লিখিত পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে কি কি করবেন?

 

আপনি কতটা জানেন আর আপনি কতটা উপস্থাপন করতে পারেন তাঁর মধ্যে বিস্তর পার্থ্যক রয়েছে । আপনি যদি অনেক জানেন আর সেই জানার জিনিস গুলো যদি পরিক্ষার খাতায় উপস্থাপন করেই না পারেন তাহলে আপনি কখনোই ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন না । বিশেষ করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার্থীরা তারা যা আশা নিয়ে পরছে সে আশানোরুপ পরিক্ষার খাতায় উপস্থাপন করে আসতে না পারে তাহলে সমস্ত পরিশ্রমিই ব্যর্থ হবে । সঠিক উপস্থাপন করতে না পরলে সাফার আপনাকে করতেই হবে । এমন অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা সব কমন পেয়েও ভালো রেজাল্ট করত পারে না । আবার কেও কেও অল্প কমন পেয়েও ভালো রেজাল্ট করে ফেলে । এমনটা কেনো হয় এর পেছনে কি কোন কারন রয়েছে । হ্যাঁ বন্ধুরা এর পেছনে নিশ্চই কারন রয়েছে । তবে একটা নয় এর পিছনে অনেকগুলো কারন রয়েছে । আর সেগুলো যদি জানতে চান তাহলে লিখাটা মন দিয়ে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ুন ।

তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক রিটেন পরিক্ষায় কোন কোন বিষয়গুলো ফোকাস করলে ভালো রেজাল্ট করা যায় ।

নাম্বার ১। Carefully fill-up The Answer Sheet :- লিখিত পরিক্ষায় সবার আগে খাতা দেয়া হয় খাতায় রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার, রোল নং অন্যান্য তথ্যাদি সঠিক ভাবে পূরন করে নিয়ে খাতার চারপাশে ভাল করে মার্জিন টেনে নিতে হয় । অনেক স্টুডেন্ট মার্জিন টানার জন্য সবুজ, গোলাপি, লাল ইত্যাদি বিভিন্ন কালির কলম ব্যবহার করে যা একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয় । মার্জিন টানার জন্য পেনের পরিবর্তে পেন্সিল ব্যবহার করাটাই উত্তম । পেন্সিল ব্যবহার না করেও খাতা ভাজ করেও  মার্জিনের অংশটি ছেড়ে দিয়েও লিখা যেতে পারে ।

নম্বার ২। Read The Question Paper First:-  মার্জিন টানা হয়ে গেলে প্রশ্নপত্র ভালভাবে পড়ুন প্রশ্নপত্র ভালোভাবে বোঝাটাও একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার । পরশ্ন সঠিক ভাবে বুঝতে পারলে তবেই উত্তর সঠিকভাবে লিখা সম্ভব হবে । প্রশ্ন পত্র পড়ার সময় অবশ্যই লক্ষ্য করুন প্রশ্ন গুলো প্রিন্টিং মিস্টেক বা ভূল রয়েছে কিনা । যদি থেকে থাকে সেটা সংসোধন করিয়ে নিন । আর কোন কোন প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখবেন সেটাও ঠিক মার্ক করে নিবেন ।

নাম্বার ৩ / Try To Avoid Gel Pen:- জেল জাতীয় কালির কলম ব্যবহার না করাই ভাল কারন জেল জাতীয় ব্যবহার করলে সেই লিখাটা পরের পেজে লেগে যায় ফলে আপনার লিখার সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে যায় । এর পরিবর্তে পুর্বে ব্যবহৃত রানিং বলপেন ব্যবহার করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ ।

নাম্বার ৪/ Write As Fast As You Can :- লিখার সময় হাতের লেখা খারাপ হয়ে যাচ্ছে বলে একদম মন খারাপ করবেন না । স্পিডে লিখলে লিখা খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক সবার সাথে এমনটাই হয়ে থাকে । তাই যতটা পারবেন মার্জিনের মধ্যে থেকে ফাস্ট লিখার চেষ্টা করবেন ।

নাম্বার ৫/ Highlight all quotes and Points:- লিখার সময় কোন Important Point Quotation বা Reference কালো কালি দিয়ে লিখবেন এবং তলায় সেটা নীল কালি দিয়ে আন্ডারলাইন করে দিবেন তাতে সেটা সহজেই পরিক্ষকের নজরে পরবে এছাড়া অন্য কোন কালি ব্যবহার করবেন না ।

নাম্বার ৬/ Be systematic :- চেষ্টা করবেন প্রশ্নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উত্তর দেওয়ার । এতে খাতা দেখা অনেক সহজ হয় এবং পরিক্ষক খুশি হয় ফলে নম্বার অনেক ভালো আসে ।

নাম্বার ৭/ Start With short Question:- প্রথম দিকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেবার পর বর্ণনা মুলক প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়াই ভালো ।

নাম্বার ৮/ Maintain Distance Between two answers:- একটা প্রশ্নের উত্তর লিখা শেষ হয়ে যাবার পর পরবর্তী প্রশ্নের উত্তর একটু জায়গা ছেড়ে লিখা উচুৎ আর যদি জায়গা খুব কম থাকে তাহলে নতুন প্রশ্নের উত্তর পরবর্তী পৃষ্ঠা থেকে শুরু করা উচিৎ ।

নাম্বার ৯ / Use just a single line to cut the wrong answer :- ভুলবশত কোন কিছু লিখে ফেললে তা বেশি ঘষা ঘষি না করে তা এক টানে কেটে দিলেই ভাল ।

নাম্বার ১০/ Be careful about spelling:- লিখার সময় বানানের দিকে একটু খেয়াল রাখবেন যেন সহজ বানানগুলোও ভুল হয়ে না যায় । কার খাতা দেখার সময় কারন খাতার ভুল থাকলে স্যারেরা বিরক্তবোধ করেন তাতে ভালো লিখা থাকলেও নাম্বার কম আসার সম্ভাবনা থাকে ।

এবং সর্বশেষ যা বলব তা হল পরিক্ষার আগে অবশ্যই প্রচুর পরিমানে লিখার প্র্যাকটিস করুন ও লিখার সময় বানাদের দিকে খেয়াল রাখুন  এতে করে আপনার হাতের লিখা সুন্দর হবে আর বানান ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম হবে । মনে রাখবেন আপনার পরিক্ষার খাতায় লিখা যত সুন্দর ও স্পষ্ট অক্ষরে লিখবেন আপনার নাম্বার তত ভালো আসার সম্ভাবনা বেশি হবে । কিন্তু যদি এমন টা হয় যে আপনি সবকিছু ভালো ভাবে পারেন কিন্তু আপনার হাতের লিখা ভালো না বা হিজিবিজি লিখা তাহলে কিন্তু আপনার নাম্বার আপনার আশানরুপ আসবে না । ধন্যবাদ ।

Related Posts

9 Comments

  1. ব্লগিং বলতে আসলে বোঝায় একটা কন্টেন্ট চালিয়ে যাওয়া। সেটা হতে পারে ভিডিও কন্টেন্ট, রাইটিং কন্টেন্ট,ভয়েস কন্টেন্ট। বর্তমান সময়ে আমরা সাধারণত ভিডিও ব্লগিং এবং রাইটিং কন্টেন এর সাথে পরিচিত। আমরা সকলেই জানি ব্লগিং করে আর্নিং করা যায়। তবে সেটা কিভাবে করতে হয় এটা আমরা অনেকেই জানি না। আমি নিজেও ততোটা জানি না। তবে যতটুকুই জানি তাই আপনানের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব।

    **** আমরা সকলেই অনলাইনের মাধ্যমে কিছু না কিছু ইনকাম করতে চাই। এ জন্য আমরা ফেসবুকের মধ্যে অনেক ঘাটাঘাটি করে থাকি। তবে ফেসবুকে এমন ইনকামের লোভ দেখিয়ে অনেকে প্রতারণা করে থাকে।
    **** আপনি একটু লক্ষ্য করতেই দেখতে পারবেন, ফেসবুকের মধ্যে যেসব লোক আর্নিং এর কথা বলে, শতকরা ৯৯% ফেইক আইডি।

    আসলে অনলাইন থেকে ইনকাম করা এতোটা সহজ না যে আমি একটা জাগায় একটা কোড বসিয়ে ডেইলি ৫০০/১০০০ টাকা ইনকাম করা যাবে। এমন হলে এই মুহুর্তে আমি নিজের টাকায় আর-ওয়ান-ফাইভ নিয়ে কলেজে যেতাম।

    **** করা যাবে না এমন না। করা যাবে। আরো পড়তে হলে নিচের লিংক এ প্রবেশ করে পড়তে পারেন
    shorturl.at/hkCH0
    shorturl.at/nrCEP

মন্তব্য করুন