সিডরের মতো শক্তি নিয়ে উপকূলে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’!

আসসালামু আলাইকুম।  প্রিয় পাঠকবৃন্দ! আপনারা শিরোনাম দেখে নিশ্চিয় বুঝে গেছেন  যে আমি কিসের জন্য এই রিপোর্টটি লিখছি। হ্যাঁ, আপনারা হয়তো কিছু দিন আগে থেকেই শোনে আসছেন ঘূর্ণিঝড়  ‘আম্ফান’ এর কথা।  আমি রিপোর্টটি লিখছি ‘আম্ফান’ সম্পর্কে সর্বশেষ নিউজ আপডেট দিতে।

বাংলাদেশের উপকূলের দিকে  ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান ‘। ধারণা করা হচ্ছে যে এটি   এক যুগ আগে সংঘটিত হওয়া প্রলংয়কারী ঘূর্ণিঝড় ‘সিডরে’র মতো প্রবল শক্তি নিয়ে আজ মঙ্গলবার রাতে অথবা বুধবার নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। (সূত্র ঃ বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর  দেশের উপকূলবর্তী ১৪ টি জেলাকে সম্ভাব্য ঝুকি পূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত  করেছে এবং এসব জেলার ২১ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে  অবস্থান করতে বলা হয়েছে।     এর জন্য  বাংলাদেশ সরকারের ত্রান ও দূ্র্যোগ মন্ত্রনালয়  বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহন করেছে।

ঘূর্ণিঝড়ের জন্য উপকূলবর্তী ১৪ টি জেলা ; কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে   ৬ নম্বর এবং পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলের আশেপাশের সকল ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া  পর্যন্ত  দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়েে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফানের গতিবেগ এর কেন্দ্র থেকে ২১৫ কিলোমিটার যা  দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে সর্বোচ্চ ২২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।   আর একটি তথ্য অনুযায়ী, এটি ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ    ২২৪ এবং ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় ‘সিডরে’র বাতাসের গতিবেগ ২২৩ কিলোমিটারের চেয়ে বেশী।  তাই বুঝা যাচ্ছে যে এটি প্রবল শক্তি সম্পন্ন একটি সুপার সাইক্লোন হিসেবেই আঘাত হানতে পারে!

আবহাওয়াবিদরা বলছে, এটি তীব্রতা এবং আক্রমনের মাপকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় আগের সকল ঘূর্ণিঝড়ের রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারে । ইতোমধ্যে এটি কিছু রেকর্ড ভেঙ্গেও ফেলেছে। এটি গতকাল সকালে এক্ট্রামিয়ালি ঘূর্ণিঝড়ে  পরিণত হয়েছে। সুতরাং বুঝায় যাচ্ছে এর তীব্রতা কতটা ভয়াবহ হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফানের’ জন্য যে সব কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে সে গুলো  হলো ঃ

১। উপকূলের ১৪ টি জেলার ১৪ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।

২। কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নং এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

৩। সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

৪। আছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে  লোকজনরা যাতে করোনা সংক্রমন থেকে মুক্ত থাকতে পারে সে জন্য আলাদা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আল্লাহ আমাদের সকল প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করুন।

লেখক-

মোঃ জিল্লুর রহমান

জাককানইবি

Related Posts

12 Comments

মন্তব্য করুন