ষষ্ঠ সপ্তাহের ৮ম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আপনারা সকলে নিজ নিন অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি।

এসাইনমেন্ট সিরিজের উত্তর দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আমি আজ নিয়ে এসেছি ষষ্ঠ সপ্তাহের অষ্টম শ্রেনীর কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।

ষষ্ঠ সপ্তাহের ৮ম শ্রেণি কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্টঃ

(ক)মিনারা বেগম পুকুরে কি পরিমাণ ইউরিয়া প্রয়োগ করেছিলেন নির্ণয় কর।
উত্তরঃপুকুরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাদ্য না থাকলে মাছের বৃদ্ধি ভালো ভাবে হয় না।তাই পুকুরে দৈনিক অথবা প্রতি সপ্তাহে একবার নিয়মিত করে সার দেওয়া উচিত।সার পানির সাথে গুলে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হয়।
পুকুরে ইউরিয়া সার প্রয়োগের আদর্শ মাত্রা হলো প্রতি শতকে সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম।
সুতরাং মিনারা বেগম তার ৫ শতক পুকুরে ইউরিয়া প্রয়োগ করেছিলেন।
সুতরাং ৫০×৫=২৫০ গ্রাম( প্রতি সপ্তাহে)

(খ)মিনারা বেগমের উদ্যোগটি মূল্যায়ন কর।
উত্তরঃউদ্দীপকে মিনারা বেগম ৫ শতক পুকুরে রুই, কাতলা,সিলভার কাপ এবং কার পিও জাতের মাছ চাষের উদ্যোগ নেন।এটি মূলত মাছের মিশ্র চাষ পদ্ধতি। সেসব মাছ স্বভাবে রাক্ষুসে নয়,খাবার নিতে প্রতিযোগিতা করে না,জলাশয়ের বিভিন্ন স্তরে বাস করে এবং বিভিন্ন স্তরে খাদ্য গ্রহণ করে এসব গূণের কয়েক প্রজাতির মাছ একই পুকুরে একত্রে চাষ করলে তাকে মিশ্র চাষ বলে।সিলভার কাপ,কাতলা,কাপিও,মুগেল ইত্যাদি পুকুরে মিশ্র চাষের জন্য খুব উপকারী। মিনারা বেগমের পুকুরে চাষের সুবিধাগুলো নিচে তুলে ধরা হলঃ

১.এরা জলাশয়ের বিভিন্ন স্তরের খাবার খায়। যেমনঃকাতলা পুকুরের উপরের স্তরে,রুই মাছ পুকুরের মধ্য স্তরে এবং মৃগেল নিচের স্বভাবের মাছ খায়।
২.এরা রাক্ষসী স্বভাবের নয়।
৩.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো।
৪.দ্রুত বর্ধনশীল।
৫.চাষে জন্য সহজেই হ্যাচারিতে পোনা পাওয়া যাবে।
৬.সল্প মুল্যের খাবার খেয়ে বেড়ে উঠে।
৭.খেতে সুস্বাদু ও বাজারে চাহিদা আছে।
৮.সর্বোপরি উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

১.পলিব্যাগে চারা করা সুবিধাজনক কিনা ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃপলিব্যাগে চারা তৈরি করা সুবিধাজনক কারণ পলিব্যাগের চারা সহজেই স্থানান্তর করা যায়।
পলিব্যাগ নার্সারিতে চারা উৎপাদন অনেক সহজ থাকায় বেশির ভাগ ফলজ ও বনজ চারা পলিব্যাগে উৎপাদন করা হয়।পলিব্যাগে চারা উৎপাদনের সুবিধাগুলো হলঃ
১.যেকোনো মাপের ও ঘনত্তের তৈরি করা যায়।
২.মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী।
৩.সহজে বহন ও পরিবহন করা যায়।
৪.পলিব্যাগে উৎপদিত চারা পরিচর্যা করা সহজ এবং চারা মৃত্যুহার কম।

সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পরুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts