“আসসালামু আলাইকুম” আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে খুবই ভালো আছি। আজ শৈশবকালের জীবন কাহিনী তুলে ধরবো।
শৈশব এমন একটা কাল। এমন কেউ নেই সেই শৈশবকালের আনন্দ উপভোগ করেনি। সবথেকে বেস্ট সময় হল শৈশবকাল। আমাদের শৈশবকাল এত আনন্দ উল্লাস সারাজীবনেও আর পাওয়া যায় না। এই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে সত্যিই খুব আফসোস হয়। সত্যিই এই দিনগুলো আর কখনো ফিরে পাবো না। বাবা-মায়ের সে আদরে থাকা সেই শৈশব কালের কথাগুলো কখনো মন থেকে মুছে ফেলা যায় না। মিষ্টি সেই শৈশবের দিনগুলো আজও খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু শত খোঁজার পরেও কি সেই দিনগুলো আর খুঁজে পাওয়া যাবে? সেই ছোট্টবেলার কাহিনী আনন্দ, কান্না, আর দুষ্টুমিতে ভড়া সময়গুলো খুবই আনন্দের ছিল। সেই ছোটবেলার পড়ালেখা আর খেলাধুলা গুলো এখনো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। মনে হয় এইতো সেইদিন আমরা একসাথে সবাই মিলে খেলাধূলা করেছি পড়ালেখা করেছি কত হাসি তামাশা করেছি। কিন্তু আসলেই কি তাই? দেখতে দেখতে অনেকটা সময় পার হয়ে গেল আমাদের জীবনে।
স্কুলের প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু হয় আমাদের লেখাপড়ার আনন্দের মুহূর্ত। সকল বন্ধু-বান্ধবদের সাথে একজোট হয়ে স্কুলে যাওয়ার মজাই আলাদা। পড়ালেখার মাঝে ঠিক টিফিনের সময় সকল বন্ধুদের সাথে টিফিন করা খুব আনন্দের। টিফিনের ফাঁকে যতটুকু সময় পেতাম বন্ধুদের নিয়ে আমরা খেলা করতাম সেই খেলাধুলা গুলো প্রত্যেকটা মুহূর্ত খুব আনন্দের হতো। মাঝে মাঝে টিফিনের ফাঁকে বই খাতা নিয়ে পালিয়ে যেতাম। আর বাড়িতে এসে বাবা মায়ের হাতে বকুনিও খেতে হতো। সত্যি বলতে সেই বাবা-মার বকুনি টাও খুব আনন্দের ছিল। ঠিক পরের দিন যখন ক্লাসে যেতাম ঠিক স্যারের কাছেও মার বকুনি খেতে হতো। এত আনন্দ ও দুষ্টুমিতে ভরা ছিল আমাদের শৈশবকাল। স্কুল থেকে এসে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে সেই আবার চলে যেতাম ঠিক বিকেলে খেলাধুলার মাঠে। খেলাধুলায় কে হারে কে জিতে এগুলো নিয়েই মেতে থাকতাম শৈশবকাল। খেলাধুলার শেষে যখন কাপড়-চোপড় ময়লা করে বাড়িতে ফিরতাম ঠিক তখনই মায়ের বকুনি খেতে হতো। সে আনন্দ মুহূর্ত গুলো আজ খুব মিস করি।
ছোটবেলাতে আমরা যখন স্কুলে যেতাম আর সময় গুনতাম কবে শুক্রবার আসবে। শুক্রবার আসলে আমাদের মনে একটা আনন্দে মেতে উঠতাম। কারণ শুক্রবার টা ছিল আমাদের পড়ালেখার অবসর সময়। সেই দিন আমরা অনেক মজা করতাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাম আর খেলাধুলা করতাম। শুক্রবারে আমাদের কাছে ছিল স্পেশাল দিন। শৈশবকালে ছুটির দিনগুলোতে যখন বাবা-মা আমাদের বেড়াতে নিয়ে যেতেন। তখন আমাদের খুশির সীমা থাকে না। সেদিন আমরা খুব আনন্দ করতাম। বাবা মায়ের সাথে সারাদিন আনন্দে ঘুরে বেড়াতাম। বাবা-মার অবসর সময়ে ছুটির দিনগুলোতে অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম। কোন দিন পার্কে, কোনদিন চিড়িয়াখানায়, কোনদিন মেলাতে ঘুরে বেড়াতাম।
ছোটবেলাতেই আরো আনন্দ পেতাম । যখন স্কুলে গৃষ্ম কালীন ছুটিতে আমরা মামার বাড়ি বেড়াতে যেতাম। সেখানে মামার বাড়িতে সবাই মিলে খুব আনন্দ উল্লাস করতাম। সেই শৈশব কালে আমাদের ভাই বোনদের সাথে খুব মজার দিন কাটতো। আমরা ছোটবেলাতে ভাই বোনদের সাথে অনেক ঝগড়া হতো সেই ঝগড়া গুলো খুব আনন্দ হতো। বাবা যখন অফিস থেকে ফিরে আমাদের জন্য কিছু নিয়ে আসতেন। তখন আমরা সব ভাইবোন হারজিত করতাম কে বেশি খাবে কে কম খাবে। এই নিয়ে সারা দিন মারামারি ঝগড়া লেগে থাকতাম। আরো আনন্দ করতাম যখনই ঈদ আসতো। চাঁদরাতে সবাই হাতে ডিজাইন করে মেহেদী পরে ঘুরে বেড়াতাম। পরের দিন সকালে খুব তাড়াতাড়ি গোসল করে নতুন জামা-কাপড় পড়তাম। কার আগে কে নতুন জামা কাপড় পড়বে তার একটা প্রতিযোগিতায় থাকতো। সেই ছোটবেলায় মিষ্টি দিনগুলো আজ খুব মিস করি। সত্যি আর কোনদিন সেই দিনগুলোতে চাইলেও ফিরে যেতে পারবো না। সবার শৈশবকাল সুন্দর ও মিষ্টি হোক সবার জীবনে। আজ এখানেই শেষ করলাম আল্লাহ হাফেজ।