সতর্ক হন এবং ধোকা থেকে বাচুন

আসসালামু আলাইকুম ,

সুপ্রিয় পাঠক ও পাঠিকাগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি এই করোনা মহামারির সময় সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো আছেন। সবাই জেন ভালো এবং সুস্থ থাকেন সেই কামনাই করি আল্লাহ তায়ালার কাছে। আজকে আপনাদের সামনে একটা নতুন বিষয় নিয়ে হাজির হলাম, তা হলো অনলাইন চাকরির বিষয়ে কিছু কথা, যা হয়তো আমাদের মধ্যে কারো না কারো সাথে ইতিমধ্যে ঘটেছে বা ঘটতে পারে।

কেন মানুষ চাকরি খোঁজে?

১. মূলত টাকা পয়সা রোজগার করার জন্যই

২. দারিদ্রতা

৩. পরিবারে অভাব

৪. কারো কাছে ঋণি থাকলে

<

৫. নিজেদের শখ নিজেই পূরণ করতে

৬. অথবা নিজের পরিবার কে আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে।

আমাদের বাংলাদেশ এ চাকরির চেয়ে লোকসংখ্যা অনেক বেশি। তাই অনেকেই বেকার হয়ে ঘোরাফেরা করছে। অনেকেই অনেক পড়াশুনো করেও চাকরি পাচ্ছেন না। ফলে তাদের বাবা-মাকেও নানান কথা শুনতে হয়, যার কারনে অনেকে বাবা-মা ই সন্তানের উপর রাগ পোষণ করেনন আবার কেউ আবেগ ভরে জানায় বাড়ির অভাবের কথা।

যার কারনে অনেকেই নিরুপায় হয়ে চাকরির খোজ করতে থাকেন । এর এক বড় অংশ হচ্ছে ভার্চুয়াল জগত এর অনলাইন জব সাইট গুলো। ছেলে-মেয়েরা গণমাধ্যম ফেসবুকে এইসব জব সাইট ঘুরে এটাই ভাবতে  থাকেন যে হয়তো এর মাধ্যমে তাদের মাথায় চেপে বসে থাকা সমস্যা গুলোর সমাধান মিলবে।

অনলাইন জব সাইট গুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সেলিং, ড্রেস এ কোড বসানো, মেম্বার এড করানো, পেইজ এ লাইক কমেন্ট, সাবসক্রাইব আর নয়তো বিদেশি কোনো App এ রেফার করার মতো কাজ।অনেকেই অনেক রকম কথা বলে, চাকরি খুজতে থাকা ব্যক্তির মনে চাকরি পাবার আশ্বাস ঢুকিয়ে দেন।

পরবর্তীতে তারা জানায় চাকরি পেতে হলে তাকে (যারা চাকরি খুঁজছেন) কিছু টাকা আগেই এড ফি হিসেবে দিতে হবে, মাসিক বেতন১০/১৫/২০,০০০ পর্যন্ত। অনেকেই সে কথা বিশ্বাস করেন আর ভাবেন দিনে যদি ৩০০/৪০০ টাকা রোজগার হয় তবে সামান্য এড ফি না হয় দিয়েই দিলাম। কিন্তু না মানুষ যা ভাবে তা সমসময় সত্য হয় না।

এড ফি দেয়া হয়ে গেলে সেই সব ধোঁকাবাজ চক্র ফেসবুক আইডি ব্লক করে নাম্বার বন্ধ করে দেয়। অনেকে আছেন যাদের কাছে এড ফে দেয়ার মতো টাকা থাকে না, তখন তারা অন্যের থেকে ধার নেয় এই ভেবে যে চাকরি পেলে তো ধার শোধ করেই দিবে।

কিন্তু এরকমভাবে ধোকার সম্মুখীন হবার পর তাদের মন টা বিষন্নতায় ভরে যায় এবং অনেকে ডিপ্রেশন এ ভোগে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কেউ কেউ ৩৫০/৫০০ বা তার ও বেশি টাকা দিয়ে ধোকায় পরেছেন। শুধু তাই নয়, ধোঁকাবাজ চক্র মাঝে মাঝে জয়েন করার কথা বলে কিছু লিংক এ প্রবেশ করতে বলে অন্যের আইডি হ্যাক করে নেয়। শুধু হ্যাক করেই থেকে থাকে না হ্যাকার চক্র।

হ্যাককৃত ব্যক্তির প্রোফাইল নানারকম বাজে পোস্ট করে থাকে এবং ব্যক্তির প্রোফাইল এ অন্য রকমভাবেও ক্ষতি সাধন করে থাকে। যার মাঝে প্রধান হচ্ছে ব্যক্তির পরিচিত দের অরুচিকর বার্তা পাঠানো। ফলে হ্যাককৃত প্রোফাইল এর মালিক কে অন্যের কাছে হেয় হতে হয়। পরবর্তী তে সে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।

এখনো অনেকে আছে যে চাকরি জন্য প্রতিনিয়ত অনলাইন জব সাইট খুজে চলেছেন এবং অন্যকে টাকা এড ফি হিসেবে দিচ্ছেন। এই সুযোগ টাই ব্যবহার করছে হ্যাকার চক্র। অন্যকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এবং টাকা লেনদেন এর প্রমাণ হিসেবে কিছু ছবি দেখিয়ে মানুষের বিশ্বাস জিতে তার থেকে টাকা নিচ্ছে।আর অনেকেই সেই ফাদে পা দিয়ে,,,,ধোঁকাবাজির শিকার হচ্ছেন।

জানিনা কোন পর্যায়ে নামলে একজন মানুষ আরেকজন কে এভাবে ঠকানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ধিক সেই সব অসাধু লোকদের যারা এসব কাজ করছে। যারা সৃষ্টিকর্তা এবং পরকাল কে ভয় করে না।

আসুন আমরা সকলে সচেতন হই।অন্যকে সচেতন করি।টাকা চাইলে সেই সব লোকদের থেকে দূরে থাকুন। ধোকা থেকে বাচুন।

লেখায় ভুল থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। লেখা ভালো লাগলে কমেন্ট, শেয়ার করুন আর গ্রাথর.কম এর সাথেই থাকুন। পরের পর্বে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন।

-আল্লাহ হাফেজ

Related Posts

31 Comments

মন্তব্য করুন