সৌর সর্বনিম্ন নিয়ে বিস্তারিত

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।পৃথিবীতে ক্রমশ পরিবর্তন হচ্ছে।সেই সাথে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে আবাহাওয়াতে।আবাহাওয়ার এমন হঠাৎ পরিবর্তন বিজ্ঞানীদের কাছে খুবই চিন্তার বিষয়। সেই সাথে মানব মনে দেখা দিয়েছে নানান ধরণের অস্থিরতা।

আমাদের আজকের বিষয় সৌর সর্বনিম্ন নিয়ে।সাধারণত সূর্যের তাপমাত্রা খানিকটা কমে যাওয়াকে বলা হয় সৌর সর্বনিম্ন। সৌর সর্বনিম্ন শুরু হলে শুধুমাত্র সূর্যের তাপমাত্রা কমে যায় তা কিন্তু নয়।বরং পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ও কমতে থাকে।সৌর সর্বনিম্ন এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে পরিবেশের উপর। এখন আসি সৌর সর্বনিম্ন হলে আবাহাওয়ায় তিন ধরণের পরিবর্তন হয়।যেমনঃ
১.ভূমিকম্প
২.বজ্রপাত
৩.আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
যা বর্তমানে ঘটেই চলছে প্রতিনিয়ত। সৌর সর্বনিন্মে যেহেতু আবাহাওয়ার পরিবর্তন হয়ে থাকে তাহলে তার প্রভাব সবচেয়ে পড়বে ভূমির উপর।আর ভূমির উপর প্রভাব পড়লে আঘাত আনবে ফসলের উপর।জ্যোতিবিজ্ঞানীরা প্রায় দুই মাস আগে ধারণা করেছিলেন সৌর সর্বনিম্নের ব্যাপারে।অন্যদিকে নাসার জ্যোতিবিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন সৌর সর্বনিম্ন শুরু হয়ে গেছে এবং তা আগামী ত্রিশ বছর অবধি বহমান থাকবে।

এখন আসি কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে এই সৌর সর্বনিম্নের ফলেঃ
১.ফসলের আবাদি জমির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
২.সূর্যের চৌম্বক্ষেত্রের দূর্বল হয়ে যায় ফলে বিভিন্ন মহাজাগতিক রশ্নি ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে।
৩.মেরু অঞ্চলের এর প্রভাব পড়বে সবথেকে বেশি।
৪.মহাকাশচারীরা মহাকাশে উড্ডয়নের সময় সমস্যার সম্মুখীন হবে সবথেকে বেশি।

পূর্বে সৌর সর্বনিম্নতে দেখা যেত যে গ্রীষ্মকাল কম অনুভূত হয় এবং শীতকাল বেশি অনুভূত হয়।পূর্বে খাদ্য সংকটের মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল।কিন্তু এইবার পরিস্থিতি কেমন হবে সেই সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনো কোন সঠিক ধারণা দিতে পারেন নি।

প্রতি ২০০ বছর পর এই সৌর সর্বনিম্ন দেখা যায়। এই সময় সূর্যের তাপমাত্রা তুলনামূলক কমে যায় বলে পৃথিবী খানিকটা শীতল অনুভূত হয়।এইবারের সৌর সর্বনিম্ন এর ফলে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে সেটাই এমন দেখার বিষয়।

আশা করি আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন সবাই।

ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts