সফলতার জন্য আয়ত্ত করুন ৫ টি অভ্যাস।

বিভিন্ন ধরনের মানুষ নিয়ে আমাদের এই সমাজ। আর প্রতিটি মানুষের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অভ্যাস। ভালো অভ্যাস যেমন মানুষকে নিয়ে যায় সফলতার শীর্ষে তেমনি খারাপ অভ্যাস মানুষকে করে দেয় ব্যর্থ। কখনো মানুষ অভ্যাসের দাস আবার কখনো অভ্যাস মানুষের দাস। তবে যে যারই দাস হোক না কেন মানুষকে পরিবর্তন হতে হলে অভ্যাসকেই আগে পরিবর্তন করতে হয়।জীবনে সফল হতে হলে ভালো কিছু অভ্যাস আপনাকে আয়ত্ত করতেই হবে। আজকে আমি এমন পাঁচটি অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করবো যা আয়ত্ত করলে আপনারা অবশ্যই সফল হবেন। চলুন তবে শুরু করা যাক-

১.সক্রিয় হওয়া

একজন কার্যকরী ব্যক্তির প্রথম এবং সবচেয়ে মৌলিক অভ্যাস হল সক্রিয় হওয়া। শুধুমাত্র উদ্যোগ নেওয়ার চেয়ে বেশি সক্রিয় হওয়া মানে আপনার জীবনের দায়িত্ব নেওয়া। ফলস্বরূপ,আপনি পরিস্থিতির মতো বাহ্যিক কারণগুলির উপর আপনার আচরণকে দোষারোপ করবেন না,তবে আপনার মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে একটি সচেতন পছন্দের মালিক হবেন।প্রতিক্রিয়াশীল লোকেরা যেখানে অনুভূতি দ্বারা চালিত হয়, সক্রিয় লোকেরা মূল্যবোধ দ্বারা চালিত হয়। যদিও বাহ্যিক কারণগুলি আপনাকে কষ্ট দিতে পাবে তবে আপনার অভ্যন্তরীণ চরিত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না। সক্রিয় ব্যক্তিরা তাদের প্রচেষ্টাকে তারা যে জিনিসগুলি পরিবর্তন করতে পারে তার উপর ফোকাস করে, যেখানে প্রতিক্রিয়াশীল ব্যক্তিরা তাদের জীবনের ক্ষেত্রগুলিতে তাদের প্রচেষ্টাকে ফোকাস করে যেখানে তাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।

আপনার নিজেকে এবং অন্যদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে লেগে থাকার ক্ষমতার মধ্যে সক্রিয়তার স্পষ্ট প্রকাশ দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে স্ব-উন্নতির প্রতিশ্রুতি ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধি। ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করা এবং সেগুলিতে লেগে থাকার মাধ্যমে, আপনি ধীরে ধীরে আপনার সক্ষমতা বাড়াতে পারেন যা আপনার জীবনের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়। আপনার ৩০ দিনের সক্রিয়তা পরীক্ষা করতে পারেন। আপনি ছোট ছোট প্রতিশ্রুতিগুলির একটি সিরিজ করবেন এবং সেগুলিতে লেগে থাকবেন। এটি কীভাবে আপনার নিজের অনুভূতিকে পরিবর্তন করে তা লক্ষ্য করুন।

২.নিজেকে সফল হিসেবে কল্পনা করা

আপনি কি হতে চান? মনে করেন আপনি তা হয়ে গেছেন। এখন আপনি কল্পনা করুন আপনার জীবনের এই সফলতার জন্য আপনার পরিবার, আপনার আত্মীয়-স্বজনেরা আপনাকে কিভাবে দেখছেন। সমাজ আপনাকে কিভাবে মূল্যায়ন করছে। আপনার আশেপাশে থাকা মানুষগুলোর দায়িত্ব আপনি কিভাবে নিচ্ছেন। এই কল্পনা আপনার কাজের গতিকে আরো বৃদ্ধি করে দিবে এবং আপনার অবচেতন মন আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যকে মনেপ্রাণে ধারণ করে নিবে।

৩. আগের কাজটি আগে করতে হবে

আপনি প্রথমে কোন লক্ষ্য স্থির করলে সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনার কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করতে হবে। গুরুত্ব ও প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রমানুশারে কাজগুলোকে সাজাতে হবে। যে কাজটি সিরিয়ালের প্রথমে সেটি আগে করতে হবে তার পর সিরিয়ালের পরেরটি। এভাবে একটির পর একটি কাজ করে আপনাকে কাঙ্খিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

৪.প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবেলা করা

আমাদের মাঝে অধিকাংশ মানুষই চাই সফল হতে। কিন্ত মাত্র কয়েকজন বাদে সবাই ব্যর্থ হয়ে যায়।তার প্রধান কারন হচ্ছে অধিকাংশ মানুষই বাধাকে অতিক্রম করতে পারে না। তার কাজ শুরু করে কিছু দিন পরে আবার বন্ধ করে দেয়। যে কোন কাজে বাধা আসবেই। আর এই বাধাকে যে অতিক্রম করতে পারে সফলতা তার জন্যই অপেক্ষমান।

৫. সমাস্যা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন না হওয়া

জীবন মানেই সমস্যা আর নতুন কাজ করতে গেলে সেখানেতো সমস্যা যেন পদে পদে।সমস্যা যেখানে আছে সমধানও সেখানে আছ ।কিন্ত অধিকাংশ মানুষই এই সমস্যার সঠিক সমাধান করতে না পারার কারনে ব্যর্থ হয়ে যায়। তাই নতুন কোন সম্যস্যা দেখা দিলে সিটি নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে হবে। আর হতে একটি নোটবুক নিয়ে সমধানের যতগুলো চিন্তা মাথায় আসে তা লিখে ফেলতে হবে। কিছুটা সময় নিয়ে বার বার ভাবতে হবে দেখবেন একটা না একটা সহজ সমাধান পেয়ে যাবেন।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন