রাগী মেয়েরা কেমন হয়?

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সকলেই নিজ নিজ পরিস্থিতিতে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।মানব জীবনে মানুসিক স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। কারণ মানুসিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে আপনার দিনটি কেমন যাবে,আপনার জীবন কিভাবে অতিবাহিত হবে কিংবা আপনি কাজটি কেমন করতে পারবেন।যদি মন মানসিকতা ভালো না থাকে আপনি কিন্তু কোন কাজই ঠিকভাবে করতে পারবেন না।আর করলেও ততটা সফল হবেন না যতটানা সেই কাজ মন ভালো থাকলে হবেন।কোন কাজ করলে আপনি কতটা সফল হবেন আপনার মানুসিকতার উপর তার ফলাফল অর্ধেকটা নির্ভর করে।

আপনার বর্তমানে করোনা মহামারী পরিস্থিতির কারণে সকলের মানসিক স্বাস্থ্যের বিপর্যয় ঘটছে।হঠাৎ হঠাৎ করে মানুষ রেগে যাচ্ছে।হঠাৎ হঠাৎ করে মানুষের মুড সুইং হচ্ছে। এই সকলে সমস্যা রাগ থেকে শুরু করে একসময় ডিপ্রেশনের দিকে মানুষকে ধাবিত করে থাকে।আমরা আমাদের চারপাশে ৩ ধরণের মানুষ দেখে থাকি। তা হলোঃ
১.রাগি ব্যক্তি
২.সল্প রাগান্বিত
৩.শান্ত ব্যক্তি।

আজ আমি কথা বলব রাগি ব্যক্তিদের নিয়ে।অতিরিক্ত রাগ মানুষের জীবনের খুব একটা খারাপ দিক।রাগি ব্যক্তিদের সমাজে কেউ দেখতে পারেনা।কোন ধরণের অবস্থান গড়ে তুললে তখন আপনাকে কেউ না বললেও কিন্তু যদি আপনি সমাজে অবস্থান তৈরি করতে না পারেন তাহলে সমাজ আপনাকে মেনে নেবে না।আপনার হাজারটা দোষ ধরে বসে থাকবে।এখন আসি রাগ কোনো হয়।অনেক সময় রাগ জিনিসটা বংশগত হয়। আপনার যদি পরিবারে কারো রাগ থেকে থাকে আপনি সেটা পাবেন। এছাড়াও দীর্ঘদিন থেকে কোন জিনিস পাবার কামনা বাসনা থেকে থাকলে আপনি যদি সেই যিনি পাবেন বলে মনে করেন কিন্তু হঠাৎ করেই সেই জিনিসটা আপনার হাতছাড়া হয়ে যায় তখন আপনার রাগ হবে।আর দিন যত বাড়বে রাগের পরিমাণও ঠিক ততই বাড়তে থাকবে।

রাগ ছেলে মেয়ে যে কারো হতে পারে।এতে কোন বাধা নেই।কিন্তু আমাদের সমাজের ক্ষেত্রে একটা কথা প্রায় শুনা যায় তা হলো মেয়েদের রাগ থাকতে নেই।আবার বলা হয় মেয়েদের বেশি রাগ ভালো নয়।আবার কেউ কেউ এটাও বলে রাগী মেয়েরা খারাপ। রাগ যেকোনো কারণে হতে পারে।তাই বলে রাগী মেয়েরা খারাপ সেই কথা ঠিক নয়। চলুন জেনে আসি রাগী মেয়েদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে রাগী মেয়েরা কেমন হয়:

১.রাগী মেয়েরা অল্প বিষয়ে রেগে যায়।তা নিয়ে অনেক সময় সমস্যা হয়।

২.অনেক সময় তাদের রাগ তাদের প্রিয়জন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।

৩.রাগের ফলে অনেক সময় তারা কোন কাজ ঠিকমতো করতে পারেনা।

৪.রাগী মেয়েদের সাথে কেউ তেমন ভাবে মিশতেও চায় না।

৫.রাগী মেয়েদের বন্ধু সংখ্যা খুব কম থাকে। এমনকি নাই বললেও চলে।

৬.রাগী মেয়েদের মাঝে খাপ খাওয়ানোর অভ্যাসটা একটু কম।তাই তারা যেকোনো পরিবেশে খাপ খাওয়াতে পারেনা।

৭.অনেক সময় শুধুমাত্র এই রাগের কারণে রাগী মেয়েদের ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবন হুমকির মুখে পড়ে।

রাগী মেয়েদের যে সুন্দর একটা মন আছে সমাজ অনেক সময় এইটাও ভুলে যায়।অপরাধ করুক আর নাই করুক না কেন আমাদের এই সমাজ সব দোষ রাগী মেয়েদের উপর চাপিয়ে দেয়।কিন্তু রাগী মেয়েরাও যখন শান্ত হয় তখন তাদেরও খারাপ লাগে।তাদের মনেও অনুশোচনা জাগে।তারাও নিজের ভুল নিজেরা বুঝতে পারে।কিন্তু সমাজ তাদের দোষকে বেশি গুরুত্ব দেয়।তাদের অপরাধ তাদের ভুলতে দেয়না।সমাজ তাদের আগাতে দেয় না।আপনি যেমনই হোক নিজের উপর নিজে ভরসা রাখতে শিখুন। জেনে নিনি রাগী মেয়েদের পাশে কেউ থাকে।তাই একা একাই চলতে শিখুন।ধন্যবাদ সবাইকে।

ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন।

Related Posts

24 Comments

  1. মানুষের মনের খারাপ গুণগুলোকে কখনই পজিটিভলি ভাবা উচিত নয়। রাগ হচ্ছে মানুষের জীবনের সবচেয়ে খারাপ গুণগুলোর একটি। রাগ একটি মানসিক সমস্যা, রাগ মানুষের হতেই পারে; এসব ভেবে রাগের মতো খারাপ গুণকে হালকা করে নেবার কোন কারণ নেই। মানুষকে কখনই তার খারাপ স্বভাবের কাছে হারা উচিত নয়। কথায় আছে না? মনের হারটাই বড় হার। ছেলে-মেয়ে উভয়েরই রাগ হতে পারে। তবে সেটাকে নিজের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ভেবে সেটাকে কাটানো উচিত। কোন ভাবেই খারাপ স্বভাবকে মেনে নেওয়া যাবে না। সমাজ নষ্ট হচ্ছে তখন থেকেই; যখন সবাই খারাপ বিষয়গুলোকে স্বাভাবিক মনে করে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছে। এতে ভালোতো হচ্ছেই না বরং সমাজটা নষ্ট হচ্ছে।

      1. ভালো হবার চেষ্টা করাটাই বেটার। কিন্তু কোনভাবেই নিজের খারাপগুণগুলোকে মেনে নেওয়া উচিত নয়। “সবাই এক রকম হয় না” এসব বলাটা হলো নিজের খারাপ অবস্থানটা এক প্রকার মেনেই নেওয়া।

          1. বুঝলাম না আপনাকে কিভাবে পিন্চ করলাম? আমিওতো পোস্টটার লজিকটিকে কেন্দ্র করেই কথা বললাম। পারসোনালি এংগেল করেতো কিছু বলিনি। আশা করি ভুল বুঝবেন না।

  2. রাগি মেয়েরা খারাপ এটা আবার কারা বলে?
    সবাই বলে রাগী ব্যক্তি ভালো নয়।আপু আপনি যে বিষয়গুলো উল্লেখ করছেন ওইগুলো লিঙ্গ ভেদে শুধুমাত্র রাগী ব্যক্তিদের বৈশিষ্ট্য। সে মেয়েও হতে পারে আবার ছেলেও।

মন্তব্য করুন