সাইক্লোন আমফান আঘাত হানবে ২০ মে

ঘূর্ণিঝড় আমফান ধেয়ে আসছে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ বর্ডার এর দিকে। এটি বর্তমান সময়ে এ বে অফ বেঙ্গল এ অবস্থান করছে এবং এটি ঘন্টায় ১৬০ মাইল বেগ পেয়েছে যা প্রায় ১৪০ নট (knot)। এমনকি সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লেভেল ৪ ঝড় হিসাবে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান একটি বিশাল জনবহুল, নিচু অঞ্চলে বিপর্যয়জনিত ক্ষয়ক্ষতি করতে সক্ষম, যা অতীতের ঝড়গুলিতে স্তম্ভিতভাবে উচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা দেখা গিয়েছিল ।

 

 

তো মূলত ঘূর্ণিঝড় আসলে কী?

 

ঘূর্ণিঝড়

আবহাওয়াবিদ্যায় একটি ঘূর্ণিঝড় হলো বৃহত আকারের বায়ু ভর যা নিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় চাপের একটি শক্তিশালী কেন্দ্রের চারপাশে ঘোরে।

একটি ঘূর্ণিঝড় গঠনের জন্য, সমুদ্রের উপরে উষ্ণ আর্দ্র বায়ু, পৃষ্ঠের কাছাকাছি থেকে উপরের দিকে উঠে যায়। সুতরাং, মূলত উষ্ণ বাতাসের উত্থানের ফলে এটি নিচে নিম্ন বায়ুচাপের ক্ষেত্র তৈরি করে। উচ্চ বায়ুচাপযুক্ত আশেপাশের অঞ্চলগুলি থেকে আসা বায়ু নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবেশ করে, এভাবে ঘড়ি এর কাটার উল্টো দিকে ঘুরতে থাকে।

 

ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় গঠিত হয় যখন সমুদ্রের উপরে উত্তপ্ত, আর্দ্র বাতাস উত্থিত হয়। যখন জল 80 ডিগ্রি ফারেনহাইট (27 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) বা উত্তপ্ত হয়ে যায় তখন এগুলি ঝড় হিসাবে শুরু হয়। পৃথিবীর আবর্তনের ফলে তৈরি করিয়োলিস প্রভাব বাতাস ঘোরানোর কারণ । ঘূর্ণিঝড় এর একদম মাঝে সব চেয়ে কম বৃষ্টি এবং বাতাস এর চাপ থাকে এবং ঘূর্ণিঝড় এর দেয়ালে সবচেয়ে বেশি ক্ষয় ক্ষতি হয়।

ঘূর্ণিঝড় আটকানোর কোনো উপায় নেই আসলে, সতর্কতাই একমাত্র উপায় ক্ষয় ক্ষতি কমানোর। মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে তবে করোনা ভাইরাস এর এই সময়ে এ জনসমাগম যতো সম্ভব পরিহার করার কথা, আবার কিছু করার ও নেই।

ঘূর্ণিঝড় আমফান বেশ শক্তির অধিকারী এবং ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

২০২০ এর দুর্যোগ এর খাতা যেনো বন্ধই হচ্ছে নাহ। যারা উপকূল অঞ্চলে নেই, তারা বাসায় শান্ত হয়ে অবস্থান করুন, সুস্থ ও সচেতন থাকুন।

Related Posts

29 Comments

মন্তব্য করুন