১) সামাজিক বিভিন্নতা ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু। ২) সামাজিক পরিবেশের উপর প্রকৃতির প্রভাব {সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য জেনে নিন}

আজকে আমি ২টি বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু পরিচিতি উপস্থাপন করব । যেমন :

১) সামাজিক বিভিন্নতা ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু। ২) সামাজিক পরিবেশের উপর প্রকৃতির প্রভাব।

১) সামাজিক বিভিন্নতা ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু :

আমরা বিভিন্ন সামাজিক অবস্থান থেকে এসেছি।যথা:

১) সকলের মাতৃভাষা এক নয়। যেমন: কারো মাতৃভাষা বাংলা আবার কারো মাতৃভাষা ইংরেজি, হিন্দি। ২)কার ও ধর্ম আলাদা । তথা: কারো ধর্ম ইসলাম আবার কারো ধর্ম  খিস্টান,বোদৌ, হিন্দু,ইত্যাদি । আরো বিভিন্ন ধরনের ধর্ম আছে। ৩) অনেকের মা-বাবার পেশা বিন্ন। কেউ চাষি কেউ ডাক্তার, পুলিশ,আর্মি,নৌ-বাহিনী ইত্যাদি।

অনেক শিক্ষার্থী আছে যাদের পারিবারিক অবস্থার মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।যেমন, অনেকে শিশু বয়সেই মা-বাবার সঙ্গে আয়মূলক কাজ করে।আর এ কারনে অনেকেই বিদ্যালয়ে আস্তে পারে না।

শ্রেনীতে কার ও পড়া শিখতে একটু বেশি সময় লাগে। কারন তার : ১)দেখায় সমস্যা থাকতে পারে। ২)শোনায় সমস্যা থাকতে পারে। ৩) কোনো শারীরিক অসুবিধা থাকতে পারে। ৪)কেউ মানসিকভাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু হতে পারে।

যারা এই ধরনের সমস্যায় ভোগে তাদের জন্য আমরা কী করতে পারি? আমাদের মনে রাখতে হবে,যেকোনো শিশুর ই এই ধরনের সমস্যা থাকতে পারে।কাজেই তাদের বিদ্যালয় আস্তে উৎসাহিত করতে হবে। তাদের মনে কষ্ট দেওয়া আমাদের উচিত নয়। আমরা যদি যদি তাকে ভালো ভাবে না দেখি তাহলে সে মনে কষ্ট পাবে । তাদের জীবন কিভাবে সহজ করা যায় তা আমাদের ভাবতে হবে। প্রয়োজনে আমরা সবাই সবার পাশে দাঁড়াব এবং সহযোগিতা করব।যার বাংলা বুঝতে সমস্যা হয় তাদের ভাষা বুঝতে সাহায্য করব।তার হাঁটা চলার সমস্যা আছে তাদের চলাচলে সাহায্য করব আমরা। আমাদের সহপাঠীদের যদি যদি দেখার বা শোনার সমস্যা থাকে তাদের শ্রেনীতে সামনে বসতে দিব।

আমি এখন সামাজিক পরিবেশের উপর প্রকৃতির প্রভাব নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব ।যেমন, মানুষের সৃষ্ট উপাদান নিয়ে সামাজিক পরিবেশ গঠিত হয়। যেমন,বাড়ি, বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, ইত্যাদি।এক ই সাথে সমাজের বিভিন্ন কাজ যেমন, কৃষি ও পরিবহন ব্যবস্থা ও সামাজিক পরিবেশের অংশ।

আমাদের সামাজিক পরিবেশ প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। কোনো অঞ্চলে ঠান্ডা বেশি আবার কোনো অঞ্চলে গরম বেশি। যেখানে শীত বেশি সেখানে আমরা শীতের প্রোকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মোটা জামা কাপড় পরি।এ সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খাই।এমন ভাবে ঘর বাড়ি তৈরি করি যেন ঘর গরম হয়ে থাকে। শুষ্ক এলাকায় গাছ ও ফসল কম হয় বা জন্মে। এছাড়া যেসব এলাকায় জলাশয় ও নদী বেশি,সেসব এলাকায় মাছের চাষ বেশি হয় । এবং সহজে ই সেচের কাজ ও করা যায় ।

সামাজিক পরিবেশেও প্রকৃতির উপর প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের নিয়ে সচেতন হতে হবে। আমাদের বেশি বেশি করে গাছ লাগানো উচিত। প্রচুর গাছপালা থাকলে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে এবং বৃষ্টি পাত হয়। বৃষ্টি মাটির জন্য উপকারী।গাছ থেকে আমরা বাড়ি ও আবাসপত্র তৈরির কাঠ পাই।

আমার এই সংক্ষিপ্ত লেখা গুলো আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন ভাই ও বোনেরা । পরবর্তীতে আমি আর ও কিছু তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। 

আমি যেন পরবর্তীতে আরো ভালো করতে পারি এজন্য দোয়া করবেন প্লিজ।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন