হৈমন্তী গল্পের কিছু উক্তি

কনের পিতা ধৈর্য ধরতে পারেন, কিন্তু বর পিতা ধৈর্য ধরতে চাননি। সে দেখেছিল যে মেয়ের বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেছে, কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে কিছু ভদ্র বা অভদ্রভাবে দমন করার সময়টিও পার হয়ে গেল। মেয়ের বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গেছে বটে, তবে পণের টাকার অপেক্ষাকৃত গুরুত্ব, সেইজন্যই তাড়া।

আমি বর ছিলাম, তাই বিবাহ সম্পর্কে আমার মতামত যাচাই করা অপ্রয়োজনীয় ছিল। আমি আমার কাজটি করেছি, এফ.এ. আমি পাস করেছি এবং বৃত্তি পেয়েছি। তাই প্রজাপতির দুই পক্ষ, কন্যাপক্ষ ও বরপক্ষ, ঘন ঘন বিচলিত হইয়া উঠিল।

আমাদের দেশে, যে ব্যক্তি একবার বিবাহিত হয়েছে তার বিবাহ সম্পর্কে কোনও উদ্বেগ নেই। বাঘ যখন মানুষের মাংসের স্বাদ গ্রহণ করে, তখন স্ত্রীর প্রতি তার মনোভাব বাঘের মতো হয়ে যায়। পরিস্থিতি ও বয়স নির্বিশেষে স্ত্রীর ক্ষতিতে তার কোনও দ্বিধা নেই। তিনি আমাদের নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যতটা দ্বিধা এবং উদ্বেগ দেখেন। বিয়ের বারবার প্রস্তাবনাতে তাদের পিতৃপুরুষের পাকা চুলগুলি বারবার কলপের আশীর্বাদে কাঁচা হয়ে যায় এবং প্রথম ঘটকালির আগুনে তাদের কাঁচা চুল চিন্তায় রাতারাতি পাকতে শুরু করে।

সত্যি বলছি, আমার তেমন উদ্বেগ ছিল না। বরং বিয়ের কথা মনে হচ্ছিল দক্ষিণে আমার মনে প্রবাহিত হচ্ছে। যার জন্য বার্কের ফরাসি বিপ্লবের পাঁচ বা সাত নোটবুক মুখস্থ করতে হবে, এই ধারণাটি ভুল। আমার লেখার পাঠ্যপুস্তক কমিটি অনুমোদিত হওয়ার কোনও ঝুঁকি থাকলে আমি সাবধান হব।

তবে, আমি কী করছি? এটি এমন একটি গল্প যা আমি একটি উপন্যাস লিখতে বসেছিলাম। আমি যা জানতাম তা ছিল আমার লেখাটি এমন সুরে শুরু হবে। আমার কাছে মনে হচ্ছিল এত বছরের বেদনার মেঘ, যা কালো ও হিমশীতল হয়ে পড়েছিল, বৈশাখের সন্ধ্যার ঝড়ো বৃষ্টির মতো প্রবল বৃষ্টিতে ক্লান্ত হয়ে উঠবে। তবে, আমি বাচ্চাদের বই বাংলায় লিখতে পারি নি, কারণ আমি সংস্কৃত মোহ ব্যাকরণ পড়ি না; এবং, আমি কবিতা রচনা করতে পারিনি, কারণ আমার মাতৃভাষা আমার জীবনে এমনভাবে ফুলে উঠেনি যে আমি হৃদয়কে টেনে আনতে পারি। এজন্য আমি দেখতে পাচ্ছি যে আমার অভ্যন্তরীণ শ্মশান সন্ন্যাসী আপনাকে হাসছে এবং মজা করছে।

যিনি আমার সাথে বিবাহিত ছিলেন তার প্রকৃত নাম আমি দেব না। কারণ, বিশ্বের ইতিহাসে তাঁর নাম নিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিকদের মধ্যে কোনও বিতর্ক হওয়ার আশঙ্কা নেই। যে তাম্রলিপিটিতে তাঁর নাম খোদাই করা হয়েছে তা আমার হৃদয়ে রয়েছে। আমি এমন কোনও সময় ভাবতে পারি না যখন সেই পাত্র এবং সেই নামটি অদৃশ্য হয়ে যাবে। যাইহোক, অমৃতের মধ্যে কোনও ঐতিহাসিকের অ্যানগোনা নেই।

আমার এ লেখায় তাহার যেমন হউক একটা নাম চাই। আচ্ছা, তাহার নাম দিলাম শিশির। কেননা, শিশিরে কান্নাহাসি একেবারে এক হইয়া আছে, আর শিশিরে ভোরবেলাটুকুর কথা সকালবেলায় আসিয়া ফুরাইয়া যায়।

শিশির আমার চেয়ে কেবল দুই বছরের ছোটো ছিল। অথচ, আমার পিতা যে গৌরীদানের পক্ষপাতী ছিলেন না তাহা নহে।

Related Posts

15 Comments

মন্তব্য করুন