- আজকাল মহিলাদের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি হলো চুল পড়া। আমরা আমাদের চুলের যত্নে ও চুলকে পরিষ্কার রাখতে অনেক রকম প্রডাক্টস ব্যবহার করি কিন্তু সে সব প্রডাক্ট ই কম বেশি কেমিক্যাল যুক্ত।শ্যাম্পুতেও এই রকম কেমিক্যাল থেকে থাকে।আমাদের চুল পরিষ্কার করে দিলেও ক্ষতিও করে আমাদের।ফলে চুল হয়ে যায় ড্রাই। তবে কখনো কি ভেবেছেন শ্যম্পুর আবিষ্কার এর আগে মানুষ কিভাবে চুল পরিষ্কার করত?
প্রাচীন ভারতীয় অঞ্চলে নারীরা তাদের চুল ধোওয়ার জন্য ব্যবহার করত রিঠা ফল,তেতুলের পানি ও আমলকী!
আজকের এই ন্যাচারাল শ্যম্পুর জন্য ও এই তিনটিকে একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে।এই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে কোন কমার্সিয়াল শ্যম্পু ব্যবহার করতে হবে না।চুলের যত্নে এই শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে।
শ্যাম্পুটি তৈরী করার প্রক্রিয়া ঃ
আজকাল অনলাইনে সবরকম জিনিস পাওয়া যায়। তাই কারো পক্ষে রিঠা পাউডার, তেতুল পাউডার আর আমলকী পাউডার কিনা কঠিন কিছু না।
প্রথমে, একটা বাটিতে রিঠা,তেতুল আর আমলকীর পাউডার নিয়ে নিবেন (এক চা চামচ করে) এবং এতে পানি যোগ করে নিবেন। আপনি চাইলে এই মিশ্রণটিকে সিদ্ধও করে নিতে পারেন।
তৈরী হয়ে গেল আপনার ন্যাচারাল শ্যাম্পু!
যে পদ্ধতিতে লাগাতে হবেঃ
এই শ্যাম্পু চুল ধোওয়ার ১ ঘন্টা আগে লাগাতে হবে।আগে চুলের স্কেল্পে তারপর পুরো চুলে।লাগানোর সময় মাসাজ করে লাগালে ভালো হয় কারণ এতে রক্তের সারকুলেশন বাড়ে।তারপর, এমনেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলবেন।
এই শ্যাম্পু ব্যবহার এর আগে তেল লাগানো যাবে?
হ্যাঁ, অবশ্যই যাবে।
এই শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল হবে লম্বা,ঘন ও সিল্ক।
এই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আপনার চুলের কোন ক্ষতি হবে না।ধৈর্যের সাথে ব্যবহার করলে ছয় মাসের মধ্য ফলাফল পেয়ে যাবেন।
এই শ্যাম্পু সপ্তাহে কতবার লাগাতে হবেঃ
এই শ্যাম্পু এক সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করা যাবে।
শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার করলে চুলের সৌন্দর্য আরো বাড়ে।এই কন্ডিশনিং এর ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো হেয়ার মাস্ক কিনে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।ঘরে বানানো শ্যাম্পুটি লাগানোর পর হেয়ার মাস্ক চুলের নিচের অংশতে লাগিয়ে নিবেন।এরপর, ধুয়ে ফেলুন। চুল ধুয়ে নরম কাপড় দিয়ে চুল মুছে নিন।
যেসব কাজ চুলের জন্য ক্ষতিকর ঃ
চুলকে হেয়ার ড্রাইয়ার দিয়ে শুকানো চুলের জন্য খুব ক্ষতিকর।
চুলকে মোটা তাওয়েল দিয়ে বেধে রাখাও চুলের জন্য ক্ষতিকর।
চুলকে তাপ দিয়ে সোজা করাও চুলের জন্য ক্ষতিকর।