শুরুর কথা– সি প্রোগ্রামিং বাংলা টিউটোরিয়াল পার্ট-১

আসসালামুয়ালাইকুম
সি প্রোগ্রামিং বাংলা টিউটরিয়ালের পার্ট ১ এ আপনাদের স্বাগতম। আজ সি প্রোগ্রামিং এর শুরুর কথা নিয়ে আলোচনা করব। সি হলো একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। এই ল্যাঙ্গুয়েজটি সর্বপ্রথম শুরু হয় ১৯৭২ সালে, আজ থেকে ৪৮ বছর আগে। এই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ টি ডেভেলপ করেন ড্যানিস রিচ্যি এবং বেল ল্যাবস নামক দুজন ব্যক্তি।
সি প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করতে হলে সবার প্রথম এ যেটা দরকার তা হলো সফটওয়্যার। সি প্রোগ্রামিং এর জন্যে পরিচিত সফটওয়্যার হচ্ছে কোড ব্লকস(codeblocks)। বর্তমানে এই সফটওয়্যার টির অনেকগুলো ভার্সন রয়েছে। গুগল এ সার্চ করলেই পাওয়া যাবে কোড ব্লকস। ডাউনলোড করে ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী ইন্সটল করে নিতে পারবেন খুব সহজেই।
এবারে কাজ হচ্ছে কোড লেখা। কোড হচ্ছে কিছু নির্দেশনা, যেগুলো স্টেটমেন্ট আকারে লিখে কম্পিউটার কে দেয়া হয়। কম্পিউটার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে ফলাফল প্রদান করে।
ইনপুটঃ
কম্পিউটার কে যে নির্দেশনা গুলো দেয়া হয় সেগুলোকে বলা হয় ইনপুট।
আউটপুটঃ
নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে কম্পিউটার যে ফলাফল প্রদান করে তাকে বলা হয় আউটপুট।
হেডার ফাইলঃ
সি প্রোগ্রামিং এর কোড এর শুরুতে থাকে হেডার ফাইল। হেডার ফাইল এর কাজ কি? কেন দেব আমরা হেডার ফাইল? সেটা জানতে হলে আগে আমাদের জানতে হবে বিল্ট ইন ফাংশন সম্পর্কে। বিল্ট ইন ফাংশন হচ্ছে কিছু কোড এর সমষ্টি। যখন আমরা কোন বিল্ট ইন ফাংশন কে কল করি, তখন ওই ফাংশন টি তার ভিতর ফিক্সড করা ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী কাজ করে দেয়। তাই বিল্ট ইন ফাংশন গুলোর জন্য আমাদের আলাদা করে কোড লেখার দরকার হয়না।
তো সি প্রোগ্রামিং এ এমন কিছু বিল্ট ইন ফাংশন এর দরকার হয়। আর এই বিল্ট ইন ফাংশন গুলো সেট আপ করা থাকে হেডার ফাইল এ। তাই কোড লেখার সময় যাতে করে আমরা বিল্ট ইন ফাংশনগুলো ব্যবহার করতে পারি সেজন্য আমাদের হেডার ফাইল এর দরকার হয়।
স্টেটমেন্টঃ
সি প্রোগ্রামিং কোড এর প্রতিটি নির্দেশনা কে বলা হয় এক একটি স্টেটমেন্ট। আর প্রতিটি স্টেটমেন্ট এর শেষে অবশ্যই একটি সেমিকোলন(;) দিতে হবে। তা না হলে কোড রান করতে গেলে এরর দেখাবে।
বন্ধনীঃ
সি প্রোগ্রামিং এর সমস্ত স্টেটমেন্ট ২য় বন্ধনীর ( {…} ) ভিতরে লিখতে হবে।

এগুলোই সাধারন কিছু কথা যেগুলো সি প্রোগ্রামিং করার আগে জেনে রাখা ভালো।আমাদের আরো জানতে হবে সি প্রোগ্রামিং এর স্ট্রাকচার, ভেরিয়েবলস, ডাটা স্ট্রুকচার, বিল্ট ইন ফাংশন। এর পরে জানতে হবে লজিক। আমরা যত বেশি লজিক জানব, প্রোগ্রামিং এ ততই দক্ষ হয়ে উঠব।
মনে রাখবেন যে কোন জিনিসেই অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই। আর যদি হয় প্রোগ্রামিং এর কথা তাহলে বলতেই হবে, পরিশ্রম, ধৈর্য আর অনুশীলন ই আপনাকে প্রোগ্রামিং এর জগতে রাজা বানাতে পারবে।
আজ এ পর্যন্তই। আসছি টিউটোরিয়াল পার্ট-২ নিয়ে।

<

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন