হযরত নূহ (আঃ) এর সেই নির্মিত জাহাজ আজও বর্তমান হয়ে আছে।

আসসালামু আলাইকুম! কেমন আছেন সবাই? আশা করি আপনারা সবাই খুব ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র রহমতে খুব ভালো আছি। আজ আমি কথা বলব দ্বিতীয় আদম হযরত নূহ (আঃ) এর নৌকা বা জাহাজ সম্পর্কে।

 

হযরত নূহ (আঃ) এর সম্প্রদায়ের লোকেরা নানা কল্পিত দেব্দেবীর পূজোয় লিপ্ত হয়ে পড়ে, আর তারা হযরত নূহ (আঃ) এর উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতে শুরু করে। যখন তিনি তাঁর জাতির অত্যাচার নির্যাতন ভোগ করে পাঁচশ ষাট বছর বয়সে পদার্পন করেন, তখন তিনি তাদের হেদায়েত সম্পর্কে নিরাশ হয়ে ধ্বংশের জন্য বদদোয়া করেন। সূরা নূহের ২৬ থেকে ২৭ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, * আর নূহ বলল, ‘হে আমার রব! যমীনের উপর কোন কাফিরকে অবশিষ্ট রাখবেন না’। * ‘আপনি যদি তাদেরকে অবশিষ্ট রাখেন তবে তারা আপনার বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করবে এবং দুরাচারী ও কাফির ছাড়া অন্য কারো জন্ম দেবে না’।

 

আল্লাহ্‌ তাঁর প্রিয় নির্যাতিত নবীর দোয়া কবুল করলেন এবং এক ভয়াবহ মহাপ্লাবন দিয়ে গোটা জাতিকে ডুবিয়ে ধ্বংশ করে দিলেন। মহাপ্লাবনের সময় আল্লাহ্‌ তা’আলা হযরত নূহ (আঃ) কে কাঠ ও পেরেক নির্মিত জাহাজ তৈরী করতে বলেন। নূহ (আঃ) আল্লাহর আদেশ মোতাবেক একটি জাহাজ নির্মান করলেন, এবং সেই জাহাজে প্রতি জোড়া করে পশু-পাখি উঠালেন। মহাপ্লাবনের ৪১ দিন পর আল্লাহর আদেশে হযরত নূহ (আঃ) জাহাজে তুরস্কের জুদি পাহাড়ে এসে অবস্থান করলে ঈমানদাররা সেখানেই অবতরণ করেন। নূহ (আঃ) এর নেতৃত্বে আল্লাহর দ্বীনের অনুসারীরা নবযাত্রা শুরু করে। নূহ (আঃ) এবং বেঁচে যাওয়া স্বল্প সংখ্যক তাওহীদবাদী লোক থেকে মানব বংশের বিস্তার সাধিত হয়। এজন্য নূহ (আঃ) কে দ্বিতীয় আদম বলা হয়।

 

মহান আল্লাহ্‌ তা’আলা নূহ (আঃ) এর জাহাজ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের সূরা ক্বামারের ১৩ থেকে ১৫ নং আয়াতে বলেন, * আর আমি তাকে (নূহকে) কাঠ ও পেরেক নির্মিত নৌযানে আরোহণ করালাম। * যা আমার চাক্ষুস তত্ত্বাবধানে চলত, তার জন্য পুরস্কারস্বরূপ, যাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। * আর আমি তাকে নিদর্শন হিসেবে রেখেছি। অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি?

 

অতএব, বুঝা গেলো আল্লাহ্‌ তা’আলা নিদর্শন হিসেবে হযরত নূহ (আঃ) এর নৌযানটি এখনও তুরষ্কের জুদি পাহাড়ে রেখেছেন। যাতে এ থেকে আল্লাহর মুমিন বান্দা-বান্দীগণ উপদেশ গ্রহণ করতে পারে। প্রিয় দ্বীনি আপনি চাইলে গুগল ম্যাপের সাহায্যে তুরষ্কের জুদি পাহাড়ে অবস্থানরত নূহ (আঃ) এর জাহাজটি দেখতে পারেন। এজন্য এখানে ক্লিক করুন।

পরে এরকম আরো আল্লাহর নিদর্শন ইসলামিক পোস্ট নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ্‌। ~জাযাকাল্লাহ~

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন