সাগরকন্যা কুয়াকাটা কেন ভ্রমন করবেন?

কুয়াকাটা ভ্রমনের জন্য আমি কোনো ওকালতি করছি না। আমার অভিজ্ঞতা ও তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

১. কুয়াকাটা বাংলাদেশের একমাত্র স্থান যার সৈকতে বসে আপনি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই উপভোগ করতে পারবেন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় কোনো স্থানে বসে আপনি এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন না।

২. এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত।

৩. এখানে থাকার জন্য আবাসিক হোটেল ভাড়া খুবই কম। আপনি চাইলে খুব কম খরচেই থাকতে পারবেন কোনো ভালো মানের আবাসিক হোটেলে। কক্সবাজার হোটেল ভাড়া মোটামুটি বেশি। সে তুলনায় কুয়াকাটা খুবই সস্তা। এখানে কম ভাড়ার হোটেলের পাশাপাশি অপনি যদি বিলাসবহুল কোনো হোটেলেও অবস্থান করতে চান সে সুব্যবস্থাও আছে। বিদেশী পর্যটকদের জন্য আন্তর্যাতিক মানের হোটেলও আছে।

৪. এখানে খাওয়া খরচও খুবই কম। খুব কম খরচে আপনি আপনার পছন্দমত রুচিশীল খাবার খেতে পারবেন। আপনি খাওয়ায় জন্য সামুদ্রিক সকল তাজা মাছ পছন্দের তালিকায় রাখতে পারবেন। এছাড়াও মাংস ও এখানকার স্পেশাল শুটকি ভর্তা আপনি চেখে দেখতে পারেন।

৫. কুয়াকাটাতে আপনি যে কোনো সময় ঘোরাফেরা করতে পারবেন কারন এখানে কোনো প্রকার হাইজ্যাক, ছিনতাইয়ের মত ঘটনা সাধারনত ঘটে না। আপনাকে যে কোনো প্রকার সহযোগীতা দিতে টুরিস্ট পুলিশ প্রস্তত আছে।

৬. এখানে ভ্রমন স্পট অন্যান্য স্থানের চেয়ে অনেক বেশি। অর্থাৎ, কুয়াকাটা ভ্রমন করেই আপনি ঘুরতে পারেবেনঃ লাল কাকড়ার চর, ফাতরা বন, ঝাউবন, তিন নদীর মোহনা, রাখাইন পল্লী ও বৌদ্ধ মন্দিরসহ আরো অনেক চমৎকার জায়গা্। এ স্থানগুলোতে ভ্রমনের জন্য আপনাকে সহযোগীতা করবেন স্থানীয় একদল ব্যক্তি যারা বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে আপনাকে এসকল দর্শণীয় স্থানগুলোতে ঘুরিয়ে নিয়ে অাসবেন আন্তরিকতার সাথে।

৭. এখানকার আরেকটি বিশেষত্ব হলো আপনি এখান থেকে কুয়াকাটা স্পেশাল আচার ও চাদর কিনতে পারবেন খুবই কম দামে। চাদরগুলো খুবই আকর্ষনীয়।

৮. এখানে সমুদ্রের পানিতে আপনি দীর্ঘক্ষন গোসল করতে পারবেন।

৯. আপনি যদি ফুটবলপ্রেমী হন তাহলে সাথে একটি ফুলবল নিতে পারেন এবং বীচে ফুটবল খেলার মজাও নিতে পারেন।

১০. আপনার যদি ক্যামেরা না থাকে আপনি বীচ থেকে ক্যামেরাম্যানদের দ্বারা খুব কম খরচে ডিএসএলআর ক্যামেরা দ্বারা ছবি তুলতে পারবেন।

১১. কুয়াকাটার মার্কেটগুলো শুটকি মাছের জন্য খুবই জনপ্রিয়। আপনি কম দামে এখান থেকে প্রায় সামুদ্রিক সকল মাছের শুটকি কিনতে পারবেন।

আমার অভিজ্ঞতা:

আমি ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতিই কুয়াকাটা যাই। কোনো কোনো বছর একাধিকবারও যাই। কারন আমি যতবারই যাই না কেন প্রতিবারই আগের বারের থেকে বেশি মজা খুজে পাই। শুধুমাত্র লেখার জন্যই লিখছি না, আপনি যেন প্রাকৃতিক এমন একটি সৌন্দর্যময় স্থান উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত না হোন সেজন্য আপনাকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি সাগরকন্যা কুয়াকাটাতে। সাগরকন্যা কুয়াকাটা আপনার আগমনের অপেক্ষায়।

উপরোক্ত কারনে আপনি ঘুরে আসতে পারেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ।

ভ্রমন করুন-দেশকে জানুন।

ধন্যবাদ

Related Posts

7 Comments

  1. ধন্যবাদ আমাদের এত সুন্দর তথ্য দেওয়ার জন্য কুয়াকাটা সৈকত কোন অংশেই কক্সবাজারেরচেয়ে কম না তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি অনেকে তাজানে না

মন্তব্য করুন