সাকিব আল হাসানের সাথে অনলাইন আড্ডায় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। কি কি বলেছেন সাকিব জেনে নিন বিস্তারিত।

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা সবাই জানেন যে করোনার কারণে সারা বিশ্বব্যাপী খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। আমরা যারা ক্রিকেটপ্রেমী আছি তারা অনেক দিন যাবত কোন ক্রিকেট খেলা দেখতে পারছি না এটা অবশ্যই আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার। কিন্তু আপনি এটাও জানেন যে তার থেকেও বেশি ইম্পর্টেন্ট ব্যাপার হল এই বিশ্ব থেকে করনা নামক ভাইরাস কে নির্মূল করা।সারা বিশ্বের এই ক্রান্তিলগ্নে মাঠে খেলা না করালেও প্রায় প্রত্যেকটা ক্রিকেটাররা আলাপ-আলোচনায় মেতে উঠছেন অনলাইনে। তারই ভেতর গতকাল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ধারাভাষ্যকার হার্শা ভগ্লে এক অনলাইন আড্ডায় মেতে ওঠেন সাকিব আল হাসান এর সাথে। এক ঘন্টার এই আড্ডায় অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হয় সাকিবের সাথে তার ভেতরে সর্বপ্রথম শুরু হয় যে বাংলাদেশ তার ফ্যানরা কি রকম তার ভক্ত কেন তার ভক্ত তার ফ্যানরা তার কাছ থেকে আসলে কি প্রত্যাশা করে। সাকিব আল হাসান স্বাচ্ছন্দে এই কথাগুলোর উত্তর দেন এর পরেই উঠে আসে তার বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের ব্যাপার। হার্শা ভগ্লে জিজ্ঞেস করেন যে এর পেছনের রহস্য কি? সাকিব আল হাসান তখন বলেন যে গত আইপিএলে যখন আমি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এর হয়ে খেলতে গিয়েছিলাম ঠিক তখনই বুঝে গিয়েছিলাম যে আমাদের দলে যে চারজন বিদেশি প্লেয়ার রয়েছে তাদের মাঝে আমার চান্স পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য কারণ তখন তারা চারজনই দুর্দান্ত খেলছিল। তো এই ভেবে আমি আমাদের কোচ টম মুডি কেবলই আমি বাড়তি কিছু প্র্যাকটিস করবো শুধুমাত্র আমার ওয়ার্ল্ড কাপের প্রস্তুতির জন্য। টম মুডি সে ব্যাপারে রাজি হয় এবং আমি আরো বললাম যে এই জন্য আমি আমার দেশীয় ছোটবেলার কোচ সালাউদ্দিন কে ডেকে পাঠাতে চাই তিনি তাতে রাজি হলেন। তো তখনই আমার খোঁজ সালাউদ্দিনকে আমি ডেকে পাঠায় ইন্ডিয়াতে। তো সালাউদ্দিনকে নিয়ে আমি প্রায় দুই সপ্তাহ প্র্যাকটিস করি তারপর আমি যখন বুঝে যাই যে এই বছর আমার আইপিএল খেলার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ তখন আমি ইউএসএ চলে যাই। তারপর থেকে ওইখানে ট্রেনিং নেই বেশ কিছু রিসার্চ করি প্রত্যেকটা দেশের বলার ব্যাটসম্যান এগুলো নিয়ে এক কথায় প্রচুর পরিশ্রম করতে থাকি। প্রায় একটানা দুই মাস যাবত এর সাথে ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করি তো সব মিলিয়ে যদি ধরেন তাহলে আমার পেছনে এগুলোই সবথেকে বেশি কাজ করেছে পারফরম্যান্সের জন্য।
এ কথা বলার পর হার্শা ভগ্লে তাকে জিজ্ঞেস করেন যে 2007 সালের বিশ্বকাপে ইন্ডিয়াকে হারানোর অভিজ্ঞতা কেমন। তখন সাকিব আল হাসান বলেন যে এই অনুভূতি আসলে ব্যক্ত করার মতো না কারণ তখন ইন্ডিয়ার টিমে যারা রেগুলার খেলতে তারা সবাই এখন লিজেন্ড ধরেন রহুল দ্রভিদ শচীন টেন্ডুলকার সৌরভ গাঙ্গুলী এসব প্লেয়ারদের সাথে একই মাঠে খেলা তখন আমার মত ইয়াং প্লেয়ারদের একটা স্বপ্নের মত। তো আমরা জিতে যাই এটাতো আরো ভাষায় বর্ননার বাইরে।এরপর হার্শা ভগ্লে সাকিব আল হাসানকে আরো বেশ কিছু প্রশ্ন করেন যে বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেট নিয়ে তার আসলে কি মনে হয়। তখন শাকিব উত্তর দেন এখন যদি আমরা জিতে তাহলে আমার মনে হয় না এখনো কোন টিম আমাদেরকে বলবে যে এটা একটা আছে অবশ্যই গত 3-4 বছর ধরে বাংলাদেশ টিম বেশ ভালো ওয়ানডে খেলে আসছে। আমরা ভালো খেললে সেদিন যে কোনো টিমকে হারিয়ে দিতে পারি হার্শা ভগ্লে ও তার এই কথায় একমত হয়েছেন। হার্শা ভোগলে আরো জিজ্ঞেস করেন যে আগামী কয়েক বছরে কী পরিকল্পনা তখন সকিব আল হাসান বলেছেন আপাতত পরিকল্পনা 2023 বিশ্বকাপ নিয়ে আর হার্শা ভাগলে তখন জিজ্ঞেস করেন যে আর কয়েকবছর পর যখন তোমাদের মুশফিক তামিম মাশরাফি অবসর যাবে তখন তোমরা আসলে কি করবে? তখন সাকিব বেশ মজা করেই বলে আমরা যখন অবসর নিব সবাই একসাথে বসে আড্ডা দিব আর পেছনের গল্প নিয়ে স্মৃতিচারণ করব কে কি দিয়েছি দেশকে কি দিয়েছি কিভাবে দিয়েছি এগুলো নিয়ে অনেক কথা হবে আমাদের মাঝে। তবে আমি বিশ্বাস করি ততদিনে বাংলাদেশ টিম আরো দুর্দান্ত হয়ে উঠবে তরুণদের দিয়ে।
এরপর তিনি আরও বেশ কিছু প্রশ্ন করেন সাকিব আল হাসানকে তার পরিবার নিয়ে তখন শাকিব আল হাসান বলেন যে তিনি ইতিমধ্যেই আর এক কন্যা সন্তানের পিতা হয়েছেন।
এভাবে চলতে থাকে তাদের অনলাইন আড্ডা।
তো এই ছিল আজকের ক্রিকেটের খবর পরবর্তী ক্রিকেটের খবর নিয়ে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হব ততক্ষন পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।

<

Related Posts

16 Comments

মন্তব্য করুন