আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকের বিষয়ঃ সাদা আমাশয় রোগের ঔষধের নাম, করণীয় । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
সাদা আমাশয় রোগের ঔষধের নাম, করণীয় কি
আমাশয় হলো পানিশূন্যতা জনিত একটি রোগ। এটি একটি সংক্রামক ব্যাধি। আমাশয় রোগ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো সংক্রমণ। এই রোগ হলে পেট ব্যথা করে, পাতলা পায়খানা হয়, পায়খানার সাথে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি দেহ থেকে বের হয়ে যায় ফলে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দেয়।
আমাশয় রোগ ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। অপরিষ্কার এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এর জন্য আমাশয় রোগ হয়ে থাকে।
এই রোগের লক্ষণগুলো হলো-
পানির মত পাতলা পায়খানা হওয়া পায়খানার সাথে মাঝে মাঝে রক্ত দেখা দিতে পারে বমি বমি ভাব ইত্যাদি। সাদা আমাশয় দুই ধরনের হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া ঘটিত কারণে আমাশয় রোগ দেখা দেয়। আবার জীবাণু থেকেও আমাশয় রোগের সংক্রমণ ঘটে।
জীবাণুঘটিত আমাশয় রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য- খাওয়ার আগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে হবে। খাবারে যেন জীবাণুবাহিত মশা ও মাছি না পরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
টয়লেট শেষে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বাহিরের ভাজাপোড়া খাবার দাবার, রাস্তার ধারে বানানো খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাশয় রোগ হলে বেশি করে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন ডাবের পানি, ভাতের মাড়, ওরস্যালাইন ইত্যাদি।
ঘরোয়া উপায়ে আমাশয় রোগের কিছু চিকিৎসা করা যেতে পারে। যেমন- আম ও জাম পাতার রস ভালো করে ছেচে রস করে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। ডালিম গাছের ছাল সিদ্ধ করে তার রস খেলে আমার শরীর দ্রুত সেরে যায়। থানকুনি পাতার রস সাদা আমাশয় রোগের খুবই ভালো একটি ঔষধ।
ভাতের সাথে সামান্য পরিমাণে হলুদ মিশিয়ে খেলে আমাশয় রোগ থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়। সাদা আমাশয় রোগে বেশি পরিমাণে আম বের হলে গোলমরিচ ভেঙে পানি দিয়ে মিশিয়ে খেলে দেহ থেকে আম বের হয়ে যায়। এছাড়া আমাশয় রোগের ওষুধ গুলো হল এলেক্সিড, ব্যাসিলেক্স, পিনাম, রেলেক্সিড, পিভসিলিন ইত্যাদি। এই ওষুধগুলো তিনবেলা একটা করে খেলে আমাশয় রোগ থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়।
সাদা আমাশয় রোগ হলে করনীয় / সাদা আমাশয় রোগের ঔষধের নাম
আমাশয় রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য খোলা জায়গায় মলত্যাগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং অন্যকে বিরত রাখার পরামর্শ দিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহার করতে হবে। টয়লেট ব্যবহারের পর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
অতিরিক্ত গরমে বাইরের খাবার দাবার খাওয়ার ফলে খুব সহজে আমাশয় বা ডায়রিয়াজনিত বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধে, তাই গরমে সাবধানতা অবলম্বন করে খাবার-দাবার খেতে হবে। সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বিভিন্ন প্রকার সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
পরিষ্কার জামা কাপড় পরিধান করতে হবে। রাস্তার ধারের আখের রস বা বিভিন্ন প্রকার ফলের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
নোটঃ যেকোন ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ত্বকে বেশি সমস্যা দেখা দিলে অথবা ঠিকমত কাজ না করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ ত্বকের ধরন বুঝে চিকিৎসা নিতে হবে।
পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
Thanks again
Hi there
Jni na
Thanks for your
Gd
Ok
Thanks
Nice
Nice
Nice
Ok
❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
nice