সাইকো বরের রোমান্টিক অত্যাচার

সাইকো বরের রোমান্টিক অত্যাচার। কল্পনাবিলাসী পোষ্ট!

সবাইকে শুভেচ্ছা বন্ধুরা,আমার নাম নিলা। বাবা মায়ের একমাত্র আদরের কন্যা। বুঝতে পারছেন নিশ্চয় বাবা মায়ের একমাত্র মেয়েরা কেমন হয়। সেই ৫/৬ বছর আগে থেকে আকাশ নামের একটা ছেলেকে ভালোবাসতাম। এত বছরের প্রেম অথচ তার সাথে আমি এখনো শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়নি। এভাবে দিন চলছিল। কিন্তু ইদানিং আকাশ ছেলেটা কেন জানি বদলে যাচ্ছে। আমি তার আচার আচরন,কথাবার্তায় সেটা বুঝতে পারি। একদিন আকাশ আমার সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলো আমি রাজি ছিলাম না কনো উপায়ে নিজেকে রক্ষা করে বাড়িতে চলে আসলাম।

আমার নিজের উপর খুব রাগ হচ্ছিল। রাগে-অভিমানে কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। সেই দিন পর থেকেই আর আকাশের সাথে সম্পর্ক রাখি না। মাকে জানিয়ে দিই যে,আমি তাদের পছন্ড করা ছেলেকেই বিযে করবো। মা আমার দিকে হতভঙ্গ হয়ে দাড়িঁয়ে আছে। হয়তো আমার কথা বিশ্বাস করতে পারছে না। আরেকটি কথা বলা হয়নি,সেটা বাবা আমার জন্য আগে থেকে একটি ছেলে ঠিক করে রেখেছে। আমি রাজি ছিলাম না বলেই এতদিন বিয়ে হয়নি। কারন তখন আকাশকে আমি ভালোবাসতাম। মা আমাকে জিজ্ঞেসা করে, কি রে মা,তুই কি সত্যি বলছিস? আমি মাকে বললাম,হা মা আমি সত্যি বললাম,আমি বিয়ে করবো। তুমি বাবাকে জানিয়ে তাড়াতাড়ি আমার জন্য বিয়ের ব্যবস্থা করো। মা একথা বাবাকে জানিয়ে তাড়াহুড়া বিয়ের আয়োজন করে।

আজ আমার বিয়ে..বাসর ঘরে বউ সেজে বসে আসি। যার সাথে আমার বিয়ে হচ্ছে,সেই ছেলেটাকে আমি কনোদিন দেখিনি। বাবা ঠিক করে রেখেছে আমিও রাগের মাথায় না দেখে বিয়ে করতে বসেছি। এক অজানা- অদেখা ছেলেকে বিয়ে করছি..শুধুমাত্র নামটা জানি। বাবা অবশ্যই বিয়ের আগে বাবা আমাকে দেখা করতে বলেছে আমি দেখা করিনি। আকাশের সাথে এতদিনের সম্পর্ক ভেঙে গেলো,সেই মান অভিমানে এতবড় সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমি সেই মহান মানুষটার জন্য অপেক্ষা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম তা জানি না। হঠাৎ অনুবব করলাম আমার ঠোঁঠে ঠোঁট রেখে কে যেন কামড় দিচ্ছে। আমার ঘুম ভেঙে গেলো। আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে চাইছি। কিন্তু পারছিনা,, অবশেষে অনেক জোরে ধাক্কা দেয়ার পর সে আমার শরীরের উপর থেকে ছিটকে পড়ে যায়। আমি বিছানা থেকে উঠে বসে হাঁপাতে লাগলাম।

আমি রাগের সুরে ধমক দিয়ে বললাম,আপনি পাগল নাকি?
সে আমার কথা জবাব দিল না। হঠাৎ ঝাপতে ধরে আমাকে আবার জোর করে বিছানায় শুয়ে দিল, আমার কপালে, বুকে, গোপনাঙ্গে পাগলের মত চুষে দিচ্ছে। ইস কি বিশ্রী! লজ্জায় রাগের মাথায় আমি চুমু নাকি কামড় ঠিক বুঝতে পারলাম না। আমি তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু তার সাথে আর ছিলাম না। আমি তাকে যত জোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করি তিনি তত আমার শরীরটাকে চম্বুকেত মত আটকে ধরেন। অনেক বাধা দিও আমি পারলাম না তার কামুক যৌন শক্তির কাছে হেরে গেলাম। প্রায় এক ঘন্টা ধরে আমার শরীর নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করল। আমার শরীরে অসহ্য ব্যথা লাগছে। আমি চোখ বন্ধ করে হাত পা ছাড়িয়ে বিছানায় শুয়ে আছি। বিছানা থেকে উঠার জন্য শক্তি পাচ্ছি না একদম দুর্বল হয়ে পড়েছি। সে আমার কাছ থেকে সরে গিয়ে জানালার বারান্দায় গিয়ে বসলো। রুমটা একদম অন্ধকার, চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলাম বারান্দায় কি যেন একটা আলো জ্বলছে। পরে বুঝতে পারলাম লোকটা ব্যালকনিতে বসে সিগারেট খাচ্ছে। অন্ধকারে আমি লোকটার মুখ দেখতে পাচ্ছি না। আমার ইচ্ছে করছে লোকটার কানে ধরে দু,গালে ঠাস ঠাস করে দুইটা চড় মারি। সে আমার সাথে এরকম কেন করল? আমি এবার তাকে কি ক্ষতি করে ছিলাম?

আমি শুয়ে শুয়ে এসব চিন্তা করতেছি। আস্তে করে বিছানা থেকে উঠতে চাইলাম হঠাৎ মাথা ঘুরে আমি মেঝেতে পড়ে গেলাম। তারপর আর কিছু মনে নেই। সব খুলে দেখলাম সকাল হয়ে গেছে। বিছানায় আমি একা শুয়ে আছি আশেপাশে কেউ নেই। আমার হঠাৎ মনে পড়ল আমি তো মেঝেতেই পড়ে গেছিলাম আবার বিছানায় শুইলাম কখন? হয়তো ওই জানোয়ার তাই আমাকে বিছানায় তুলে নিয়েছে। মনে মনে বলতে লাগলো, ওই জানোয়ার থাকে আমি কোনদিন স্বামী হিসেবে মেনে নিবো না। আমার নিজের প্রতি ঘৃনা হচ্ছে। রাগে দুঃখে আমার চোখের পানি চলে এসে পড়লো। হঠাৎ আমি রুমের চারিদিকে লক্ষ্য করলাম, সবকিছু সুন্দরভাবে গুছানো। শুধুমাত্র আমি এলোমেলো হয়ে বিছানায় শুয়ে আছি। বিছানা থেকে উঠে আমি ওয়াশ রুমে গেলাম। আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখলাম,আমার দু,গালে কামড়ের দাগ বসিয়ে দিয়েছে ওই জানোয়ারটা। আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষন ঘষে ঘষে দাগগুলো তুলতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না। কামড়ের দাগ কি আদৈৗ ঘষে ঘষে তুলা সম্ভব?

আমি গোসল করে নিলাম। কাপড় চোপড় সব পরিস্কার করে ধুয়ে নিলাম। চুলগুলো চ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে আঁচড়াতে লাগলাম। হঠাৎ পিছন থেকে একজন বলল, বাহ! তোমার সবগুলো তো খুবই সুন্দর? তুমি হিজাব পড়তে তাই আগে কখনো দেখিনি। আমি তার কন্ঠটই শুনে চমকে উঠলাম। এর আগে এই কন্ঠটি আমি অনেকবার শুনেছি চেনা চেনা লাগছে। পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি,ওমা এ তো জয়!

                                                 নীরবতা+নিয়ে+উক্তি

এই জয় আমাকে দীর্ঘ ৭-৮ বছর যাব প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। সে স্কুল জীবন থেকে আমাকে ভীষণ ভালোবাসে। কিন্তু আমি তাকে দু,চোখে দেখতে পারিনা। তাতে আগে অনেকবার অপমান করেছি,বড় ভাইয়াকে দিয়ে মাইরও খাইয়েছি। তারপরে ও কাজ হয় নাই। এখনো ভালোবাসে। আকাশের সাথে আমার সম্পর্কের কথা সে সব জানে, তারপরও বাসে।
আমি তাকে বললাম, তুমি? তুমি এখানে কি করছো?

জয়, আমার কাছে এসে আমার এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে দিয়ে বললো, কেন এখানে কি অন্য কারোর আসার কথা ছিল?
আমি বললাম…তার মানে গতরাতে তুমি আমাকে….।
তারপর সে আমাকে কোন কথাই বলতে দিল না। ওমা! সে নিলজ্জের সে বলতে শুরু করলো….
দেখ,বাবু সোনা.. তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছো। তোমার জন্য আমি ৭/৮ বছর অপেক্ষা করেছি। সারাক্ষণ তোমার কথা ভাবতাম। মাঝে মাঝে ঘুমোতে পারতাম না, তাই নেশা করতাম। আমি আগে সিগারেট খেতাম না, তোমাকে না পাওয়ার কষ্টে সিগারেট খাওয়া শিখে গেছি। তোমার ভাইয়াকে দিয়ে মাইর খাইয়েছে,তারপরও সব সহ্য করেছি। তুমি আমাকে খারাপ ছেলে বানিয়েছো। এখন তোমার সেই খারাপ ছেলেকে বিয়ে করতে হলো। এখন তোমার কষ্ট দেওয়ার পালা শেষ আমার শুরু। কানে কানে চুপিচুপি এসে বলে, গতরাতে খুব কষ্ট পেয়েছো বুঝি? এভাবে প্রতি রাতে খুব কষ্ট পাবে প্রিয় বউ।

আমি বললাম ফালতু কথা বলবে না আমি বউ মানে?
জয় বললো,হুম! তুমিতো আমার বউ। অন্য কারোর সাথে নয় তোমার সাথেই আমার বিয়ে হয়েছে.এখন থেকে আমি তোমার স্বামী,তুমি আমার বউ। এখন ভালোবাসা আর কষ্ট দুটোই পারে আমার কাছ থেকে।
জয়ের কাছ থেকে এসব কথা শুনে আমায় মাথায় যেন বজ্রপাত ভেঙ্গে পড়ল। আমি কিছুতে বুঝে উঠতে পারছি না, সবকিছু এলোমেলো লাগছে। যাকে আমি এত বছর ধরে কষ্ট দিয়ে আসলাম এখন যে আমাকে কষ্ট দেয়ার চিন্তা করতেছে। আমি কাঁদো কাঁদো গলায় জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কি আমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য বিয়ে করেছ?
জয় বললো হ্যাঁ! আমি তোমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য বিয়ে করেছি।

জয়ের কথা শুনে আমি কান্নায় ভেঙে পড়লাম। ও আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো ….আরে তুমি এখন কাঁদছো কেন? এখনো তো কিছুই করি নাই। গতরাতে সামান্য করেছি,আরো অনেক কিছু করার বাকি। আমার আরো কান্না বাড়তে থাকলো। অনেক চেষ্টা করি নিজের মুখটা সান্ত্বনা দিয়ে কিছুটা কান্না থামালাম।
তারপর সে আবার হঠাৎ করে আমাকে চেপে ধরল, দু,হাত দিয়ে আমার বুকে টিপাটিপি শুরু করলো,আমার ঠোঁটে চেপে ধরে চুমু দিলো। আস্তে করে গোপনাঙ্গে তার হাত প্রবেশ করালো। আমি ব্যাথা পাচ্ছি, কিন্তু সে আমাকে কিছুতেই ছাড়ছেই না। আমি তার কাছ থেকে মুক্তি পাবার জন্য হাত দিয়ে ধাক্কা দেবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু লাভ হয়নি উল্টো আমার শরীরটাকে আরো অত্যাচার বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি কান্নায় চিৎকার করতে লাগলাম।
সে আমাকে ধমক দিয়ে বললো,খরবদার, একদম চিৎকার চেচামেচি করবে না। তুমি আমার বিয়ে করা বউ। তাই তোমাকে আমার সম্পূর্ণ অধিকার আছে তোমাকে আদর করার। আমার যখন ইচ্ছা হয় তোমাকে আমি আদর করবো, তোর শরীরটা এখন আমার।
এ কথা বলতেই আবার আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিলো। আমার পুরো শরীর নিয়ে ছিনিমিনি খেলা খেলতে লাগলো। আমি প্রশান্ত ব্যথায় হাঁপিয়ে উঠেছি। না পাইছি ব্যথা সইতে না পারছি চিৎকার করতে। তুই আমার সাথে যা ইচ্ছা তাই করলো অনেকক্ষণ পর আমাকে ছেড়ে দিলো।
তারপর সে সাজগোজ করে রুম থেকে বাহিরে কোথাও চলে গেলো। শুয়ে শুয়ে কাঁদতে লাগলো। বাবা মায়ের আদরের একমাত্র মেয়ের জীবন এমন হবে ভাবতে পারিনি। মনে মনে ভাবতে থাকি আকাশ ও কি আমার সাথে তাই করতো? বুঝলাম জয়কে আমি অনেক বছর ধরে কষ্ট দিয়েছি তাই সেও আমার উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। ভালোবাসতে বাসতে প্রচন্ড ভালোবাসাও এক সময় ঘৃনায় পরিনত হয়। আকাশের সাথে কি তাই হলো?
এসব এলোমেলো চিন্তা করতে করতে আমি আবার কখন ঘুমিয়ে গেলাম টের পেলাম না।
…চলবে।

সাইকো বরের রোমান্টিক অত্যাচার  -১ পর্বটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।  এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

 

Related Posts