৯ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর( ৩য় সপ্তাহ)

আসসালামু আলাইকুম,

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ,

সবাই কেমন আছেন?

 

বরাবরের মতো আজকেও আমি ৯ম শ্রেণি র গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর শেয়ার করব।
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-

গৃহ ব্যবস্থাপনার পর্যায় গুলো অনুসরণ করে তোমার কক্ষটিকে কীভাবে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায় তা নিচের প্রশ্নের আলোকে বিস্তারিত বর্ণনা করো-

১/ কেন তোমার কক্ষটা কে সুন্দর করতে চাও?

২/ কক্ষটিকে সুন্দর করতে চাইলে প্রথমে তোমার কি করতে হবে এবং কেন?

৩/একাজে তোমাকে কে কে সাহায্য করতে পারে এবং কিভাবে?

৪/ একক্ষ টি সাজানো তোমার পছন্দমত হচ্ছে না হলে তুমি কি করতে চাও?

৫/ সাজানো গোছানো পরিপাটি কক্ষ টি তে বসে এখন তোমার কেমন লাগছে তোমার অনুভূতি ব্যক্ত করো-

১.কেন তোমার কক্ষটাকে সুন্দরর করতে চাও?

উত্তর -আমি আমার কক্ষটা কে সুন্দর করতে চাই কেননা একটু সুন্দর পরিবেশ আমাদের মন ও শরীর কে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। আর করোণা মহামারীর জন্য যেহেতু আমাকে বেশিরভাগ সময় আমার কক্ষে অবস্থান করতে হয় তাই অবশ্যই সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া জরুরী।

২.কক্ষটাকে সুন্দরর করতে চাইলে প্রথমে তোমার কি করতে হবে এবং কেন?

-কক্ষ সুন্দর করতে চাইলে প্রথমে আমাকে পরিকল্পনা করতে হবে। কেননা একটি সঠিক পরিকল্পনা যে কোন কাজকে অনেক সহজ করে দেয়, ফলে কাজটি করতে সুবিধা হয়।

গৃহ ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি বা পর্যায় গুলো হল-

এক.পরিকল্পনা
২. সংগঠনের
৩.নিয়ন্ত্রণ
৪.মূল্যায়ন।

প্রতিদিনের কাজে সচেতনভাবেই এই ধাওগুলো্ আমাদের অনুসরণ করতে হবে।

গৃহ ব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ হলো পরিকল্পনা। লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে যেসব কর্মপন্থা অবলম্বন করা হয় তারপরে কাজটি কীভাবে করা হবে কেন করা হবে ইত্যাদি সম্বন্ধে চিন্তাভাবনা করার নামই পরিকল্পনা। কক্ষটি সুন্দর করতে চাইলে কারণ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে।

 

পরিকল্পনা গ্রহণের পরের ধাপ হলো সংগঠন। গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজগুলোর মধ্যে সংযোগ সাধন করার নাম সংগঠন। সংগঠনের পর্যায় কোন কাজ কোথায় ও কিভাবে করা হবে তা স্থির করা হয়।

সেজন্য আমাকে যা যা করতে হবে তা হল-

১. প্রথমে পর্যায়ে করণীয় কাজের বিভিন্ন অংশের একটি ধারাবাহিক বিন্যাস রচনা করতে হবে

২.দ্বিতীয় পর্যায়ে কোন কাজ আগেও কোন কাজ পরে হবে তা ধারাবাহিকভাবে রচনা করতে হবে।

৩. তৃতীয় পর্যায়ে নির্দিষ্ট কাজ বা কাজ সমূহ ব্যক্তি দ্বারা সম্পন্ন করার জন্য একটি কর্ম কাঠামো রচনা করতে হবে।

৩.এ কক্ষটি সাজাতে তোমাকে কে কে সাহায্য করতে পারে এবং কিভাবে?

-এ কাজে আমাকে আমার পরিবারে অন্যান্য সদস্যররা সাহায্য করতে পারে।তারা সরাসরি অথবা উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে সাহায্য করতে পারে।

৪.কক্ষটি সাজানো তোমার পচ্ছন্দমতো হচ্ছে না হলে কিভাবে করতে হবে।

-কক্ষ টি সাজান আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিকঠাকভাবে হচ্ছে গৃহ ব্যবস্থাপনার দ্বিতীয় ধাপ অনুযায়ী এখন আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। গৃহ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ। নিয়ন্ত্রণ বলতে বুঝায় পরিবারের সকল ব্যক্তি সুশৃংখলভাবে লক্ষ অজনে কাজে নিয়োজিত কিনা পর্যবেক্ষণ করা।

৫.সাজানো গোছানো,পরিপাটি কক্ষটিতে বসে তোমার কেমন লাগছে?তোমার অনুভূতি ব্যক্ত কর-

-সাজানো গোছানো পরিপাটি কক্ষটিতে বসে এখন আমি খুব স্বস্তি অনুভব করছে এবং নিজেকে অনেক প্রফুল্ল লাগছে।

গৃহ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ পর্যায় হলো মূল্যায়ন করা।

কাজের ফলাফল বিচারব যাচাই করাই হচ্ছে মূল্যায়ন।

কাজের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য করে ফলাফল যাচাই করতে হয় উদ্দেশ্য সাধিত নাহলে ফলাফল ভালো না বুঝতে হবে সঠিক মূল্যায়নের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে-

এক. লক্ষ অনুযায়ী পরিকল্পিত কাজ গুলো ঠিক মত হয়েছে কিনা?

২. কাজে সফলতা বা ব্যর্থতা নিরূপণ করা।

৩. কাজে ব্যর্থ হলে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করে পরবর্তীতে সংশোধনের মাধ্যমে কাজে সফল হওয়া।

মূল্যায়নের ভিত্তিতে বলতে পারি সাজানো গোছানো পরিপাটি কক্ষটিতে বসে এখন আমার অনেক ভালো লাগছে। এই কক্ষে অবস্থান করে আমি এখন যথেষ্ট আত্মতৃপ্তি পাচ্ছি।

সবাইকে ধন্যবাদ।

Related Posts

3 Comments

মন্তব্য করুন