সুস্বাস্থের অধিকারী হতে এ কাজগুলো অবশ্যই করুন!

আমাদের সকলের চিন্তা থাকে কিভাবে সুস্বাস্থ গঠন করা যায়। কিন্তু যথাযথ বিষয় গুলো না জানায় আমরা তা অর্জন করতে পারি না।

আজকে আপনাদের সাথে এমন কিছু বিষয়ে কথা বলব যা আপনাকে সুস্থ জীবন গড়তে সাহায্য করবে। এটি মুলত আমার লেখা “সুস্বাস্থ নিশ্চিত করতে যে টিপসগুলো মেনে চলতেই হবে।” এই পোস্টের পরবর্তী পর্ব। আগের পোস্ট টি না পড়লে সার্চ বারে গিয়ে সার্চ করে পড়ে আসতে পারেন। তো চলুন শুরু করা যাক পরের অংশ-

১. নিয়মিত কিছু পানি পান করুন, বিশেষত খাবারের আগে

পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান আপনার স্বাস্থের জন্য খুবই প্রয়োজন। আশ্চর্যজনক ভাবে এটি আপনার ক্যালোরির পরিমানকে বুস্টআপ করতে সাহায্য করে।

জানা যায় যে পর্যাপ্ত পানি পান এক থেকে দেড় ঘন্টা পর্যন্ত ২৪ থেকে ৩০% মেটাবলিক রেট বৃদ্ধি করে। যদি আপনি দিনে ২লিটার মত পানি পান করেন তবে আপনি প্রায় ৯৬ ক্যালোরি বেশি পাবেন আপনার স্বাভাবিক ক্যালোরির পরিমানের চেয়ে।

পানি পান সাধারণত খাবারের আগে করা ভালো। জানা যায় যে, খাবারের ৩০ মি.
আগে আধা লিটার পানি পান করলে আপনার ওজন হ্রাস প্রায় ৪৪% বৃদ্ধি করে।

<

২. মাংস overcook বা বেশি পোড়ানো যাবে না
মাংস আপনার ডায়েটের জন্য পুষ্টিকর ও সুস্বাস্থ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমান প্রোটিন থাকে এবং নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নিউট্রিয়েন্টস থাকে।

তবে সমস্যা হয় যখন মাংস অতিরিক্ত সিদ্ধ বা পোড়ানো হয়। এতে আপনার জন্য ক্ষতিকর কমপাউন্ডস তৈরী হতে পারে এবং আপনার ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ায়।

যখন আপনি বা অন্য কেউ মাংস রান্না করেন তখন নিশ্চিত করুন যেন এটি অতিরিক্ত সিদ্ধ বা পোড়ানো না হয়।

৩. ঘুমানোর আগে উজ্জ্বল আলো এড়িয়ে চলুন

যখন আপনি সন্ধার আগের উজ্জ্বল আলোতে যান, এটি আপনার ঘুম হরমোন মেলাটোনিন তৈরীতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

৪. বেশি পরিমাণে সূর্যের এক্সপোজার না পেলে ভিটামিন ডি 3 নিন

সূর্যের আলো ভিটামিন ডি তৈরীর জন্য একটি গ্রেট সোর্স। তবে মনে রাখতে হবে সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি নেই, এটি রাসায়নিক ক্রিয়ায় সূর্যের আলোর সাহায্যে দেহে তৈরী হয়। তাই আপনার ছোট বাচ্চাকে রোদে ফেলে রাখবেন না। এটি বরং আপনার বাচ্ছার জন্য উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর হতে পারে।

তবে অনেকে যেটুকু দরকার সেটাও পান না। প্রায় ৪১.৬% আমেরিকানের দেহে এই ভিটামিনের পরিমান প্রয়োজনের চেয়ে কম রয়েছে।

যদি আপনি পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না পান তবে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টস নিতে পারেন।

এতে আপনার হাড় গঠন, হাড় শক্তিশালি করণ, ডিপ্রেশন কমানো এবং ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৫. শাকসবজি এবং ফলমূল খান
শাকসবজি এবং ফলমূলে প্রচুর পরিমান প্রিবায়োটিক ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেলস, এন্টিঅক্সিডেন্টস ইত্যাদি থাকে।

গবেষণা বলে যে, যারা বেশি বেশি শাকসবজি এবং ফলমূল খায় তারা বেশিদিন বাঁচে এবং হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, অবেসিটি ও অন্যান্য রোগের সম্ভাবনা কম থাকে।

ধন্যবাদ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। আপনাদের উপকার হলে আমি এ সিরিজে পুরো স্বাস্থ উন্নয়ন নিয়ে লিখব যেগুলো আমি গত এক বছর ধরে বিশ্লেষণ করছি।

আপনার সামান্য কাজে লাগলে আমার কর্ম স্বার্থক হবে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, অপরকে সুস্থ রাখবেন।

আবার দেখা হবে পরের পর্বে। বিশ্লেষণমূলক স্বাস্থ টিপস পেতে সাথেই থাকুন।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন