৮ম সপ্তাহের নবম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২১

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন।কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়।
নবম শ্রেণীর বাংলা
প্রশ্ন:বঙ্গবাণী ও কপোতাক্ষ নদ উভয় কবিতাতেই  মাতৃভাষা প্রীতির মাধ্যমে দেশপ্রেম প্রকাশ পেয়েছে -মন্তব্যটির স্বপক্ষে তোমার যৌক্তিক মত উপস্থাপন কর।
উত্তর:সূচনা:
বাংলা সনেট এর প্রবক্তা মাইকেল মধুসূদন রচিত চতুর্দশপদী কবিতাবলীর অন্তর্গত “কপোতাক্ষ পদ”এবং মধ্যযুগল বাংলা কাব্যসাহিত্যের অন্যতম বঙ্গবাণী উভয় কবিতাতেই মাতৃভাষার প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসার স্বরূপ দেখতে পাই। মাধ্যযুগীও পরিবেশে বঙ্গভাষী এবং বঙ্গভাষার প্রতি এমন বলিষ্ঠ বাণীবদ্ধ কবিতার নিদর্শন দুর্লভ। ‘কপোতাক্ষ নদ ‘কবিতাটির কবির চতুর্দশপদী কবিতাবলী থেকে সংগৃহিত হয়েছে। এই কবিতায় কবির স্মৃতিকাতরতা আবরণে তার অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে।

দেশপ্রেম:
দেশপ্রেম হলো নৈতিক ,পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক রীতি ,যার যার নিজের জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসার একটি ভিত্তি করে একটি বোধ ,পাশাপাশি পিতৃভুমির স্বার্থের জন্য ব্যক্তিগত স্বার্থ ত্যাগ করতে ইচ্ছুক। দেশপ্রেম হলো নৈতিক ,পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক নীতি ,যার যার নিজের জন্মভূমি প্রতি ভালোবাসা উপর ভিত্তি করে একটি বোধ ,পাশাপাশি পিতৃভুমির স্বার্থের জন্য ত্যাগ করতে ইচ্ছুক। দেশপ্রেম শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ থেকে।

বঙ্গবাণী কবিতার স্বরূপ:
বঙ্গবাণী কবিতার কবি আব্দুল হাকিম তার মাতৃভাষা বাংলার প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছে তার লেখনীর মাধ্যমে। কবি বঙ্গবাণী কবিতা লেখার সময় অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে বাংলা ভাষার গ্রন্থ রচিত না হলে সাধারণ মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। মানুষের নিজ শ্রম পালনে আল্লাহর খেইপা পাওয়ার অধিকার সবার রয়েছে। আর আল্লাহ তার সৃষ্ট সব পশু পাখি ও মানুষের ভাষা বুঝতে পারেন। কবি বঙ্গবাণী কবিতায় তার গভীর উপলব্ধি ও বিশ্বাসের কথা নির্ধিধায় ব্যক্ত করেছেন।

উপসংহার:উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে একথা আরও সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে ,আমার পাঠ্যবইয়ে রচিত ‘বঙ্গবাণী’ ও ‘কপোতাক্ষ নদ ‘রি দুইটি কবিতায় মূলত মাতৃভাষা প্রীতির মাধ্যমে দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ।

ধন্যবাদ সবাইকে। সামনে নতুন কোনো এসাইনমেন্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts