মাঝখান দিয়ে একটা মধ্যরাতে কল্পনা করলে দেখা যাবে মহাদেশ এবং মহাসাগর গুলো সমান দুইভাগ হবে। পিরামিডকে মহাদেশ গুলোর ভারকেন্দ্র স্থাপিত করা হয়েছে।

২৬ লাখ পাথর দিয়ে তৈরি এই পিরামিড যদি পৃথিবীর মানুষ তৈরি করে থাকে তাহলে অবশ্যই অনেক মানুষ ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই পিরামিড এর আশেপাশে মাটির উপরে বা মাটির নিচে তার কোনরকম চিহ্ন বা নিদর্শন পাওয়া যায়নি। সেখানে বর্তমানে কোটি কোটি বছর আগের ফসিল মাটির নিচে থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে। এরপরে অ্যাডমিরাল পিরি বইয়ের ওয়ার্ল্ড ম্যাপ টা অত্তাদিক রহস্যাবৃত, যেটি আধুনিক মানচিত্রকরদের বিষমিত করে, সে যুগে এরোপ্লেন আবিষ্কার হয়নি। ছিলনা কোন উন্নত যান। সেখানে কিভাবে ওরা করতে পারে উপর থেকে না দেখে এমন নির্ভুল ম্যাপ আঁকলেন তা সত্যিই আশ্চর্যের। তখনকার মানুষের কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞান যদি এতই উন্নত থাকতো এবং সে জ্ঞান ও প্রযুক্তি যদি আজকের আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে মিলানো যেত তাহলে আজকের বিজ্ঞান জগত আরো কত উন্নত হতো, তা বলা যায় না।

Related Posts