হাই বন্ধুরা!
তোমরাসবাই কেমন আছ?
আশাকরি সবাই ভাল আছ। আজকে তোমাদের সামনে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
যৌতুক প্রথা, আমাদের সমাজের একটি বিরাট সমস্যা। বাংলার নারী সমাজের জীবন, তাদের আশা আকাঙ্ক্ষা ধুলিস্যাৎ করার অন্যতম একটি পন্থা।’ বিয়েকে’এ যৌতুক প্রথার মাধ্যমে ব্যবসা ক্ষেত্র হিসেবে বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে। সত্য, সুন্দর ,শ্বাশত বাংলার শ্রী, সৌন্দর্যকে গৃহপালিত পশুর সমপর্যায়ে ফেলা হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে দুঃখজনকভাবে মেয়েরা নির্যাতিত হচ্ছে। স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ির লোকজন এর হাতে অথবা তারা বেছে নিচ্ছে আত্মহননের পথ। সে কারণে বাংলাদেশের দরিদ্র পিতা-মাতা মেয়ে সন্তান কে দেখছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা রূপে।
আমরা কি পারিনা ফিরিয়ে দিতে নারীর হাসি, তোমাদের নিরাপদ জীবন যাপন? আমরা কি পারিনা যৌতুক বিহীন সুখী, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠন করতে? হাঁ, অবশ্যই পারি। তার জন্য বাড়াতে হবে সামাজিক সচেতনতা, মূল্যবোধ, জাগ্রত করতে হবে বিবেককে। বিয়েকে ব্যবসা ক্ষেত্র হিসাবে বিবেচনা না করে, বিবেচনা করতে হবে সুখী স্বাচ্ছন্দময় পরিবার হিসেবে। আর এসবের জন্য এগিয়ে আসতে হবে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে। যারা শিক্ষার আলোয়, ন্যায়ের আলোয় উদ্দীপ্ত করতে পারবে মানুষকে।
সরকারকে নির্মম এই সামাজিক কুপ্রথা বন্ধ করতে এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটেও অনুকূলে নয়।
আর কতদিন এই চলমান পরিস্থিতি সহ্য করা যায়? আমরা আশা করি, সরকার এবং শিক্ষিত জনগোষ্ঠী যৌতুকের মত কুটিল প্রথা দূরীকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। আমরা যদি যে যার জায়গা থেকে রুখে দাঁড়ায় তাহলে নিশ্চয়ই এই সামাজিক কুপ্রথা বন্ধ করতে সক্ষম হব।এই ব্যাপারে আমাদের নিজেদের কে আগে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
যৌতুকের বিরুদ্ধে আমাদের সমাজের মানুষকে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে অশিক্ষিত লোকদের কে আমাদের যৌতুক প্রথা দূরীকরণে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাদের কে বুঝাতে হবে এটা একটা সামাজিক ব্যাধি।এই যৌতুক প্রথার কারনে আমাদের সমাজের মেয়েদের সম্মান ক্ষুন্ন হয়। মেয়েদের কে শশুর বাড়ী তে অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়।এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সমাজের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।