শরিয়তের ভাষায় মালিক শ্রমিক সম্পর্ক

অন্ন,বাসস্তান,শিক্ষা ও চিকিৎসা ইত্যাদি একজন মানুষের মৌলিক অধিকার। আর এ অধিকার অর্জনের লক্ষ্যে মানুষ পতিনিয়ত প্রতিবিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ সামাজিক জীব।পৃথিবীর কোনো মাবুষই একা তার সকল কাজ করতে পারে না👈। শিল্পায়নের এ যুগে জীবনধারণের জন্য প্রত্যেক মানুষকেই একে অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হয়।

সমাজের বিভিন্ন স্তরে এক ব্যক্তির অধীনে একাধিক ব্যক্তি কাজকর্ম করে।এতে কেউ মালিক হয় আবার কেউ হয় শ্রমিক।মালিকের সাথে শ্রমিকের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।মালিক শ্রেণি যেমন শ্রমিক শ্রেণির সাহায্য ছাড়া চলতে পারে না তেমনিভাবে শ্রমিক শ্রেণির দৈনদিন জীবন মালিক শ্রেণির বেতন -ভাতার উপর অনেকটাই নির্ভরশীল।

নিদিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অন্যের কাজ করে শ্রমের মূল্য গ্রহণ করা ঘূণার কাজ নয়।আমাদের প্রিয়নবি🌹হযরত মুহাম্মদ (স.)ও শ্রমিকের কাজ করেছেন। তাকেঁ জিজ্ঞেস করা হলো-কোনো প্রকারের উপার্জন উত্তম ও পবিত্র?তিনি বললেন, কোনো ব্যত্তির নিজ শ্রমের উপার্জন এবং সৎ ব্যবসালব্ব মুনাফা।👍,ইসলাম অধীনস্হ লোকদের সাথে উত্তম ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছে।🌙

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

-“☀️”তোমরা পিতা – মাতা,আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম ও মিসকিনদের সাথে ভালো আচরণ কর এবং নিকট -প্রতিবেশী, দূর- প্রতিবেশী,সংগী-সাথি,মুসাফির ও তোমাদের অধীনস্হ যেসব দাস- দাসী (শ্রমিক)রয়েছে তাদের প্রতিও সদয় হও””।

মালিক ও শ্রমিকের মাঝে এক চমৎকার দৃষ্টান্ত আমরা হযরত আনাস (রা)-এর জীবন থেকে পাই। তিনি বলেন, “” আমি দশ বছর যাবৎ রাসুলুল্লাহ (স.)-এর খেদমত করেছি। তিনি আমার সম্পর্কে কখনো উহ! শব্দ বলেননি এবং কখনো বলেননি,এটা করোনি কেন? এটা করেছো কেন? আমার অনেক কাজ তিনি নিজ হাতে করে দিতেন।”” হযরত উমর (রা.)আমিরুল মুমিনিন ছিলেন।

<

জেরুজালেম সফরে উটের পিঠে চড়া ও উট টেনে নেওয়ার ব্যাপারে তিনি সাম্য মানবতাবোধ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি উটের পিঠে চড়াও উটের রশি টানার বিষয়ে নিজের ও ভৃত্যের মাঝে পালাক্রম ঠিক করে নিয়েছিলেন। মালিক-শ্রমিকের এমন দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল।⬇️ বিদায় হজের সময় (স.)-কে জিজ্ঞেসা করা হলো যে,একজন অধীনস্থ কর্মচারীকে কতবার খমা করা যেতে পারে? হযরত মোহাম্মদ (স.)বলেছিলেন-<“দৈনিক সত্তর বার>””। মনিবের উচিত তার শ্রমিকের শক্তি ও সামর্থ্য বিচার করে তাকে কাজ দেওয়া।

রাসুলুল্লাহ (স.)বলেছেন –
“তাকে (শ্রমিকে)তার সাধ্য সামর্থের বাইরে কোনো কাজ দেওয়া যাবে না। . . মুসলিম)👳‍, খুব দ্রুত শ্রমিকের পারিশ্রমিক আদায়ের ব্যাপারে ইসলামের বিধান সুস্পষ্ট। হযরত মোহাম্মদ( স.) বলেছেন-“শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানের পূর্বেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।””🌍 (কাজেই দেশ ও জাতির কল্যাণে আমাদের ইসলাম প্রদত্ত আদর্শ শ্রমনীতি অনুসরণ করা উচিত।)। (যদি ভালো লাগে কমেন্টে জানিয়ে দিন আপনার মতামত 💬)

Related Posts