শীতের শুষ্কতা ত্বক করে দিচ্ছে রুক্ষ

দেশে এখন কনকনে শীত পড়েছে প্রতিদিন বাংলাদেশের আকাশ কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। পাশাপাশি শৈত্য প্রবাহের লীলাখেলা তো আছেই।

  • শীতের প্রচন্ডতার মাঝে আমরা আমাদের ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়ার বিষয়টি ভুলে যায়।যার ফলে আমার কোমল ত্বক ধীরে ধীরে হয়ে যায় রুক্ষ।ত্বকের রুক্ষতা সৌন্দর্য চর্চার পথে বড় অন্তরায়।রুক্ষ ত্বক নিয়ে চিন্তিত নয় এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়।কেননা ত্বক মানুষের ব্যাক্তিত্বকে বহন করে।আমাদের ছোটোখাটো অবহেলার কারনে ত্বকে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া জনিত নানা রোগের সৃষ্টি হয়।ব্রণ,খোসপাঁচড়া, এ্যালার্জিসহ নানা রোগের সৃষ্টি হয় ত্বককে অবহেলার মুখে রেখে দিলে।তখন আমরা দৌড়ানো শুরু করি ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে।যদি আমরা সঠিক সময় আমাদের ত্বকের যত্ন নিলে এ সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো না।তাই আমাদের উতিৎ ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া।   ত্বকের রুক্ষতা দুর করার জন্য কিছু নির্দেশনা মেনে চলা উচিৎ।
  • এমন কিছু নির্দেশনা আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের কাছে শেয়ার করছি।
  • ১.সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার : ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেহেতু শীতকালে ত্বক এমনিতেই শুষ্ক থাকে তাই ক্রিম হতে হবে তুলনামূলক ভাবে একটু ওয়েলি।ফেসওয়াস হতে হবে গ্লিসারিন সমৃদ্ধ। ঠোঁটের জন্য ব্যবহার করতে হবে পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ জেল।কিছু ফেসওয়াস যেমন-হিমালয়া নিম ফেসওয়াস, লেকমি স্কিন ফেসওয়াস, পনডস হোয়াইট বিউটি ফেসওয়াস, ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার ফেসওয়াস, অক্সি ফেসওয়াস, আরও অনেক ফেসওয়াস ব্যবহার করতে পারেন।ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন-গার্নিয়ার নাইট ক্রিম,ওলি নাইট ক্রিম, লেকমি নাইট ক্রিম, পনডস উইন্টার ক্রিম,সিলসিলা নাইট ক্রিম,গোল্ড ক্রিম,হোয়াইট বিউটি ক্রিম।
  • ২.পানির ব্যবহার: পানি মৃদু গরম করে ব্যবহার করা উত্তম। এতে ত্বকের সেলগুলো সতেজ থাকে।
  • ৩.শীতের ফলমূল :শীতকালে যেসব ফলমূল পাওয়া যায় সেগুলো সঠিকভাবে খেতে হবে।যেমন-বরই,পেঁপে, পেয়ারা, গাঁজর আরও অনেক কিছু। এসব খাবারে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের সুরক্ষায় সহায়ক।এছাড়াও রাফেজ সমৃদ্ধ খাবারে আঁশ থাকে তাই, এসব খাবার খেলে ত্বকের প্রোটেকশন ওয়েব তৈরি হয় যা ত্বককে সকল প্রকার শুষ্কতা থেকে সুরক্ষিত রাখে।প্রাকৃতিক ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন থাকে। আঙ্গুর,কমলা,কলা ইত্যাদি অনেক ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার।
  • এসবের পাশাপাশি আমাদের সকলের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। এক্ষেত্রে খেলাধুলা হতে পারে বড় সমাধান। তাছাড়া খেলাধুলা করলে মনও ভালো থাকে মস্তিষ্ক প্রসুপ্ত হয়।প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।পানি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ত্বকের মসৃনতা রক্ষা করে।
  • এসব নির্দেশনা প্রতিনিয়ত মেনে চলতে হবে। সব নির্দেশনাগুলো সঠিক ভাবে মেনে চললে একটি সুন্দর জীবনযাপন সম্ভবপর হবে।আপনারা সবার ওপরের নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই আশা ব্যক্ত করে এখানেই ইতি টানছি।

<

Related Posts