মৌলভীবাজারে আয়োজিত এক সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পির) বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য দেন। তার মতে, সংবিধান ও রাষ্ট্রপতিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে তার নৈতিকতা হারিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রেখেছে।
রোববার বিকেলে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় চরমোনাই পির এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ মোসাব্বির হোসেন রুনু, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসসহ বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ।
চরমোনাই পির আরও জানান, দেশের ক্ষমতা ভোগকারী কিছু দলের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা লাভের উদ্দেশ্যে নির্বাচনে প্রতারণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে “ফ্যাসিস্ট” ও “স্বৈরাচারী” আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় আওয়ামী লীগ এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এ ধরনের অনৈতিক কাজের জন্য দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
চরমোনাই পির আরও বলেন, “দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন দরকার। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আমাদের নতুন রাজনৈতিক কাঠামো প্রয়োজন।” তিনি আসন্ন নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান এবং বলেন, “আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেই ইয়ার পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছিলাম, যাতে এমনভাবে একটি দলকে স্বৈরাচারী শাসন করার সুযোগ না দেয়া হয়।”
বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “তিনি জনগণের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন। তার উচিত হবে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা।” এছাড়াও, চরমোনাই পির বলেন যে, বাংলাদেশের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করা সময়ের দাবি।