শরীরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাবে ই-স্কিন বা ইলেকট্রনিক স্কিন।

সকল পাঠক ভাই ও বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আজকে আমি গ্রাথোর প্লাটফর্মে একটি আকর্ষণীয় আর্টিকেল লিখছি । এই আর্টিকেল টি একটি বিশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে লিখছি। বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য আবিষ্কৃত হচ্ছে নানা ধরনের নতুন নতুন প্রযুক্তি। যা মানুষের কাজকে করে দিচ্ছে সহজ থেকে সহজতর।

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাবে ই-স্কিন বা ইলেকট্রনিক স্কিন

বর্তমানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে, শিক্ষা ক্ষেত্রে, ব্যবসা ক্ষেত্রে, এমনকি রান্না ঘরে পর্যন্ত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা যদি খেয়াল করে দেখি তবে দেখতে পারবো আমাদের জীবনের সাথে প্রযুক্তি জড়িয়ে রয়েছে। আমরা এসকল প্রযুক্তি ছাড়া এক দিন ও থাকতে পারবো না।

এমনি একটি প্রযুক্তি হচ্ছে ইলেকট্রনিক স্কিন বা ই-স্কিন। এই প্রযুক্তি দিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ খবর নিতে পারবেন।

এই ইলেকট্রনিক স্কিন বা ই-স্কিন আবিষ্কার করেছেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক টাকাও সমেয়া। মূলত জাপানের ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে যাওয়া বয়স্ক লোকদের কথা চিন্তা করে ইলেকট্রনিক স্কিন বা ই-স্কিন নকশা করা হয়েছে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন ই-স্কিন:

এই ই-স্কিন অত্যন্ত হালকা ও পাতলা, যা ওয়াটার স্প্রে দিয়ে বুকের কাছে লাগিয়ে রাখা যাবে। একটি ইলেকট্রনিক স্কিন বা ই-স্কিন ৭ দিন ব্যবহার করতে পারবেন।

যেভাবে কাজ করবে ই-স্কিন:

পলিভিনাইল অ্যালকোহল নামক বিশেষ ধরনের নমনীয় বস্তু ও স্বর্ণের একটি স্তরের সমন্বয়ে ই-স্কিন তৈরি করা হয়েছে। ই-স্কিন হচ্ছে হৃদস্পন্দন ও মাংসপেশির নড়াচড়ার বৈদ্যুতিক সঙ্কেত ধরতে সক্ষম পরিধান যোগ্য একটি সেন্সর।

একটি ছোট্ট ট্রান্সমিটার বুকের কাছে বাঁধা থাকে, যা হৃদস্পন্দনের তথ্য নিকটবর্তী স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে অথবা ক্লাউডে পাঠায়। অনেক দূর থেকেও চিকিৎসক সে তথ্যগুলো দেখতে পারবেন। এই ই-স্কিন আপনার শরীরের কোনো ক্ষতি না করেই আপনার শরীর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে।

ই-স্কিন এর মাধ্যমে শরীরের যেসকল তথ্য জানতে পারবেন:

এ ইলেকট্রনিক স্কিন বা ই-স্কিন শরীরের লাগিয়ে রাখা যাবে।ই-স্কিন এর মাধ্যমে হৃদস্পন্দন, ডায়াবেটিস পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এছাড়াও ই-স্কিন অসুস্থতার প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। এটি হাতে পরিধান করা যাবে।

যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারে না, তাদের জন্য ছবি তুলে ধরা হবে। এছাড়াও ই-স্কিন এ সাধারণ ইমোজি ব্যবহার করে যোগাযোগের ব্যবস্থা ও থাকবে। স্পোর্টস ওয়্যারে অ্যাথলেটদের ফিটনেস মনিটরিং এর জন্য ইলেকট্রনিক স্কিন বা ই-স্কিন ব‌্যবহার করা যাবে।

পরিশেষে: সবমিলিয়ে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দারুন একটি প্রযুক্তি হচ্ছে ইলেকট্রনিক স্কিন বা ই-স্কিন। যা দৈনন্দিন কাজে ব্যঘাত না ঘটিয়ে শরীরের নানা ধরনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করবে।

আমার এই আর্টিকেল টি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আগামীতে আরো সুন্দর কোনো আর্টিকেল নিয়ে এই গ্রাথোর প্লার্টফর্মে আসবো। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। বিদায়।

Related Posts