৯ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

আসসালামু আলাইকুম,

আশা করি সবাই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন।

 

আমিও ভালো আছি।

আপনাদের সামনে আমি আবারও হাজির হয়েছি ৯ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট  এর উত্তর-

 

অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ –

পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ক পাঠে তোমরা অর্জনসমূহ এর তালিকা সম্বলিত একটি পোস্টার তৈরি করো।

সংকেত-

১/নাগরিকতা,

২/পরিবার

৩/সমাজ,

৪/রাষ্ট্র,

৫/আন্তর্জাতিক সংস্থা।

★নাগরিকতা –

প্রাচীন গ্রিসে নাগরিক ও নগর রাষ্ট্র ছিল অবিচ্ছেদ্য। সেসময় ছোট ছোট অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠে নগর রাষ্ট্র। নগর রাষ্ট্রীয় কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করত যারা তারাই তখন নাগরিক নামে পরিচিত ছিল।পুরুষেরা রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ পেত বিদায় তাদের নাগরিক বলা হত।

তবে বর্তমানের নাগরিকের ধারণার তুমুল পরিবর্তন ঘটেছে পাশাপাশি নগররাষ্ট্রের স্থলে বৃহৎ আকারের জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেমন -বাংলাদেশের ক্ষেত্রফল ১৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার এবং লোক সংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক নাগরিক অধিকার ভোগের পাশাপাশি রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে থাকে। তবে আমাদের মধ্যে যারা অপ্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তারা ভোট দান কিংবা নির্বাচিত হওয়ার মতো রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে পারে না। তাছাড়া বিদেশিদের কোন রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করার সুযোগ নেই। যেমন- নির্বাচনে ভোট তারা নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই। মূলত রাষ্ট্র প্রদত্ত নাগরিকের মর্যাদা কে নাগরিতা বলা হয়।

★পরিবার –

সমাজ স্বীকৃত বিবাহ  আবদ্ধ হয়ে একত্রে বসবাস করা পরিবার বলে। আমাদের দেশে সাধারণত মা,বাবা,ভাই- বোন মিলে পরিবার গঠিত হয়।শুধু মা,বাবা নিয়ে পরিবার সম্ভব নয়।

★সমাজ-

সমাজ বলতে সেই সংবদ্ধ জনগোষ্ঠীকে বুঝায় যারা কোনো সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য একত্রিত হয় অর্থাৎ একদল লোক যখন সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সঙ্গবদ্ধ হয়ে বসবাস করে তখনই সমাজ গঠিত হয়। সমাজে এরধরনের বিশ্লেষণ করলে এর প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় –

১/বহু লোকের সঙ্গে বসবাস এবং

২/ ওই সংঘবদ্ধতার পিছনে কিছু উদ্দেশ্য থাকা।

এছাড়া সমাজে সদস্যদের মধ্যে আরো কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়-

নির্ভরশীলতা ঐক্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া।

★রাষ্ট্র –

রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বের মানুষ কোন না কোন রাষ্ট্রে বসবাস করে। আমাদের এই পৃথিবীতে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১০০ টার মত রাষ্ট্র আছে। প্রতিটি রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট ভূখন্ড ও সার্বভৌমত্ব রয়েছে।

কখন ও কিভাবে উৎপত্তি লাভ করেছে তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা অতীত ইতিহাস ও রাজনীতির ঘটনাপ্রবাহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে কতগুলো মতবাদ প্রদান করেছেন –

তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-

 

বল বা শক্তি প্রয়োগ, মতবাদ সামাজিক চুক্তি, মতবাদ ও ঐতিহাসিক বিবর্তন মতবাদ।

★আন্তর্জাতিক সংস্থা-

ধরনের সংস্থা বিশেষ এতে সাধারণত বেসরকারি সংস্থার তুলনায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা সদস্য সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অধিক থাকে এছাড়াও সংস্থায় কর্মক্ষেত্র কর্মকর্তাবৃন্দ হয় এই ধরনের সংস্থাগুলো দেশের সরকার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে সরকারের কর্মপদ্ধতি সাথে সীমিত পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে থাকে।

 

কয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থা হচ্ছে-

জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথ, রেডক্রস ইত্যাদি।

আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে –

সেগুলো হচ্ছে

-১/আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ও

২/আন্তঃসরকার সংস্থা।

 

সবাইকে ধন্যবাদ।

 

Related Posts