হলিউড ও হলিউড অভিনেতাদের নিয়ে কিছু চমকপ্রদ তথ্য : পর্ব-১

আসসালামুআলাইকুম পাঠকবৃন্দ, আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো হলিউড সিনেমা ও অভিনেতাদের সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য। তো চলুন শুরু করা যাক –

• কিংবদন্তী মার্শাল আর্ট স্পেশালিষ্ট ব্রস লি’র সম্পর্কে কারোরই তেমন অজানা নয়। যিনি বাস্তব জীবনের একজন মার্শাল আর্টিস্ট  ছিলেন। আপনি জানলে অবাক হবেন যে  ব্রুস লি এতটাই দ্রুত এবং ক্ষিপ্র ছিলেন যে মুভি প্রডিউসার ও ডিকেক্টরর  তাঁর চলচ্চিত্রগুলি ধীর বা আস্তে করে চালাতে হয়েছিল যাতে আপনি তাঁর মুভির একশন দৃৃৃৃশ্যগুলো বুঝতে ও দেখতে পারেন।

• জগৎবিখ্যাত সাইলেন্ট কমেডিয়ার ও অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের কথা কে না জানে। কিন্তু আপনি কি জানেন চার্লি চ্যাপলিন যখন তার অস্কার পেয়েছিলেন, তখন তিনি একটি 12 মিনিটের স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছিলেন, যা অস্কার ইতিহাসের দীর্ঘতম স্ট্যান্ডিং ওভেশন।

 

• হলিউড কাঁপানো ছবি জুরাসিক পার্ক, পাল্ব বফিকশন, ফরেস্ট গাম্প এবং দ্য শশাঙ্ক রিডিম্পশন একই সময়ে থিয়েটারে রিলিজ হয়েছিল। সময়টি ছিলো ১৯৯৪ সালের অক্টোবর।

• সিন সিটি, ডাইহার্ড…..  মুভিগুলোর একশন অভিনেতা ব্রস উইলিসকে কে না চিনে। টেকো মাথা এই অভিনেতার একশন, মারমার-কাটকাট, পুলিশ বা আর্মি হিসেবে মিশন পরিচালনা, ইনভেষ্টিগেশনের সিনগুলো দেখলে এক ধরনের রোমাঞ্চকর ফিলিং আসে। অদ্ভুত কথা হলো অভিনেতা হওয়ার আগে ব্রুস উইলিস একজন প্রাইভেট ইনভেষ্টিগেটর হিসেবে কাজ করেছিলেন।

• গ্র্যাভিটি  মুভিটি ভারতের মঙ্গল মিশনের চেয়ে ব্যয়বহুল ছিল।

• ব্যাক টু  দ্য ফিউচার  মুভিটির টাইম ট্রাভেলিং মেশিনটি আসলে একটি রেফ্রিজারেটর ছিলো যেটা কিছুটা ট্রাইম ট্রাভেলিং মেশিনের মতো করে কিছুটা সংস্করণ করে ব্যবহার করা হয়েছিলো।

• চীনে ফিল্ম এবং টিভিতে টাইম ট্র্যাভেল থিউরি রিলেটেড সব চলচিত্র  নিষিদ্ধ।(নিষিদ্ধতা পরিবর্তন হতে পারে)

• হলিউড বিশ্বের সেরা ডিক্টেটরদের লিস্ট করলে জেমস ক্যামেরনের নামটা আসবেই যাকে সবাই চিনে।কিন্তু আপনি কি ভাবতে পারবেন যে জেমস ক্যামেরন “দ্য টার্মিনেটর” মুভিটির স্ক্রিপ্ট লেখার সময় গৃহহীন ছিলেন?

• জেমস ক্যামেরনের সম্পর্কে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। স্টার ওয়ার্স দেখার পরে, জেমস ক্যামেরন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের জন্য ট্রাক ড্রাইভার হিসাবে তার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ভাবুন একবার। তার জীবনে কত স্ট্রাগলের কাহিনি রয়েছে তাহলে।

• আমরা ছোটবেলা থেকেই গডজিল্লা কার্টুন সিরিজ মুভি দেখে চমৎকার সময় কাটিয়েছিলাম। জেনে রাখুন ২০১৪ সালে গডজিল্লাকে  “গডজিলা(২০১৪)” ছবিতে মাত্র ৮ মিনিটের জন্য দেখা গিয়েছিল।

• ডিজনি প্রডাক্টশনে ফিল্ম ট্যাংলেড প্রযোজনার খরচ এভাটার  মুভির প্রযোজনার চাইতেও বেশি

• ১৯৭৬ সালে নির্মিত “রকি” ছবিটির শুটিং ২৮ দিনের মধ্যে হয়েছিল।

• টার্মিনেটর ২-তে বলা প্রতিটি শব্দের জন্য  শোয়ার্জনেগারকে প্রায় ২১৪২৯ মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছিল।

• টাইটানিক ডুবে যাওয়ার ২৯ দিন পরে, এটি সম্পর্কিত একটি সিনেমা রিলিজ করা হয়েছিল। সিনেমাটিতে এমন এক অভিনেত্রীকে দেখানো হয়েছিল যিনি আসলে টাইটানিকে ছিলেন এবং সারভাইব করেছিলেন ছিলেন।

• মুভিপ্রেমীরা এই মুভি সিরিজ “দ্য ম্যাট্রিক্স” দেখেননি এটা বিশ্বাস করা মুশকিল। আপনি কি জানেন  উইল স্মিথ, নিকোলাস কেজ, টম ক্রুজ, জনি ডেপ, এবং লিও ডিক্যাপ্রিয়োকে আমাদের সবার প্রিয় কিয়ানু রিভসের আগে “দ্য ম্যাট্রিক্স” সিনেমায় অংশের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো? যদিও আমাদের মতো সিনেমা প্রেমিদের কাছে দ্য ম্যাট্রিক্স  সিনেমায় কিয়ানুকেই পারফেক্ট লেগেছিলো।

• কিয়ানু রিভস “দ্য ম্যাট্রিক্স” চলচ্চিত্রে আয়কৃত তার ১১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারই অন্যান্য স্টাফ এবং মেকআপ কর্মীদের দিয়ে দিয়েছিলেন।

 

আজ এই টুকুই। আবার আপনাদের সামনে নতুন পর্বে সব চমপ্রদ তথ্য নিয়ে হাজির হবো।  সবাইকে ধন্যবাদ।

 

Related Posts