বিশ্বাস এমন একটি শব্দ যেটি কোনো সম্পর্কের মাঝে না থাকলে সম্পর্কটি বেশিদিন টিকে না | হোক সেটি ছেলেমেয়ের প্রতি বাবা মায়ের বিশ্বাস অথবা প্রেমিক প্রেমিকার মাঝে বিশ্বাস অথবা স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিশ্বাস | যে কোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস |
যখনই সম্পর্ক থেকে বিশ্বাস শব্দটি উঠে যেতে থাকে তখনই সম্পর্কটি ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে | এবং সম্পর্কটি খারাপ হতে হতে এমন এক পর্যায়ে চলে যায় যে সম্পর্কে এক সময় ভাঙ্গন ধরে|
দুইজন মানুষের মাঝে বিশ্বাসের ঘাটতি হলে তারা একে অপরের থেকে যে কত দূরে সরে যায় তা নিজেরাও বুঝতে পারে না|
অবিশ্বাসের কারণে একটি সম্পর্কে ধীরে ধীরে জন্ম হয় অশান্তি | এবং প্রতিনিয়ত সেই সম্পর্কে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে | ফলাফল হয় এক সময় সম্পর্কটির ভাঙ্গন |
অবিশ্বাস করার প্রবণতা মূলত মানুষের মাঝে দেখা দেয় তখন যখন কেউ কাউকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে আর পরিণয়ে সেই মানুষটি তার বিশ্বাসে আঘাত করে | আবার অনেক সময় পরিবার থেকে শিশুদের মাঝে অবিশ্বাসের জন্ম হয় | ছোট থেকে যদি একটি শিশুকে কথায় কথায় অবিশ্বাস করা হয় | তার কথাগুলাকে যদি মিথ্যা হিসেবে ধরে নেয়া হয় তখন সে পরিবার থেকে এই শিক্ষাটি পায় যে কাউকে কখনো বিশ্বাস করা যাবেনা | আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা ছোট শিশুদের সাথে খেলার ছলে অনেক সময় অনেক কিছু অঙ্গীকার করি কিন্তু সেটি পূরণ করিনা | তখন তারা ধীরে ধীরে মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে |
যেমন ধরুন কোনো বাচ্চাকে খাওয়াতে গিয়ে প্রায়ই তার মা বলে “তাড়াতাড়ি খেলে তোমাকে চকলেট দিব” | কিন্তু দেখা গেলো খাওয়া শেষ হবার পর ও সে চকলেটে পেলো না | এভাবে একদিন দুইদিন বিশ্বাস করার পর সে কিন্তু তৃতীয়দিন থেকে তার মাকে বিশ্বাস করা ছেড়ে দিবে |তাই ছোট থেকেই পরিবারের শিশুদের দিকে বড়োদের বিশেষ করে বাবা মায়ের দৃষ্টি দিতে হবে যেন কোনোভাবেই তাদের মধ্যে অবিশ্বাসশব্দটি না জন্মায় |
আবার অনেক সময় পরিবারের সদস্যদের মাঝেও বিশ্বাসের ঘাটতি থাকলে সেই পরিবার কখনো সুখকর হয়না|
মানুষকে কথায় কথায় অবিশ্বাস করাটা এক ধরনের মানুষিক রোগ ও বলা যায় | যদি এমন হয় যে আপনার মধ্যে অবিশ্বাসের পরিমান দিন দিন বেড়েই চলেছে | আপনি কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না সহজে তবে যত দ্রুত সম্ভব মানুষিক বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি |