শিক্ষার্থীদের জন্য পার্ট টাইম জব ৫টি, স্টুডেন্টদের জন্য

আজকের আটিকেল ওইসব শিক্ষার্থীদের জন্য তারা পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চায়। আজ এমন কিছু পার্ট টাইম জব নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো যাতে স্টুডেন্টদের পড়াশুনার উপর কোনো প্রভাব পড়বে না। তাই আপনি যদি জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং কোন পার্ট টাইম কাজটি আপনারপক্ষে সুবিধার তা বেছেনিন। নিচে ৬ টি কাজের তালিকা দেওয়া হলো যেগুলি স্টুডেন্ট তাদের পড়াশুনার পাশাপাশি করতে পারবেন।

  • ১. টিউশন পড়ানো
  • ২.ফটো এডিটিং
  • ৩.আর্টিকেল রাইটিং
  • ৪.ইউটিউব
  • ৫.ওয়েব ডিজাইন
  • ৬.ফ্রীলান্সিং

শিক্ষার্থীদের জন্য পার্ট টাইম জব ৫টি, স্টুডেন্টদের জন্য / প্রত্যেকটি কাজের সম্বন্ধে বিস্তারিত পড়ুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন আপনার জন্য কোন কাজটি সেরা।

১. টিউশন পড়ানো: টিউশন পড়ানোর কাজটি প্রথম রাখার কারন হচ্ছে আপনি আগে যেসব পড়েছিলেন সেগুলো রিভাইজ হবে। বিভিন্ন চাকরির ইন্টারভিউ তে নিচু ক্লাসেরও কিছু প্রশ্ন করে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার এই কাজটি টাকার সাথে নিজের জন্যও লাভজনক হতে পারে।

কিভাবে শুরু করবেন – প্রথমে আপনি আপনার আত্মীয় বা প্রতিবেশীর ছেলেমেয়ে, যারা আপনার থেকে নিচু ক্লাসে পড়াশুনা করে তাদেরকে অল্প টাকার বিনিময়ে টিউশন পড়ানো শুরু করে দিন।তারপর যখন আপনি ভালো টিউশন পড়ান তা লোকে জানবে তখন আপনি আপনার ফিস বাড়াতে পারেন। একবার আপনার টিউশন টিচার রূপে পরিচয় হবার পর আপনাকে আর স্টুডেন্ট খুঁজতে হবে না। স্টুডেন্টরা নিজেই আপনার কাছে পড়তে চাইবে।

২. ফটো এডিটিং: অনেক ছেলমেয়ে নিজের ছবি এডিটিং করে। আপনিও যদি ফটো এডিটিং করতে ভালোবাসেন তাহলে এই কাজটি করতে পারেন। এই কাজটি করার জন্য আপনাকে খুব ভালো ফটো এডিটিং জানতে হবে। আপনি তা ইউটিউব দেখেও শিখতে পারেন। সাধারণত একটা নরমাল ফটো এডিটিং ৩০ মিনিটের মধ্যে করতে পারেন।

কিভাবে শুরু করবেন – এই কাজটি শুরু করার আগে আপনি ১০-১৫ টি ফটো খুব সুন্দর ও প্রফেশনাল ফটো এডিটর দের মতো এডিট করে ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করুন। আপনার লোকাল এরিয়াতে বিয়েবাড়ির বা নানা অনুষ্ঠানের ছবি তুলে আপনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং আপনর এডিট করা ফটোগুলো দেখান। যদি আপনার এডিট করা ফটো ওদের পছন্দ হয় তাহলে আপনি তাদের তোলা ফটোগুলো অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে এডিট করে দিন। পরে আপনি আপনার মূল্য বাড়াতে পারেন।

৩. আর্টিকেল রাইটিং: বাংলা, ইংলিশ কিংবা আপনি যে ভাষার ভালো লিখতে পারেন সেই ভাষায় কোনোকিছুর সম্বন্ধে আর্টিকেল বা প্রবন্ধ লিখে ভালো টাকা আয় করতে পারেন। আপনি, টেকনোলজি, জীবনধারা ইন্টারনেট বা আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন সেই বিষয়ে আর্টিয়াক লেখতে পারেন। উদাহরন হিসেবে আমি এখানে ‘স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব’ সম্বন্ধে একটি আর্টিকেল লিখেছি যেটি আপনি এখন পড়ছেন।

<

কিভাবে শুরু করবেন – গুগলে পার্ট টাইম আর্টিকেল রাইটর জব সার্চ করে পছন্দ মতো জবের জন্য এপ্লাই করুন। কিংবা ফেইসবুকে Article Writer দের ৫-৬ টি গ্রুপে যুক্ত হন। সেখানে দেখবেন প্রতিদিন কেও না কেউ কিছু টাকার বিনিময়ে আর্টিকেল লেখতে চান। তাদের সঙ্গে কথা বলে আপনি তাদের জন্য অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে আর্টিকেল লিখেদিতে পারেন।

৪. ইউটিউব চ্যানেল: পার্ট টাইম জব করার জন্য ইউটিউব হতে পারে একটি অন্যতম মাধ্যম। ইউটিউব থেকে আপনি প্রথমে কোনো টাকা আয় করতে পারবেন না। ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার জন্য প্রথমে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ১০০০ জন সাবস্ক্রাইব করতে হবে এবং আপনার ভিডিও ১২ মাসের মধ্যে মোট ৪০০০ ঘণ্টা দর্শককে দেখতে হবে। মূল কথা আপনি ইউটিউব থেকে তখনি আয় করবেন যখন আপনার ভিডিও দেখতে দর্শকরা পছন্দ করবে।

৫. ওয়েব ডিজাইন: এই কাজটি করার জন্য কিছু কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে, যেমন – HTML, CSS, PHP, JAVA ইত্যাদি। এছাড়া আপনার যদি WordPress এর সম্বন্ধে ভালো জ্ঞান থাকে তাও আপনি করতে পারেন। এই কাজটিতে আপনি ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এবং পরবর্তীতে আপনি এটি ফুল টাইম ও করতে পারেন।

কিভাবে শুরু করবেন – আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ও ফ্রীলান্সিং সাইটে ওয়েব ডিজাইন এর কাজ পারেন। সেখানে আপনি কাজটি করার জন্য এপ্লাই করলে কাজ পেয়ে যাবেন। এরপর যখন আপনি ভালো কাজ শিখে যাবেন তখন আর কাজ পেতে সমস্যা হবে না।

৬. ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সিং মানে হলো মুক্ত পেশা। অর্থাৎ আপনি আপনার পছন্দ মতো সময় এই কাজটি করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কোনো একটা বিষয় দক্ষ হতে হবে। যেমন: ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব ডিজাইন, ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি। এইরকম আরো অনেক বিষয় রয়েছে। গুগল এ সার্চ করলে পেয়ে যাবেন। তাই যেকোনো একটি কাজ শিখে শুরু করে দিতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং।

এই ছিল ছয়টি পার্ট টাইম জব। যেগুলো আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু সময় ব্যয় করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আজ থেকেই যেকোনো একটি বিষয় শেখা শুরু করে দিন। আশা করি এক থেকে দুই মাস পর আর হাত খরচ এর জন্য বাবা-মার কাছে টাকা চাইতে হবে না।

পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

15 Comments

মন্তব্য করুন