৮টি চমৎকার সাইকোলজিক্যাল টিপস

আজকে আমরা জানতে চলেছি আটটি সাইকোলজিক্যাল টিপস। আর এই আটটি সাইকোলজিকাল টিপস প্রত্যেকেরই জানা প্রয়োজন। আসুন জেনে নেয়া যাক-

 

১. বুঝে নিন- কে আপনাকে পছন্দ করে?

এরকমটা প্রায়ই দেখা যায়, যে আমরা অনেক বন্ধু বা বান্ধবী মিলে একসাথে আড্ডা দেই। অনেক হাসি তামাশা করি, কিন্তু সেই হাসির মধ্যে প্রত্যেকেই সেই ব্যক্তিটির দিকেই তাকায়, যাকে সে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন।

 

২. দুশ্চিন্তা কমিয়ে আনুন

যখন আপনি কোনো বিষয় নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত বা ভয় নিয়ে থাকেন। সেটা হতে পারে খুব গুরুত্বপূর্ণ মিটিং, প্রেজেন্টেশন অথবা কোথাও আপনাকে বক্তৃতা বা কিছু বলতে হবে। আর যদি দেখেন, যে আপনার কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তা হচ্ছে, তাহলে তার আগে কিছু চাপাতে থাকুন। দেখবেন, দুশ্চিন্তা অনেকটা কমে গেছে।

 

৩. নিজেকে শান্ত রাখুন

আপনি ভাইভা বোর্ডে আছেন অথবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কোথাও আছেন, যেখানে আপনি খুবই নার্ভাস হয়ে আছেন, সেই মুহূর্তে আপনি আপনার এমন একজন বন্ধুর কথা ভাবুন, যার সাথে আপনার দীর্ঘদিন দেখা হয়নি। এই পদ্ধতিটি আপনাকে অনেকটা শান্ত রাখবে এবং সাবলীলভাবে প্রশ্নকর্তার উত্তর প্রদানে সহায়তা করবে।

 

৪. আচরণের পরিবর্তন

কর্ম ক্ষেত্রে যদি আপনার নানান ধরনের মানুষের সাথে কথা বলতে হয়, তাহলে আপনার পেছনে একটা আয়না রাখুন এবং তারপর দেখুন কি হয়? এতে যা হতে পারে তা হচ্ছে- আপনি নিজেই লক্ষ করতে পারবেন, যে যাদের সাথে আপনি কথা বলবেন, প্রত্যেকে হাসিখুশি এবং তাদের আচরণের পরিবর্তন আনছে। কারণ আয়নার সামনে কেউই নিজেকে রাগান্বিত বা হতাশাগ্রস্থ হিসেবে দেখতে পছন্দ করেন না।

 

৫. দৃষ্টি আকর্ষণ

আপনার যদি এমনটা মনে হয়, যে কেউ আপনাকে দেখছে, তাহলে আপনার হঠাৎ করেই হাই আসছে এমনটা ভান করুন। দেখবেন, বেশিরভাগ সময়ই অপরজন নিজের অবচেতন মনেই- এই কাজটি করছে।

 

৬. যেকোনো কাজ দিনের শুরুতে অথবা শেষে করুন

আপনার সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো দিনের শুরু ও শেষে করার চেষ্টা করুন। কেননা, দিনের শুরু এবং শেষ মানুষের মাথার ভেতর একদম গেঁথে যায়। তাই যদি আপনি কোথাও ভাইভা দিতে যান, তাহলে প্রথমদিকের বা শেষদিকের প্রার্থী হতে চেষ্টা করুন।

 

৭. কিভাবে বুঝবেন কেউ আপনার প্রতি আগ্রহী কিনা?

কোনো ব্যক্তির পা-ই বলে দিবে, যে সে আপনার প্রতি আগ্রহী কিনা? এমনকি এটি দ্বারা বুঝতে পারবেন, যে তার আপনার প্রতি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। যদি আপনি দেখেন, যে কথা বলার সময় কোনো ব্যক্তির শরীর আপনার দিকে রয়েছে কিন্তু তার পা অন্যদিকে। তার মানে, আপনাকে বুঝে নিতে হবে- সে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখান থেকে চলে যেতে চায়। কিন্তু কথা বলার সময় যদি তার শরীর এবং পা দুটোই আপনার দিকে থাকে, তার মানে হল- সেই ব্যক্তিটি আপনার প্রতি মনোযোগী।

 

৮. বিশ্বাসী হতে চাইলে অনুসরণ করুন

যদি আপনি কারও কাছে বিশ্বাসী বা আস্থাভাজন হতে চান, তাহলে তার অঙ্গভঙ্গিগুলো অনুসরণ করুন। যেমন- তার বসার ধরন, আচরণ, কথা বলার স্টাইল। তাহলে দেখবেন- সে ব্যক্তিটি তার অবচেতন মনেই আপনাকে অনেক বেশি পছন্দ করতে শুরু করেছে।

Related Posts

3 Comments

মন্তব্য করুন