রোজায় থেকে থানকুনি খাওয়ার উপকার ও পরামর্শ

  1. (১)হজমের সমস্যার সমাধানঃ
    আমরা সারাদিন রোজায় থেকে কিছু খায় না। এতে আামরা ইফতারের সময় নানান রকমের খাবার খেয়ে পেট ভরাতে থাকি।তখন আমাদের হজমের ক্ষমতা কম থাকে।তাই, থানকুনি র পাতার রস করে খেলে এ সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। এ পাতার রস আমাদের হজমের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
    (২)কোথাও কেটে গেলেঃ
    আামাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের কাটা ছেড়া হয়ে যায়। তার প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য থানকুনি ব্যবহার করা যায়। রক্ত জমাট বেঁধে যেন না যায় সেই খেয়াল রাখতে হবে।রক্ত জমাট বাধলে হার্ট, কিডনি,মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।
    (৩) মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমায়ঃ
    আমরা অনেকে ডিপ্রেশনে ভুগি নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলেই উপকার পাবেন। এতে এমন কিছু উপাদান আছে হরমোনের প্রভাব কমতে শুরু করে এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমায়।
    (৪)মস্তিকস্কের কার্য ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
    নিয়মিত থানকুনি র পাতার রস খেলেই শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বাড়ায়। তাই, ব্রেন সেলের ক্ষমতা বাড়ায়। স্মৃতি শক্তি সঞ্চয় করতে সাহায্য করে। সেই সাথে বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে। এজন্য নিয়মিত থানকুনি পাতা ব্যবহার করতে হবে। ডাক্তারও থানকুনি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
    (৫) ছোটের বুদ্ধিমান করতেঃ
    ছোট থেকে থানকুনি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ। এতে ব্রেন সেলের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।ছোটরা কর্ম সাধনের উপায় নিজে থেকে খুজে বের করার কথা ভাবতে পারে এবং মানসিক অবসাদের অবসান ঘটিয়ে একটি নতুন কিছু করার কথা ভাবতে থাকে।
    (৬) ওজনের আধিক্যসহ নানা ধরনেরঃ
    বয়সের তুলনায় অনেক সময় বেশি ওজন হয়ে যায়। সেই খেয়াল রাখতে হবে এবং তার জন্য একটা সময় নানান রকম সমস্যায় পড়ে যায়। নিয়মিত খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন এবং সেই সাথে থানকুনি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে যেন খুব সহজেই ওজন কমাতে পারা যাবে।
    (৭) ব্লাডপ্রেসার কমাতেঃ
    শরীরের অতিরিক্ত ব্লাডপ্রেশার বাড়ায় চিন্তা করতে হয়। তখন প্রথমিকভাবে বাড়িতে বসেই খুব সহজেই কমিয়ে ফেলতে পারি।যেমন মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমনি শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলিও, তাই এই বিষয়ে সাবধান থাকাটা জরুরি। আর সেই কারণেই তো থানকুনি পাতার রস না খেলেই নয়!
    শরীরের ভিতরে প্রদাহের মাত্রা কমায়
    কোনও কারণে শরীরের ভিতরে যদি ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়।

(৮) স্টমাক আলসারের মতো রোগ দূরে রাখে অরিসটেড নামে একটি উপাদান রয়েছে থানকুনি পাতায়, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে স্টমাক আলসারের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, পেট খারাপ বা ডায়রিয়ার চিকিৎসাতেও অনেক সময় এই পাতাটিকে কাজে লাগানো হয়ে যাকে।

(৯)এছাড়া অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমায়
এমন ধরনের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাদের নিয়মিত করে খেতে হবে থানকুনি পাতার রস খেলেই উপকার। তা হলেই মিলবে উপকার। কারণ, এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যে কারণে স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। এমনকী, স্ট্রেস লেভেলও যেমন কমে, তেমনই বারে-বারে অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের কবলে পড়ার আশঙ্কাও কমে।
বয়স্ক মানুষরাও যদি নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খান, তা হলে শেষ বয়সে অ্যালঝাইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

(১০)অনিদ্রার সমস্যা দূর হয় সেই সাথে
রাতে কি ঠিক মতো ঘুম হয় না? তা হলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন থানকুনি পাতা। দেখবেন, উপকার মিলবে একেবারে হাতে-নাতে। কারণ, এতে রয়েছে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা স্ট্রেস লেভেল কমায়। সঙ্গে নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত রাখে। ফলে অনিদ্রার মতো সমস্যা দূরে পালাতে সময় লাগে না।
(১১) শরীরকে বিষমুক্ত করে
নানা ভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করা টক্সিক মারাত্মক ক্ষতি করে। এরা শরীরের বিভিন্ন সেলের ভিতরে ঢুকে যায়। থানকুনি পাতার রস খেলেই উপকার পাবেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ এটুকুই।আপনার ও আাপনার পরিবারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হন। আরও কিছু জানতে কমেন্ট করুন সাথে আছি।

থানকুনি

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন